cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
ছাতক প্রতিনিধি ::
ছাতকে সড়ক দূর্ঘটনায় একটি পরিবারের সস্ত্রীক মারা যাওয়ার পর সরকারি ভাবে আর্থিক সহায়তা পেলো তাদের রেখে যাওয়া ৩ অনাথ শিশু। অনাথ এ শিশুদের বসবাসের জন্য প্রায় তিন লক্ষ টাকা ব্যয়ে একটি পাকা বসতঘর বরাদ্দসহ নগদ ৪০হাজার টাকার একটি চেক প্রদান করা হয়েছে। গেল মঙ্গলবার রাতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ গোলাম কবির গোবিন্দগঞ্জ-সৈদেরগাঁও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আখলাকুর রহমানকে সাথে নিয়ে বাউভোগলী গ্রামের বাড়িতে গিয়ে সড়ক দূঘটনায় মারা যাওয়া দম্পত্তির রেখে যাওয়া তিন অনাথ শিশুদের খোজ খবর নেন এবং সরকারি ভাবে ৪০হাজার টাকার আর্থিক সহায়তার একটি চেক শিশুদের হাতে তুলে দেন তারা। এসময় ইউপি সদস্য সুরেতাজ মিয়া, আলকাব আলী ও আনোয়ার আলী ছাড়াও গ্রামের গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গরা উপস্থিত ছিলেন।
যানা যায়, গেল বছরের ২ অক্টোবর সিলেট-সুনামগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের সদরপুর-আলাপুর এলাকায় যাত্রীবাহী লেগুনা খালের পানিতে পড়ে গিয়ে সকল যাত্রীরা আহত হয়। গুরুতর আহত তিন শিশুসহ একই পরিবারের ৫সদস্যকে উদ্ধার করে প্রথমে কৈতক ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন স্থানীয় সচেতনরা। চিকিৎসাধিন অবস্থায় ওইদিন রাতেই মারা যান স্বামী মখজুল আলী। হাসপাতালে প্রায় ৮দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্চা লড়ে অবশেষে স্বামীর পথে না ফেরার দেশে চলে যান স্ত্রী হাসিনা খাতুন। এ ঘটনায় তাদের রেখে যাওয়া আহত অবুঝ তিন শিশুরা চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থ্য হয়ে উঠে। পিতা-মাতা হারিয়ে অভিভাবকহীন হয়ে পড়ে তারা। তাদের সহায়তা প্রদানে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আখলাকুর রহমানের আহবানে গ্রাম ও এলাকার বিত্তবান লোকজন অনাথ শিশুদের পাশে এসে দাড়ান। সংবাদ পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার গোলাম কবির শিশুদের দেখতে তাদের গ্রামের বাড়িতে ছুঁটে যান।
এসময় তিনি ব্যক্তিগত ভাবে শিশুদের সহায়তা করেন। এর আগে অনাথ এ শিশুদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন, ইউপি চেয়ারম্যান আখলাকুর রহমান। ইউএনও ও ইউপি চেয়ারম্যান শিশুদের শান্তনা দিয়ে সরকারি ভাবে একটি ঘর বরাদ্ধ, আর্থিক সহায়তা প্রদানের আশ্বাস দিয়ে আসেন। অবশেষে ঘটনার প্রায় তিন মাস পর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ইউপি চেয়াম্যানের মাধ্যমে শিশুদের সরকারি ভাবে প্রায় তিন লক্ষ টাকা ব্যয়ে একটি পাকা বসতঘর বরাদ্দ দেয়া হয়। এছাড়াও সহায়তার জন্য অনাথ শিশুদের হাতে আরো ৪০হাজার টাকার একটি চেক তুলে দেন উপজেলার নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ গোলাম কবির। গোবিন্দগঞ্জ সৈদেরগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আখলাকুর রহমান বলেন, দূর্ঘটনার পর তার আহবানে এলাকার বিত্তবানরা এগিয়ে এসে শিশুদের সহায়তা করেন। সম্প্রতি পত্রিকায় সংবাদ পেয়ে ঢাকা ও বি-বাড়িয়া থেকে এখানে এসে দু’জন ব্যক্তি শিশুদের আর্থিক সাহায্য করে গেছেন। তিনি বলেন, সরকারি ভাবে প্রায় তিন লক্ষ টাকা ব্যয়ে একটি পাকা বসতঘর শিশুদের জন্য বরাদ্দ হয়েছে। পিতা-মাতা হারা অনাথ শিশুদেরকে আরো নগদ ৪০হাজার টাকার একটি চেকও দিয়েছে সরকার।