cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
সিলেটে হঠাৎ করে করো’নার সংক্রমণ বাড়ছে আশঙ্কজনক হারে। সেই চাপ পড়ছে হাসপাতা’লে। অনেকেই আশংকা করছেন এরকম থাকলে হাসপাতা’লে দুইদিন পর থেকেই শয্যা সংকট শুরু হবে।
বিশেষ করে সিলেটে করো’নার বিশেষায়িত শহীদ শামসুদ্দিন আহম’দ হাসপাতাল এখন ‘ওভা’রলোডেড’ তথা শয্যার চেয়ে রোগীর সংখ্যা বেড়ে গেছে। এ অবস্থায় বিকল্প ব্যবস্থায় ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতা’লে দু’টি ওয়ার্ডকে করো’না রোগীর চিকিৎসায় প্রস্তুত করা হয়েছে।
সিলেটের অবস্থা এতোই খা’রাপের দিকে যাচ্ছে যে, গত দুই দিনে আ’ক্রান্ত প্রায় ৫শ’র দ্বারে পৌঁছে গেছে। আ’ক্রান্তের এ অবস্থা চলমান থাকলে কোনো হাসপাতা’লে ঠাই হবে না রোগীদের!
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত ৯৬ জন সিলেটের শহীদ শামসুদ্দিন আহম’দ হাসপাতা’লে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এর মধ্যে ৪৮ জন পজিটিভ এবং ওপর ৪৮ জন উপস্বর্গ নিয়ে চিকিৎসাধীন আছেন। এছাড়া আইসিইউতে আছেন ১৫ জন। অথচ হাসপাতা’লে শয্যা সংখ্যা ৯০টি। আর ১৬টি আইসিইউর ১৫টিতেই রোগীরা চিকিৎসা নিচ্ছেন।
অ’ত্র হাসপাতা’লের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. মিজানুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, ৯০ শয্যার হাসপাতা’লে ৯৬ জন রোগী রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ১৬টি আইসিইউ বেডের একটি খালি রাখা হয়েছে। এরপর নতুন করে কোনো রোগী ভর্তি সম্ভব হবে না।
তিনি বলেন, করো’না রোগীদের বেলায় সার্বক্ষণিক অক্সিজেন সা’পোর্ট লাগে। সেখানে ৯৬ জন রোগী থাকলেও অক্সিজেন সরবরাহের জন্য পোর্ট আছে ৬৩টি। অন্যদের সিলিন্ডারের মাধ্যমে অক্সিজেন দেওয়া হচ্ছে, যদিও সেটা যথেষ্ট নয়। তাই রোগীর সংখ্যা বাড়ার আগে এখনই বিকল্প ব্যবস্থায় যাওয়া প্রয়োজন বলে মনে করছেন তিনি।
এ বিষয়ে ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতা’লের উপ-পরিচালক ডা. হিমাংশু লাল রায় বাংলানিউজকে বলেন, করো’না রোগী বেড়ে যাওয়াতে চিকিৎসা সেবার জন্য হাসপাতা’লের ২৬ ও ২৭ নম্বর ওয়ার্ড প্রস্তুত করা হয়েছে। উপস্বর্গ নিয়ে আসা রোগীদের এখানে চিকিৎসা দেওয়া হবে। এ জন্য সামসুদ্দিন হাসপাতা’লের উপর থেকে চাপ কমাতে উপস্বর্গ নিয়ে চিকিৎসাধীন রোগীদের ওসমানী হাসপাতা’লে স্থা’নান্তর করা হবে। তবে হাসপাতা’লে আইসিইউ মাত্র ১০টি রয়েছে। আরো ১০টি আইসিইউ শয্যা প্রস্তুত করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, হাসপাতা’লে রোগীদের চিকিৎসায় ২০৫ জন চিকিৎসক ও ৭৩২ জন নার্স রয়েছেন। মাতৃত্বকালীন ছুটিসহ বিভিন্ন কারণে ছুটি ব্যতিরেকেও ৭০০ জন কর্মস্থলে আছেন। এর মধ্যে ৪২ জনকে সামসুদ্দিন আহম’দ হাসপাতা’লে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, সিলেট বিভাগে সরকারি হাসপাতালগুলোতে আইসিইউ বেডের সংখ্যা আছে ৩২টি। বিভাগীয় শহর ছাড়া মৌলভীবাজারে আছে ৫টি। অন্য দুই জে’লায় নেই আইসিইউ। আর বেসরকারি হাসপাতা’লে ৫৫টি আইসিইউ রয়েছে। এর মধ্যে ৩২টি করো’না চিকিৎসার ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হচ্ছে। বাকিগুলো অন্যান্য গুরুতর রোগীদের জন্য রাখা হয়েছে।
করো’না ভ’য়ঙ্কর আকার ধারণ করছে জানিয়ে তিনি জনসাধারণকে সচেতন হতে পরাম’র্শ দেন। কেননা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিকল্প নেই।
এদিকে, সোমবার বিভাগে ২৪ ঘণ্টায় ২৩৪ জন আ’ক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে ১৪২ জনই সিলেট জে’লার। মঙ্গলবার আরো ২৫৮ জন নতুন করে আ’ক্রান্ত হয়েছেন। ১৩৪ জনই সিলেট জে’লার বাসিন্দা। আ’ক্রান্তদের বেশিরভাগে বাসায় চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানা গেছে। তবে অবস্থা সংকটাপন্ন হলে তাদেরকেও দ্বারস্থ হতে হবে হাসপাতা’লের। এছাড়া মঙ্গলবার দিনগত রাতে পরিক্ষায় আরো ১২০ জনের করো’না শনাক্ত হয়েছে। তন্মধ্যে ৮২ জন সিলেট জে’লার।