cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
এবার এমপি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার অসহায় দরিদ্রদের ত্রাণ দেয়ার পর যুবলীগের এক নেতা কেড়ে নিয়েছেন। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
সুফিয়া খাতুন কাজ করেন মানুষের বাড়িতে। অসুস্থ স্বামী নিয়ে পরের জমিতে খুপড়ি করে থাকেন। এক মেয়ের বিয়ে হয়ে গেছে। অন্যের বাড়িতে কাজ করে যা পান, তাই দিয়েই নিজেদের খরচ চালান তিনি।
করোনার প্রাদুর্ভাবের মধ্যেই রোববার ত্রাণ নিতে গিয়েছিলেন দরিদ্র সুফিয়া। ত্রাণের প্যাকেট সামনে নিয়ে সংসদ সদস্য, ইউএনও এবং মেয়রের সামনে ছবি তোলার পর তা আবার কেড়ে নেন কালীগঞ্জের বলিদাপাড়ার যুবলীগ নেতা সমীর হোসেন ও বাবরা গ্রামের লিটন আলী। এর পর খালি হাতে সুফিয়া খাতুনকে ফিরতে হয়েছে বাড়িতে।
এভাবেই এ প্রতিবেদককে ঘটনার বর্ণনা দেন সুফিয়া খাতুন। তিনি ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার বলিদাপাড়া গ্রামের হায়দার আলীর স্ত্রী।
শুধু সুফিয়া নয়, তার মতো আরও অনেকের কাছ থেকে ত্রাণ কেড়ে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, গত রোববার বিকালে বলিদাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে ত্রাণ দেয়ার জন্য ডাকা হয়। পৌরসভার গাড়িতে করে এসব ত্রাণ নিয়ে আসা হয়।
এ সময় অসহায়দের ফাঁকা ফাঁকা হয়ে দাঁড়াতে বলা হয়। কিছুক্ষণ পর স্থানীয় সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার, ইউএনও সুবর্ণা রানী সাহা ও পৌর মেয়র আশরাফুল আলম আশরাফ ত্রাণ বিতরণ করতে মাঠে আসেন।
এর পর তাদের সামনে দেয়া হয় ত্রাণের প্যাকেট। এর পর ত্রাণ বিতরণের ছবি তোলা হয়। ত্রাণ বিতরণ শেষে মাগরিবের আজান দেয়ায় স্থানীয় সংসদ সদস্য ও পৌর মেয়র বিদ্যালয় মাঠ ত্যাগ করেন। সঙ্গে সঙ্গে ইউএনও চলে যান।
এর পর অসহায় কিছু ব্যক্তিকে বলা হয়, আপনাদের নাম তালিকায় নেই। তাদের কাছ থেকে ত্রাণের প্যাকেট কেড়ে নেন বলিদাপাড়ার যুবলীগ নেতা সমীর হোসেন ও বাবরা গ্রামের লিটন আলী।
যুবলীগ নেতা সমীর হোসেন বলিদাপাড়া গ্রামের মৃত হাতেম দফাদারের ছেলে। তিনি কালীগঞ্জ পৌর যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য।
আরেক ভুক্তভোগী বাহাদুর মণ্ডলের স্ত্রী সুন্দরী খাতুন জানান, আমার স্বামীর বয়স প্রায় ৮০ বছর। অন্যের সাহায্য ছাড়া চলাফেরা করতে পারেন না। একটা মাত্র ছেলে ভাঙাড়ির ব্যবসা করেন। অনেক দিন ধরে কাজে যেতে পারছেন না। আমি অন্যের বাড়িতে কাজ করি। সেখান থেকে যা পাই সেটি দিয়েই চলি।
তিনি বলেন, গত রোববার চাল দেয়ার পর আমাদের কাছ থেকে কেড়ে নেয়া হয়েছে। সমীর নামের একজন চাল কেড়ে নেন। একটা মেয়ে ছবি তুলছিলেন। ছবি তোলার পর চাল গাড়িতে করে নিয়ে যায়।
সুন্দরী খাতুনের ছেলে জাহাঙ্গীর হোসেন জাম্বু জানান, আমি ভাংড়ির ব্যবসা করি। অনেক দিন তেমন কোনো ব্যবসা নেই। মা-বাবা ও স্ত্রী-সন্তান নিয়ে খুব কষ্টে দিন যাচ্ছে। গত রোববার চাল দেবে শুনে তিনি বলিদাপাড়া মাঠে যান। চাল সামনেই ছিল। এর পর এমপি সাহেব নামাজ পড়তে গেলে সমীর নামে একজন এসে বলল– তোমার নাম নেই। এই বলে চাল নিয়ে চলে গেল।
বলিদাপাড়া এলাকার সাদ্দাম হোসেন বলেন, ছোট থাকতেই বাবা মারা গেছে। বড় ভাই ইজিবাইক চালায়। করোনার মধ্যে সেটিও চালাতে পারছে না। আমি চালক ছিলাম। সড়ক দুর্ঘটনায় মাথায় প্রচণ্ড আঘাত পাই। এখন কিছুই করি না। কোনো স্থান থেকে ত্রাণের সহযোগিতা এখনও পাইনি।
এ ব্যাপারে যুবলীগ নেতা সমীর হোসেন জানান, গত রোববার বলিদাপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এমপি, মেয়র ও ইউএনও থেকে ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে।
ছবি তোলার পর ত্রাণ নেয়ার বিষয়টি স্বীকার করে তিনি বলেন, তাদের তালিকায় নাম না থাকায় ত্রাণ নিয়ে অন্যদের দেয়া হয়েছে।
কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুবর্ণা রানী সাহা বলেন, আমি গিয়েছিলাম সেখানে। ত্রাণ কেড়ে নেয়ার ব্যাপারে আমি কিছুই জানি না। (সূত্র: যুগান্তর)