সর্বশেষ আপডেট : ৪ ঘন্টা আগে
রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫ খ্রীষ্টাব্দ | ৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ |

DAILYSYLHET
Fapperman.com DoEscorts

দাড়ি কেটে ছদ্মবেশে ভারতে পালানোর চেষ্টা করছিলেন দুই ধর্ষক

শুক্রবার পর্যন্ত প্রবল প্রতাপ ছিল তাদের। করোনাভাইরাসের কারণে সারাদেশে সরকারিভাবে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হলেও তাদের কারণে কর্তৃপক্ষ খুলে রাখতে বাধ্য হয় মুরারি চাঁদ (এমসি) ছাত্রাবাস। এই কলেজের ছাত্রলীগ নেতা সাইফুর রহমান যার দাপটে হোস্টেল সুপার ছেড়ে দিয়েছেন তার বাংলো।

তার নেতৃত্বে ছাত্রাবাসে থাকা মানে আড্ডা, নেশা, দলবেঁধে ফুর্তি তো ছিলই, হাতে অস্ত্র থাকায় চাঁদাবাজিও ছিল কলেজ ও আশেপাশের এলাকায়। তবে এতেই কি আর প্রমাণ হয় নেতাগিরি? তার প্রমাণ রাখতে গত শুক্রবার কলেজ মাঠে ঘুরতে আসা এক দম্পতিকে ছাত্রাবাসে তুলে এনে স্বামীকে ব্যাপক মারধর আর স্ত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে সাইফুর রহমান ও তার দল।

তবে এ ঘটনা চাউর হওয়ায় প্রভাবশালী সবাই যখন মাথার ওপর থেকে আশীর্বাদের হাত তুলে নিলো তখন চোখে সর্ষেফুল দেখতে দেখতেই রাজত্ব ফেলে দীনভিখারির মতো পালিয়ে আত্মগোপন করার চেষ্টা চালায় পরম তেজি সাইফুর ও মামলাভুক্ত তার অপর সহযোগীরা। যে শখের দাড়ি রেখে বীরদর্পে নিজের চেহারা দেখাতো সাইফুল, সেই দাড়ি কেটে এলাকা ছাড়ার ফন্দি করে সে।

অন্যদিকে, আরেক বীর অর্জুন লস্কর হবিগঞ্জের প্রত্যন্ত এলাকায় পালিয়ে যায় সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতে চলে যাওয়ার ধান্দায়। তবে দুজনের আশাতেই বালি ঢেলে তাদের গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

সিলেট পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ধর্ষণ ও অস্ত্র মামলার প্রধান আসামি সাইফুর রহমান গ্রেফতার এড়াতে দাড়ি কেটে চেহারা পাল্টে ফেলার চেষ্টা করে। তবুও তার রক্ষা হয়নি। রবিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) ভোরে সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক থানাধীন সীমান্তবর্তী এলাকা খেয়াঘাট থেকে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত সাইফুর রহমান লাগঞ্জের চান্দাইপাড়া গ্রামের তাহিদ মিয়ার ছেলে। তাকে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জিজ্ঞাসাবাদ শেষে মহানগরের শাহপরাণ থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন।

তদন্ত সংশ্লিষ্ট পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, সাইফুর গ্রেফতার এড়াতে বাঁচতে তার মুখের দাড়ি কেটে ফেলে। সে সীমান্ত পথ ব্যবহার করে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। গ্রেফতারের পর সাইফুর পুলিশের কাছে ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা দেয়।

এমসি কলেজের একাধিক শিক্ষার্থী জানান, সাইফুর এমসি কলেজের ইংরেজি বিভাগ থেকে মাস্টার্স পরীক্ষা দিয়েছে। তার ইভটিজিং ও হয়রানির কারণে এমসি কলেজ থেকে অনেক মেয়ে অন্য কলেজে চলে যায়। এমনকি কলেজে সাইফুরসহ তার সহযোগীরা সাধারণ শিক্ষার্থীদের জিম্মি করে চাঁদাবাজিও করে আসছে।

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনার অন্যতম আসামি অর্জুন লস্করকে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পথে হবিগঞ্জের মাধবপুর সীমান্তের কাছের একটি গ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

রবিবার ভোর ৬টার দিকে হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলার মনতলা এলাকার দুর্বলপুর গ্রাম থেকে তাকে গ্রেফতার করে সিলেট জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মাধবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল হোসেন। তাকে গ্রেফতারের তথ্য নিশ্চিত করে জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে অর্জুন মাধবপুর উপজেলার মনতলা সীমান্ত দিয়ে ভারত পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিল। গ্রেফতারের পর তাকে সিলেটে নিয়ে গেছে সিলেট জেলা গোয়েন্দা পুলিশ।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Comments are closed.

এ বিভাগের অন্যান্য খবর

নোটিশ : ডেইলি সিলেটে প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, আলোকচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও বিনা অনুমতিতে ব্যবহার করা বেআইনি -সম্পাদক

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত

২০১১-২০১৭

সম্পাদক ও প্রকাশক: খন্দকার আব্দুর রহিম
নির্বাহী সম্পাদক: মারুফ হাসান
অফিস: ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি, ৯ম তলা, জিন্দাবাজার, সিলেট।
মোবাইল: ০১৭১২ ৮৮৬ ৫০৩
ই-মেইল: dailysylhet@gmail.com

Developed by: