সর্বশেষ আপডেট : ১৩ ঘন্টা আগে
বুধবার, ১২ নভেম্বর ২০২৫ খ্রীষ্টাব্দ | ২৮ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ |

DAILYSYLHET
Fapperman.com DoEscorts

‘লংমার্চ টু যমুনা’র প্রস্তুতি নিচ্ছেন শিক্ষক-কর্মচারীরা

ডেইলি সিলেট ডেস্ক ::

বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা তিন দফা দাবিতে, যার মধ্যে প্রধান দাবি হলো মূল বেতনের ২০ শতাংশ (ন্যূনতম ৩ হাজার টাকা) বাড়ি ভাড়া, বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) টানা পঞ্চম দিনের মতো আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন।

সকাল ১০ টায় রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে কয়েক হাজার শিক্ষক-কর্মচারী জড়ো হয়েছেন। তারা স্লোগান দিচ্ছেন, ‘২০ শতাংশ বাড়ি ভাড়া, দিতে হবে দিতে হবে’, ‘বাংলার শিক্ষক, এক হও এক হও’, ‘শিক্ষকদের সঙ্গে প্রহসন, মানি না মানি না’ প্রভৃতি।

আন্দোলনকারী শিক্ষক-কর্মচারীরা বলেন, দাবি আদায় না হলে পূর্বঘোষণা অনুযায়ী আজ দুপুরে তারা প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনমুখী ‘লংমার্চ টু যমুনা’ কর্মসূচি পালন করবেন।

বুধবার অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে আন্দোলনকারী শিক্ষকদের বাড়ি ভাড়া ১০ শতাংশ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণপ্রত্যাশী জোটের যুগ্ম সদস্যসচিব আবুল বাশার। বৃহস্পতিবার সকাল সোয়া ১০টার দিকে আবুল বাশার বলেন, ‘সরকারের সঙ্গে আমাদের দর-কষাকষি চলছে। সরকারের পক্ষ থেকে ১০ শতাংশ বাড়ি ভাড়া দেওয়ার বিষয়ে মনোভাব প্রকাশ করা হয়েছে। বুধবার রাতে সরকারের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে।’

তবে এই শিক্ষক নেতা স্পষ্ট করে বলেন, ‘আমরা ২০ শতাংশ ছাড়া আন্দোলন থামাব না।’ তিনি পুনরায় হুঁশিয়ারি দেন, আজ দুপুর ১২টার মধ্যে প্রজ্ঞাপন না হলে তারা পূর্বঘোষণা অনুযায়ী ‘মার্চ টু যমুনা’ কর্মসূচি পালন করবেন।

এর আগে, মূল বেতনের ২০ শতাংশ হারে বাড়িভাড়া ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে ও পুলিশের বলপ্রয়োগের প্রতিবাদে সোমবার সকাল থেকে সারাদেশের সব বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ রয়েছে। ফলে দেশের বিভিন্ন স্থানে স্কুল–কলেজে ক্লাস কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে।

আন্দোলনরত শিক্ষকরা জানান, সরকারের প্রস্তাবিত বাড়িভাড়া ও চিকিৎসা ভাতা বৃদ্ধির হার ‘অপর্যাপ্ত ও অবাস্তব’। তারা মূল বেতনের ২০ শতাংশ হারে ভাতা বৃদ্ধির পাশাপাশি সর্বজনীন বদলি নীতি বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছেন।

গত রোববার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে পুলিশ শিক্ষকদের সরাতে গেলে ধস্তাধস্তি ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এতে এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। পরে সংগঠনের নেতাদের আহ্বানে শিক্ষকরা শহীদ মিনারে অবস্থান নেন এবং সেখান থেকেই লাগাতার আন্দোলনের ঘোষণা দেন।

রোববার ও সোমবার রাতভর রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করেন শিক্ষকরা। কেউ প্লাস্টিকের চট বিছিয়ে, কেউ ব্যানার মাথার নিচে দিয়ে রাত কাটান। তাদের দাবি, প্রজ্ঞাপন না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি ও আন্দোলন চলবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Comments are closed.

এ বিভাগের অন্যান্য খবর

নোটিশ : ডেইলি সিলেটে প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, আলোকচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও বিনা অনুমতিতে ব্যবহার করা বেআইনি -সম্পাদক

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত

২০১১-২০১৭

সম্পাদক ও প্রকাশক: খন্দকার আব্দুর রহিম
নির্বাহী সম্পাদক: মারুফ হাসান
অফিস: ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি, ৯ম তলা, জিন্দাবাজার, সিলেট।
মোবাইল: ০১৭১২ ৮৮৬ ৫০৩
ই-মেইল: dailysylhet@gmail.com

Developed by: