ডেইলি সিলেট ডেস্ক ::

সিলেটে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন ‘আল্লাহর দলের’ ৯ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে এন্টি টেরোরিজম ইউনিট। বুধবার রাত সাড়ে ১০টায় নগরীর আরামবাগ আলেয়া নীড় এলাকার ১৭ নাম্বার বাসার নীচ তলা অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে হযরত শাহপরাণ (রহ.) থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। বৃহস্পতিবার আসামীদের সিলেটের এমএম-১ আদালতে হাজির করে রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। বিজ্ঞ বিচারক আবেদনটি আমলে নিয়ে পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর ১টায় সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ সদর দফতরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়ে অতিরিক্ত কমিশনার পরিতোষ ঘোষ বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঢাকা থেকে এন্টি টেরোরিজম ইউনিটের একটি চৌকস দল সিলেটে এসে এ অভিযান পরিচালনা করে। সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের সহযোগিতায় অভিযানে নেতৃত্ব দেন এন্টি টেরোরিজম ইউনিটের পুলিশ সুপার মোহিদুজ্জামান।

গ্রেফতারকৃতরা হলো, সিলেট সদর উপজেলার টুকেরবাজার এলাকার হায়দরপুর গ্রামের আব্দুস সালামের ছেলে জুয়েল আহমদ (২৪), জকিগঞ্জ উপজেলার থানাবাজারের মানিকপুর গ্রামের মৃত মোকাদ্দেস আলীর ছেলে রাসেল আহমদ (২৪), একই উপজেলার ঈদগাহ বাজারের খাফনা গ্রামের মুক্তাদির মিয়ার ছেলে কামাল আহমদ (২৫), গোলাপগঞ্জ উপজেলার তুরস্তবাগ এলাকারম নলুয়া গ্রামের আলা উদ্দিনের ছেলে মো. স্বপন আহমদ (২১), সুনামগঞ্জ সদরের আলহেরা এলাকার শাহপুর গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে তমি উদ্দিন সুমন (৩০),বগুড়া জেলার এরুলিয়া এলাকার বড় কুমিরা গ্রামের মৃত আব্দুল মান্নান আকন্দের ছেলে মানিক আকন্দ ওরফে মেহেদী হাসান (৩২), নোয়াখালি জেলার মাইজদি কোর্ট থানার কৃষ্ণপুর গ্রামের আবুল কালামের ছেলে জহির উদ্দিন বাবর (২০), কুমিল্লা জেলার বিবির বাজার এলাকার রাজমঙ্গলপুর গ্রামের আব্দুল আলীর ছেলে আবুল কালাম আজাদ (২০), রাজশাহী জেলার বাগমারা এলাকার চেওখালি গ্রামের কায়েম উদ্দিনের ছেলে আশরাফুল ইসলাম (২৯)।

এদের মধ্যে মেহেদী হাসান আল্লাহর দলের সিলেট বিভাগীয় প্রধান, বাবর দাওয়া বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত, রাসেল সিলেট জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত, আজাদ শাহপরাণ থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত, কামাল সিলেট মেট্রোপলিটন এলাকায়, সুমন কোতোয়ালি থানা ও দক্ষিণ সুরমা এলাকায়, আশরাফুল সুনামগঞ্জ জেলায়, জুয়েল ও স্বপন সিলেট মেট্রোপলিটন এলাকার সদস্য।

এ ব্যাপারে এন্টি টেরোরিজম ইউনিটের পুলিশ সুপার মোহিদুজ্জামান জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা স্বীকার করে, তারা বাংলাদেশের অখন্ডতা, সংহতি, জননিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব বিপন্ন করার জন্য এবং জনসাধারণের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি, ধর্মীয় উগ্রবাদী মতাদর্শ প্রচারের মাধ্যমে দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি ও নাশকতা ঘটানোর উদ্দেশ্যে গোপন বৈঠক ও বিভিন্ন পরিকল্পনা, প্রশিক্ষণ ও প্রস্তুতি গ্রহণের জন্য একত্রিত হয়ে গোপন মিটিং করছিল।

তিনি আরো বলেন, বগুড়ায় এই সংগঠনের বিরুদ্ধে একটি মামলা আছে। ওই মামলার তদন্তের জন্য গ্রেফতারকৃত আসামীদের ঢাকায় নেয়া হচ্ছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন:

• ফেইসবুক
• টুইটার
• গুগল প্লাস
• ইমেইল