cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
সিলেটের ওসমানীনগরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে শিপন মিয়া (২৪) নামের এক যুবক নিহত হয়েছে। বুধবার ইফতারে সময় উপজেলার পশ্চিম পৈলনপুর ইউপির ঈশাগ্রাই গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় ৯ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
নিহত শিপন আহমদ ঈশ্রাগ্রাই গ্রামের আশিক মিয়া ছেলে। আহতরা হলেন, ঈশাগ্রাই গ্রমের গ্রামের আশিক আলী, আশিক আলীর ছেলে, রিপন আহমদ, আব্দুল হক, আব্দুস সালাম, আনহার মিয়া, নজির মিয়া ও নজির মিয়ার ছোট এক শিশু সহ অজ্ঞাতনামা আরো ৭জন। হতাহতদের সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে আশিক মিয়া ও আব্দুল হকের অবস্থা আশংকাজন বলে তাদের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘ দিন ধরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে উপজেলার পশ্চিম পৈলনপুর ইউপির ৫নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ঈশাগ্রাই গ্রামের জয়নুল হক ধন মিয়ার সাথে একই গ্রামের নিহত শিপনের পিতা আশিক আলীর মধ্যে দীর্ঘ দিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। কিছু দিন পূর্বে ধন মেম্বার আশির মিয়া বাড়ির চালাচলের রাস্তার সামনের ভূমি নিজের দাবী করে দেয়াল নির্মাণ করে আশিক আলীর চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দেন। এ ছাড়াও ধন মেম্বারের পরিবারের পক্ষ থেকে দেয়া গ্রামের জামে মসজিদ নিয়েও আশিক আলী গংদের সাথে ধন মিয়ার পক্ষের লোকজনদের বিরোধ দীর্ঘ দিন থেকে। আশিক আলীর চলাচলের রাস্তায় ধন মেম্বারের দেয়াল নির্মাণ নিয়ে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার বিশিষ্ট সালিম ব্যক্তিত্বরা একাধিকবার বিচার সালিস করেও বিষয়টি মীমাংসা করতে পারেননি।
সম্প্রতি আশিক আলী গংরা গ্রামের মসজিদের পুকুরে মাছ মারাতে গেলেও ধন মিয়ার পক্ষ থেকে বাধা দেয়া হয় বিষয়টি পুলিশ পর্যন্ত গড়ায়। বুধবার বিকেল থেকে ইউপি সদস্য ধন মিয়ার পক্ষের এলাইচ মিয়ার সাথে আশিক মিয়ার পক্ষের ছোরাব মিয়ার মধ্যে গরুর ধান খাওয়া নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। এরই জের ধরে ইফতারের ৮/১০ মিনিটি পূর্বে জয়নুল হক ধন মিয়ার নেতৃত্বে এক পক্ষ এবং আশিক আলীর নেতৃত্বে অপর পক্ষ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় দেশী অস্ত্রের (সুলফির) আঘাতে শিপন আহমদ নামের একজন গুরুতর আহত সহ উভয় পক্ষের প্রায় ১৫জন আহত হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় শিপন মিয়া সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গিলে রাত সাড়ে ৭টার সময় হাসপাতালে শিপন মারা যায়।
এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে রাত ১০টার দিকে অভিযানে নামে পুলিশ। এ সময় মাইক্রো যোগে পালানোর সময় ইশাগ্রাই গ্রামের নাহিদ আহমদ, সাদিক মিয়া, মস্তফা মিয়া, সফিক মিয়া, আইছ আহমদ, ফরিদ মিয়াসহ ৯জনকে আটক করা হয়। এদের মধ্যে নাহিদ মিয়া হচ্ছেন অভিযুক্ত জয়নুল হক ধন মিয়ার পুত্র।
ওসমানীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ রাশেদ মোবারক দু’পক্ষের সংঘর্ষের যুবক নিহতের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সন্দেহজনক হিসেবে একটি মাইক্রোসহ ৯ জনকে আটক করে পুলিশ হেফাজতে আনা হয়েছে। যাচাই বাচাই ও জিজ্ঞাসাবাদ করে তাদের মধ্যে জড়িতদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় নেয়া হবে। ঘটনার সাথে সম্পৃক্তদের ধরতে পুলিশী অভিযান অব্যাহত আছে।
এদিকে, পুলিশী অভিযান টের পেয়ে গ্রামের অনেকেই গা ঢাকা দিয়েছেন। গ্রাম জুড়ে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।