সর্বশেষ আপডেট : ৯ ঘন্টা আগে
বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ খ্রীষ্টাব্দ | ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ |

DAILYSYLHET
Fapperman.com DoEscorts

লিবিয়ায় আ’ট’কে রেখে মুক্তিপণ আদায়, দুই মানবপাচারকারীর ৭ বছরের জে’ল

উচ্চ বেতনে ভালো চাকরি দেয়ার প্রলো’ভন দেখিয়ে লিবিয়ায় নিয়ে এক যুবককে আ’ট’কে রেখে মুক্তিপণ আদায়ের দায়ে মানবপাচারকারী চক্রের দুই সদস্যকে ৭ বছর করে সশ্রম কারাদ’ণ্ড দিয়েছেন আ’দালত। একইসঙ্গে তাদেরকে পাঁচ লাখ টাকা করে অর্থদ’ণ্ড করা হয়।

বৃহস্পতিবার (৪ মা’র্চ) দুপুরে বরিশাল মানবপাচার অ’প’রাধ দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মঞ্জুরুল হোসেন এ রায় ঘোষনা করেন। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী কাইউম খান কায়সার এ তথ্য জানিয়েছেন।

দ’ন্ডপ্রাপ্তরা হলেন- বরিশালের মুলাদী উপজে’লার কাজীরচর এলাকার আব্দুল জলিল সরদার এবং ঢাকার বনানীর একটি ট্রাভেল এজেন্সির মালিক মো. আনিছুর রহমান। রায় ঘোষণার সময় আব্দুল জলিল কাঠগড়ায় ছিলেন। তবে আনিছুর রহমান পলাতক। তবে অ’ভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় এই মা’মলার অন্য দুই আ’সামিকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আ’দালত।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী কাইউম খান কায়সার জানান, লিবিয়ায় থাকা-খাওয়া ফ্রি ও মাসিক ৫০ হাজার টাকা বেতনের প্রলো’ভন দেখিয়ে মুলাদী উপজে’লার খালাসীর চর এলাকার আবুল কালাম ওরফে মিজানুর রহমানের কাছ থেকে ২০১৫ সালে ৫ লাখ টাকা নেন জলিল সরদার ও মো. আনিছুর রহমান। এরপর কালামকে সুদানে নেয়া হয়। সেখানে গিয়ে কালাম দেখতে পান তার মতো আরও ৬৫ জন লিবিয়ায় যাওয়ার জন্য অ’পেক্ষায় আছে। সুদানে কয়েকদিন অবস্থানের পর মালবোঝাই ট্রাকে করে তাদের লিবিয়ায় নেয়া হয়। সেখানে নিয়ে গিয়ে কা’মালের পাসপোর্ট ছিনিয়ে নেয়া হয়। এরপর অন্ধকার কক্ষে তাকে আ’ট’কে রাখা হয়। সেখানে খাবার ও পানি দেয়া হতো নামমাত্র। দিনে একবার ভাত ও সেদ্ধ আলু খেতে দেয়া হতো। দিনের পর দিন হাত-পা বেঁধে রাখা হতো। আর বাঁচতে চাইলে বাড়ি থেকে দুই লাখ টাকা পাঠানোর কথা বলা হতো।

তিনি আরও জানান, কা’মালের ক’ষ্টের কথা শুনে তার পরিবারের সদস্যরা দুই লাখ টাকা লিবিয়ায় পাঠান। মুক্তিপণের টাকা পেয়ে কা’মালকে ছেড়ে দেয়া হয়। এরপর লিবিয়ার পু’লিশের হাতে আ’ট’ক হন কা’মাল। অ’বৈধভাবে অ’ভিবাসনের অ’ভিযোগে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

আইনজীবী কাইউম খান কায়সার বলেন, লিবিয়ায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্ম’রত মুলাদীর আব্দুল বারেক খান নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে কা’মালের পরিবারের সদস্যরা যোগাযোগ করেন। পরে তার সহায়তায় কারাগার থেকে মুক্ত হন কা’মাল। দেশে ফিরে এসে ২০১৫ সালের ১২ ডিসেম্বর জলিল সরদার ও মো. আনিছুর রহমানসহ ৪ জনকে আ’সামি করে বরিশালের একটি আ’দালতে মা’মলা করেন।

মা’মলা সূত্রে জানা গেছে, মা’মলার ত’দন্ত কর্মক’র্তা মুলাদী থা’নার তৎকালীন উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. ফারুক হোসেন খান ২০১৬ সালের ৩০ নভেম্বর ৪ আ’সামিকে অ’ভিযু’ক্ত করে আ’দালতে চার্জশিট দাখিল করেন। ৯ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে অ’ভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আ’দালত জলিল সরদার ও আনিছুর রহমানকে কারাদ’ণ্ড ও অর্থদ’ণ্ড করেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Comments are closed.

নোটিশ : ডেইলি সিলেটে প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, আলোকচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও বিনা অনুমতিতে ব্যবহার করা বেআইনি -সম্পাদক

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত

২০১১-২০১৭

সম্পাদক ও প্রকাশক: খন্দকার আব্দুর রহিম
নির্বাহী সম্পাদক: মারুফ হাসান
অফিস: ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি, ৯ম তলা, জিন্দাবাজার, সিলেট।
মোবাইল: ০১৭১২ ৮৮৬ ৫০৩
ই-মেইল: dailysylhet@gmail.com

Developed by: