সর্বশেষ আপডেট : ১৮ মিনিট ৫৭ সেকেন্ড আগে
সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫ খ্রীষ্টাব্দ | ৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ |

DAILYSYLHET
Fapperman.com DoEscorts

গাঁজার বাজার হিসেবে সুপরিচিত একটি জায়গা হচ্ছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান

ডেইলি সিলেট ডেস্ক ::

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যাকাণ্ডের পর রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মাদক বেচাকেনা নিয়ে নতুন প্রশ্ন তৈরি হয়েছে।ঘটনাস্থলে ঘুরে দেখা গেছে, দিনদুপুরে উদ্যানটিতে গাঁজাসহ বিভিন্ন মাদকদ্রব্য খোলাখুলিভাবে বিক্রি হচ্ছে, যা ‘গাঁজার বাজার’ বলেই পরিচিত হয়ে উঠেছে স্থানীয়দের কাছে।

১৪ মে, বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে সাড়ে ৩টা পর্যন্ত সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সরেজমিন ঘুরে ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ী, চা বিক্রেতা ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য।

চা বিক্রেতা আল-আমিন বলেন, “এখানে গাঁজা বিক্রি হয় ঠিক চিংড়ি মাছের মতো, ডেকে ডেকে জিজ্ঞেস করে ‘কয়টা লাগবে’। প্রতিদিন অন্তত ৫০ থেকে ৬০ কেজি গাঁজা বিক্রি হয়। কিছু বলার সাহস নেই, কারণ এদের প্রায় সবার কাছেই চাকু থাকে। প্রতিবাদ করলেই হামলা করে বসে।”

তিনি আরও জানান, এই চক্রের মূল হোতারা আড়ালেই থাকেন। সাধারণ বিক্রেতারা খোলামেলা ব্যবসা করলেও গডফাদারদের চিহ্নিত করা কঠিন। “তারা যখন যেখানে দরকার, সেখানে মিশে যায়, খুঁজে পাওয়া যায় না,” বলেন তিনি।

স্থানীয় ডেকোরেশন কর্মী জামাল শেখ জানান, কয়েকটি কিশোর গ্রুপ সন্ধ্যার পর মাদক ব্যবসায় নামে। “এরা এখানকারই ছেলে। মাঠে বড় হয়েছে। গাঁজা ছাড়া কিছুই বোঝে না। শিক্ষার অভাবে তারা ভালো-মন্দ বিচার করতে পারে না। ভালো মানুষ গেলেও তাকেও জিজ্ঞেস করে ফেলে ‘কয়টা লাগবে?’”

তার দাবি, প্রতিদিন প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ কেজি গাঁজা বিক্রি হয়। সঙ্গে ইয়াবা, মদও রয়েছে তালিকায়। রাতে হিসাব বুঝিয়ে দেওয়া হয়, যেন এটি একটি সুসংগঠিত ব্যবসা।

এদের আটক করলেও কয়েকদিন পরই জামিনে ছাড়া পেয়ে আবার আগের জায়গায় ফিরে আসে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। জামাল বলেন, “শাহবাগ থানায় গেলে অনেকের নামে মামলা পাওয়া যাবে। কিন্তু ১০–১২ দিন পরেই তারা আবার এখানে ফিরে আসে।”

এ বিষয়ে শাহবাগ থানার ওসি মো. খালিদ মুনসুর জানান, “প্রতিদিনই আমরা অভিযান চালাই, ধরি। তবে জামিনে তারা ছাড়া পেয়ে যায়। এখন শাহবাগ ব্লক করা হয়েছে, সবাই ওখানে সরে গেছে। আমরা সময় করে আবার অভিযান চালাব।”

তিনি আরও বলেন, “আমরা আটক করে চালান দিই। কিন্তু আদালত থেকে তারা জামিনে বেরিয়ে আসে। জামিনে সহায়তার লোকের কোনো অভাব নেই।”

সংবাদটি শেয়ার করুন

Comments are closed.

এ বিভাগের অন্যান্য খবর

নোটিশ : ডেইলি সিলেটে প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, আলোকচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও বিনা অনুমতিতে ব্যবহার করা বেআইনি -সম্পাদক

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত

২০১১-২০১৭

সম্পাদক ও প্রকাশক: খন্দকার আব্দুর রহিম
নির্বাহী সম্পাদক: মারুফ হাসান
অফিস: ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি, ৯ম তলা, জিন্দাবাজার, সিলেট।
মোবাইল: ০১৭১২ ৮৮৬ ৫০৩
ই-মেইল: dailysylhet@gmail.com

Developed by: