স্টাফ রিপোর্টার:

নগরীর টিলাগড়ে প্রাইভেট কার উল্টে এমসি কলেজের দুই শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় কারের চালকসহ আরো ২ জন আহত হয়েছেন। দুর্ঘটনার পরই পুলিশ প্রাইভেট কারটি জব্দ করে।
গত শুক্রবার রাত ১১ টায় টিলাগড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনায় নিহত শিক্ষার্থীরা হচ্ছেন, নগরীর চামেলীবাগ এলাকার ইরেশ দাসের ছেলে এবং এমসি কলেজ মাস্টার্সের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী নাম নয়ন দাস (২৭)। নগরীর চামেলীবাগ এলাকার বাসিন্দা ও সিলেট এমসি কলেজের শিক্ষার্থী আরিফুল ইসলাম রুবেল।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার রাত ১১ টায় নগরীর টিলাগড় পয়েন্টে বেপরোয়াভাবে ঢাকা মেট্রো-ঘ ১১-৩৮৬১ প্রাইভেট কার আসে। টিলাগড় পয়েন্টের স্পিডব্রেকার ক্রসিংয়ের সময় প্রাইভেট কারটি উল্টে যায়। এতে প্রাইভেট কারের ভেতরে থাকা চার জন আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা নয়নকে মৃত ঘোষণা করেন। কারের চালক মাহের, মেহরাব এবং রুবেলকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করা হয়। ওসমানীতে রুবেলের অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকায় প্রেরণ করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রুবেল মারা যান।
দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শাহপরান থানার ওসি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী।
এদিকে সড়ক দুর্ঘটনায় কলেজের দুই ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনার প্রতিবাদে গতকাল শনিবার দুপুর ২টায় এমসি কলেজের পেছনের ফটক সংলগ্ন সড়ক অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। দুপুর ২টা থেকে শুরু হওয়া অবরোধের কারণে সিলেট-তামাবিল সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। শাহপরান থানা পুলিশ অবরোধকারী শিক্ষার্থীদের সাথে আলোচনা করে অবরোধ তুলে দেয়।
আলাপকালে শাহপরান থানার ওসি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেন, দুর্ঘটনায় এমসি কলেজের শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। তাদের দাবী টিলাগড় থেকে বালুচর যাওয়ার রাস্তায় একটি ইন্সটিটিউটের সামনে গত কয়েকদিন আগে হঠাৎ করে স্পিড ব্রেকার ও রোড ডিভাইডার বসানো হয়েছে। যার কারণেই দুর্ঘটনায় পড়ে নিহত হওয়া শিক্ষার্থীদের গাড়িটি।
এদিকে দুর্ঘটনায় নিহত নয়নের শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল শনিবার দুপুর ১২ টায় সদর উপজেলার খাদিমপাড়া ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের চামেলীবাগ তার নিজ বাড়িতে তার শেষকৃত্য অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদটি শেয়ার করুন:

• ফেইসবুক
• টুইটার
• গুগল প্লাস
• ইমেইল