cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
ডেইলি সিলেট ডেস্ক ::
বাংলাদেশের রাজনীতিতে নাটকীয় এক বাঁকে দাঁড়িয়ে আছেন শান্তিতে নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। অন্তর্বর্তী সরকারের নেতৃত্ব গ্রহণের পর থেকে এখন পর্যন্ত যেসব আশাবাদ জন্মেছিল, সেগুলো অনেকটাই ম্লান হয়ে গেছে। দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং নির্বাচন ঘিরে তৈরি হওয়া চাপের কারণে তিনি এখন পদত্যাগের কথা ভাবছেন।
গত আগস্টে শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে সংঘটিত আদর্শবাদী গণআন্দোলনের মুখে দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতায় থাকা শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর অনেকেই আশান্বিত হয়েছিলেন—গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার পথে বাংলাদেশ নতুন করে যাত্রা শুরু করেছে। তখন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার হিসেবে অধ্যাপক ইউনূসকে দায়িত্ব দেওয়া হয়, যিনি আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে একজন সম্মানিত ব্যক্তি। তখনো রাজপথে রক্তপাত চলছিল, রাজনৈতিক অস্থিরতা ছিল চরমে। সেই প্রেক্ষাপটে ইউনূস ছিলেন শান্তির প্রতীক এবং একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের সম্ভাব্য রূপকার।
তবে সময় যত গড়িয়েছে, রাজনৈতিক সমীকরণ পাল্টেছে। এখন দেশের সবচেয়ে প্রভাবশালী রাজনৈতিক দল বিএনপি এবং সেনাবাহিনীর মধ্যে ক্রমবর্ধমান ঐক্য অধ্যাপক ইউনূসের জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাঁর নীতিমালা এবং ধীরগতির নির্বাচন প্রস্তুতির সমালোচনা করছেন তাঁরা। তাঁর ঘনিষ্ঠ সহযোগীরা বলছেন, এই পরিস্থিতিতে ইউনূস নিজেকে বাধাগ্রস্ত এবং কোণঠাসা মনে করছেন।
গত বৃহস্পতিবার ইউনূস একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গিয়েছিলেন। তাঁর সরকারের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, তিনি পদত্যাগপত্রের খসড়াও তৈরি করেছিলেন। যদিও পরে উপদেষ্টাদের অনুরোধে সিদ্ধান্তটি স্থগিত করেন। তাঁর ধারণা, এমন পদত্যাগে দেশের স্থিতিশীলতা আরও খারাপ হতে পারে।
সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের সাম্প্রতিক বক্তব্য—”এই বছরই নির্বাচন হওয়া উচিত”—এই বিষয়টিও ইউনূসকে ব্যথিত করেছে। কারণ, ইউনূস মনে করেন, দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য এখনো অনুকূল নয়। তিনি এর আগে জানিয়েছিলেন, ২০২৬ সালের জুন নাগাদ বাংলাদেশ নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত হতে পারে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো নির্দিষ্ট সময়সীমা তিনি দেননি।
একটি সুসংগঠিত নির্বাচন পরিচালনায় সময় নেওয়ার পক্ষপাতী অধ্যাপক ইউনূস, কিন্তু বিএনপি চায় যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক। কারণ হাসিনার আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হওয়ায় তারা মনে করছে, নির্বাচন হলে তাদের জয় নিশ্চিত। এই প্রেক্ষাপটে ইউনূসের প্রতি তাদের প্রাথমিক সমর্থন এখন প্রায় প্রত্যাহার করা হয়েছে।
নানাবিধ নীতিগত মতপার্থক্যও এই দূরত্ব তৈরিতে ভূমিকা রেখেছে। ইউনূস সরকারের পক্ষ থেকে দেশের প্রধান বন্দর চট্টগ্রামকে বেসরকারিকরণ, মিয়ানমারে মানবিক করিডর চালু এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে পুনর্গঠন করার প্রস্তাবগুলো বিএনপি ভালোভাবে নেয়নি।
অধ্যাপক ইউনূসের ঘনিষ্ঠ এক কর্মকর্তা জানান, তিনি মনে করছেন যাঁরা তাঁকে সহযোগিতা করার কথা, তাঁরা এখন তাঁকে অবজ্ঞা করছেন। দেশের প্রধান দুটি রাজনৈতিক দলের একটি নিষিদ্ধ এবং অপরটি চায় দ্রুত নির্বাচন। এই দুই চাপে পড়ে অধ্যাপক ইউনূস ক্রমেই হতাশ হয়ে পড়ছেন।
অসলো বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ও বিশিষ্ট বিশ্লেষক মোবাশ্বার হাসান বলেন, “অধ্যাপক ইউনূস একজন চমৎকার ব্যাংকার এবং প্রশাসনিক নেতা হতে পারেন, তবে রাজনৈতিক নেতৃত্বে যে দৃঢ়তা প্রয়োজন, তা তাঁর মধ্যে দৃশ্যমান নয়। বরং তিনি তাঁর উপদেষ্টাদের দ্বারা অনেকাংশে প্রভাবিত হন।”
এর মধ্যেই ইউনূসের সাবেক উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম ফেব্রুয়ারিতে ‘জাতীয় নাগরিক পার্টি’ (এনসিপি) গঠন করে ছাত্রদের সমর্থন পাওয়ার চেষ্টা করছেন। তিনিও অধ্যাপক ইউনূসকে অনুরোধ করেছেন যেন তিনি পদত্যাগ না করেন।
নাহিদ ইসলাম বলেন, “তিনি (ইউনূস) মনে করছেন, নানা মহল থেকে চাপ ও বিশৃঙ্খলার কারণে এখন আর তিনি সুষ্ঠুভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারছেন না।”
এদিকে, গণআন্দোলনের নেতৃত্বদানকারী শিক্ষার্থীরা এখন শেখ হাসিনার সমর্থকদের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়ে পড়লেও তারা বিএনপিকেও ক্ষমতায় দেখতে চায় না। দেশের অধিকাংশ মানুষ এখনো ইউনূসের ওপর আস্থা রাখছেন। কিন্তু পরিস্থিতি ক্রমেই জটিল হয়ে উঠছে। ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন না হলে রাজনৈতিক অস্থিরতা আরও বাড়বে—এমন আশঙ্কা করছেন অনেক বিশ্লেষক।
রাষ্ট্রবিজ্ঞানী মোবাশ্বার হাসান বলেন, “ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন হতে পারত। এখানে একমাত্র বাধা হচ্ছে সরকারের সদিচ্ছার অভাব।”
এই অস্থির ও অনিশ্চিত সময়েই দাঁড়িয়ে অধ্যাপক ইউনূস নিজের দায় ও দায়িত্ব নিয়ে গভীর আত্মসমালোচনার ভেতর দিয়ে যাচ্ছেন। তাঁর সিদ্ধান্ত কী হবে, সেটিই এখন বাংলাদেশে আগামীর রাজনৈতিক গতিপথ নির্ধারণে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন।