cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
দেড় বছর আগেও বরগুনা বাজারে নিয়মিত ভ্যান চালাতেন সদর উপজে’লার বদরখালী ইউনিয়নের ফুলতলা এলাকার বাসিন্দা ছিদ্দিক ফকির। এবার পেশা বদল করে হয়েছেন সাংবাদিক। চলমান ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে তিনি পেয়েছেন পর্যবেক্ষণ কার্ডও। সেই কার্ড নিয়ে তিনি যাচ্ছেন বরগুনার কেন্দ্রে কেন্দ্রে। বরগুনা সদর উপজে’লা থেকে তার নামে ইস্যু করা কার্ডের সিরিয়াল নম্বর ১৫২।
ভ্যানচালক থেকে সাংবাদিক, অ’তঃপর নির্বাচনী পর্যবেক্ষক হওয়ায় ক্ষুব্ধ বরগুনার সাংবাদিক মহল। তারা বলছেন, নির্বাচনে ভুয়া ও ভুঁইফোড় এসব সংবাদকর্মীদের নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করার অনুমতি দিয়ে সাংবাদিকতা পেশাকে হেয়প্রতিপন্ন করা হয়েছে।
নিজেকে এসএসসি পাস দাবি করে ছিদ্দিক ফকির এই প্রতিবেদককে জানান, দেড় বছর আগে তিনি ভ্যান চালানো পেশা পরিবর্তন করে সাংবাদিকতা পেশায় এসেছেন। এখন সাংবাদিকতা পেশার মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করছেন। ছোটবেলা থেকেই তার সাংবাদিকতা পেশার প্রতি আগ্রহ থাকলেও কখনো এ পেশায় আসার সুযোগ হয়নি। স্থানীয় একটি গণমাধ্যমে যোগদান করে সাংবাদিকতা পেশায় আসার সুযোগ পেয়েছেন তিনি।
তবে ছিদ্দিক ফকিরের গ্রামের বাড়ির এলাকার বাসিন্দা জাফয় খান বলেন, ছিদ্দিক ফকিরের গ্রামের বাড়ি বরগুনা সদর উপজে’লার বালিয়াতলী ইউনিয়নের চারা ভাংগা এলাকায়। ছিদ্দিক ফকির প্রাথমিকের গণ্ডি পার হতে পারেননি জানিয়ে তিনি বলেন, ও নিজেকে যে এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ বলে দাবি করেছে তা সম্পূর্ণ ভুয়া। অভাব অনটনের কারণে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গণ্ডি পার হওয়ার সুযোগ পায়নি।
তিনি আরও বলেন, অ’ত্যন্ত দরিদ্র পরিবারের সন্তান হওয়ায় লেখাপড়া বাদ দিয়ে ছোটবেলায় বিভিন্ন ধরনের পেশায় যু’ক্ত হন ছিদ্দিক। এরপর বেশ কিছু বছর ধরে জীবনধারণের জন্য তিনি বরগুনা শহরে ভ্যান চালিয়েছেন। এ রকম একজন অক্ষরজ্ঞানহীন মানুষ কি করে সাংবাদিক হলো, তা আমা’র কিছুতেই বুঝে আসছে না।
বরগুনা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সোহেল হাফিজ বলেন, প্রতিটি গণমাধ্যমের উচিত সাংবাদিকতার পাশাপাশি সাংবাদিকদের সুনাম অক্ষুণ্ন রাখা। এমন কোনো ব্যক্তির হাতে গণমাধ্যমের কার্ড তুলে না দেওয়া, যাদের মাধ্যমে সাংবাদিকতা পেশার সম্মান ক্ষুণ্ন হয়। সাংবাদিকদের সুনাম অক্ষুণ্ন রাখার জন্য সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মক’র্তাদের পাশাপাশি তিনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সুদৃষ্টি কা’মনা করেন।
এ বিষয়ে বরগুনা জে’লা নির্বাচন কর্মক’র্তা দিলীপ কুমা’র হাওলাদার বলেন, নির্বাচনে যারাই আমাদের কাছে দায়িত্ব পালনের জন্য আবেদন করেন আম’রা তাদেরই দায়িত্ব পালনের অনুমতি দিয়ে থাকি। তথ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয়হীনতার কারণে সাংবাদিকদের কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করার সুযোগ আমাদের নেই। এসব কারণে কখনো কখনো নামসর্বস্ব কিংবা ভুয়া ও ভুঁইফোড় সাংবাদিক এ সুযোগ পেয়ে থাকেন।