সর্বশেষ আপডেট : ৮ ঘন্টা আগে
বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪ খ্রীষ্টাব্দ | ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ |

DAILYSYLHET
Fapperman.com DoEscorts

রিকশা চালক থেকে রাতারাতি পীর ; হাতিয়ে নিচ্ছেন লাখ লাখ টাকা


আশেদ চাঁন মোল্লা। ১০ বছর আগে যিনি হকারি, কাঁচামালের ব্যবসা ও রিকশা চালিয়ে জীবিকা করতেন। তিনি পীর সেজে নাম রেখেছেন হজরত শাহ্ আশেদ চাঁন ফকির পাগলা। নাম পরিবর্তনের আগে ঢাকার দোহার নূরুল্লাহ্পুর পাক দরবার শরীফে মুরিদ হন তিনি।

জানা গেছে, আশেদ চাঁন মোল্লা শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার বিলাশপুর ইউপির সফি কাজিরমোড় মেহের আলী মাদবরকান্দি গ্রামের মরু মোল্লার ছেলে।

আশেদ চাঁন মোল্লা এক সময় তিনি দোচালা টিনের ঘরে পরিবার নিয়ে বসবাস করতেন। এখন পীর হয়ে চিকিৎসা দেয়ার নামে তাবিজ-কবজ দিয়ে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে গড়ে তুলেছেন বিলাসবহুল দুটি মাজার শরীফ। সেই মাজারে বিভিন্ন জেলা থেকে মুরিদরা ও এলাকার কিছু লোকজন এসে তার পায়ে সেজদা দেন।

পীর হয়ে নারী-পুরুষদের নিয়ে রাত জেগে মাদক সেবন এবং নাচগান করেন তিনি। আশেদ চাঁন ফকিরের ইসলামরিরোধী এসব কার্যকলাপের বেশ কিছু ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

এসব ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে সোমবার (২৭ জানুয়ারি) দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত জাজিরার বিলাসপুর এলাকার বাসিন্দারা উপজেলা শহীদ মিনার চত্বরে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানবন্ধন করেছেন। তারা পীর আসেদ চাঁন ফকিরের আস্তানা উচ্ছেদ ও তার কার্যকলাপ বন্ধের দাবি জানিয়েছেন।

মানবন্ধনে তারা জানান, আসেদ চাঁন ফকির ভণ্ড পীর। তিনি কয়েক বছর আগে এলাকায় হকারি, কাঁচামালের ব্যবসা করতেন, রিকশা চালতেন। কিছু ভণ্ড লোকের প্ররোচনায় প্রথমে ফকিরের বেশ, পরে ভণ্ড পীর হয়েছেন তিনি। আস্তানা করে কিছু সহজ সরল মানুষকে ভুল বুঝিয়ে তাবিজ-কবজের মাধ্যমে বশীভূত করেন এবং তার পায়ে সেজদা করান। ওরশের নামে নারী-পুরুষদের দিয়ে রাতভর নাচানাচি করেন। শুধু তাই নয় তার আস্তানায় মাদক সেবন ও মাদক বিক্রি হচ্ছে। এ কারণে সমাজের যুবকরা কুসংস্কার ও ধ্বংসের দিকে ধাবিত হচ্ছে। তাই ভণ্ড পীর আসেদ চাঁন ফকিরের আস্তানা উচ্ছেদ ও তার কার্যকলাপ বন্ধ করা প্রয়োজন।

বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, বিলাসপুর ইউপি ছাত্রলীগের সভাপতি তুষার ব্যাপারী, শিক্ষক মাওলানা আব্দুর রব হাশেমী, মাওলানা সাইদুর রহমান, গোলাম মোস্তফা, হাবিবুর রহমান, কাওছার মাহমুদ, আব্দুল ওয়াদুদ, কামাল উদ্দিন, মসজিদের ইমাম মাওলানা মাহবুবুর রহমান প্রমুখ।

তবে আশেদ চাঁন ফকির পাগলার বড় ভাই খোরশেদ আলম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমরা মুসলমান। ইসলামবিরোধী কোনো কাজ করি না। এলাকার এক শ্রেণীর লোক আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ দিচ্ছেন। আমাদের মাজার শরীফে সেজদা দেয়া নিষেধ। তাছাড়া এখানে খারাপ কোনো কাজ হয় না।

এ ব্যাপারে জাজিরা থানার ওসি আজহারুল সরকার জানান, যারা উপজেলায় আসছিল তাদের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি। তাদের আইনশৃঙ্খলা ভঙ্গ করতে নিষেধ করা হয়েছে। আসেদ চাঁন ফকির পালিয়েছেন। ইসলামবিরোধী কার্যকলাপ যেই করুক না কেন তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Comments are closed.

নোটিশ : ডেইলি সিলেটে প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, আলোকচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও বিনা অনুমতিতে ব্যবহার করা বেআইনি -সম্পাদক

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত

২০১১-২০১৭

সম্পাদকমন্ডলীর সভাপতি: মকিস মনসুর আহমদ
সম্পাদক ও প্রকাশক: খন্দকার আব্দুর রহিম, নির্বাহী সম্পাদক: মারুফ হাসান
অফিস: ৯/আই, ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি, ৯ম তলা, জিন্দাবাজার, সিলেট।
ফোন: ০৮২১-৭২৬৫২৭, মোবাইল: ০১৭১৭৬৮১২১৪
ই-মেইল: dailysylhet@gmail.com

Developed by: