সর্বশেষ আপডেট : ২২ ঘন্টা আগে
সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫ খ্রীষ্টাব্দ | ৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ |

DAILYSYLHET
Fapperman.com DoEscorts

কুমিল্লায় এনজিওর দুই কর্মীকে তুলে নিয়ে নির্যাতনের অভিযোগ, মামলা

ডেইলি সিলেট ডেস্ক ::

কুমিল্লার চান্দিনায় এনজিওর এক পুরুষ ও এক নারী কর্মীকে আটকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। নির্জন বাগানে নিয়ে পুরুষ কর্মীকে গাছের সঙ্গে বেঁধে নারী কর্মীকে নগ্ন করে শারীরিক ও যৌন নির্যাতন করা হয়। মোবাইল ফোনে ধারণ করা নগ্ন ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে অর্থ আদায় করে অভিযুক্তরা। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

সোমবার সন্ধ্যার পর থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত চান্দিনা পৌরসভার তুলাতলী দক্ষিণপাড়া দীঘির পারের একটি বাগানে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মঙ্গলবার ৪ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা দায়ের করে এনজিওর পুরুষ কর্মী তারেক রহমান। তারা একটি এনজিওর চান্দিনা শাখায় কর্মরত।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, একটি এনজিওর চান্দিনা শাখায় কর্মরত এক পুরুষ ও এক নারী কর্মী তুলাতলি গ্রামে ঋণের কিস্তি আদায় করতে সন্ধ্যা গড়িয়ে যায়। এ সময় কয়েকজন যুবক তাদের আটক করে তুলাতলী গ্রামের শেষে এতবারপুর মালিবাড়িসংলগ্ন একটি মৎস্য প্রজেক্টের পাড়ে নিয়ে তাদের আদায় করা কিস্তির টাকা ছিনিয়ে নেয়। এ সময় স্থানীয় রুহুল আমিন নামে এক লোক দেখে ফেলায় সেখান থেকে হাত ও চোখ বেঁধে তাদের তুলাতলি দক্ষিণপাড়া দীঘির পাড়ে নিয়ে আটক করে।

এ সময় পুরুষ কর্মীকে গাছের সঙ্গে বেঁধে মারধর করে এবং বৈদ্যুতিক শক দেয়। নারী কর্মীকে নগ্ন করে লাঞ্ছিত করে এবং মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ করে। ওই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে আবার চাঁদা দাবি করে।

এ সময় ওই নারী তার বোনকে ফোন করে এবং নির্যাতনকারীদের বিকাশ নম্বরে ২০ হাজার টাকা পাঠায়। ওই টাকা পাওয়ার পরও নারীকে শারীরিক নির্যাতন করা শুরু করে। একপর্যায়ে গ্রামের লোকজন টের পেয়ে ডাকাত বলে ধাওয়া করলে নির্যাতনকারীরা পালিয়ে যায়।

এনজিওর ঋণ আদায়কারী তারেক রহমান জানান, আমরা কিস্তির টাকা আদায় শেষে ফেরার পথে এ ঘটনা ঘটে। আমাদের বাগানে নিয়ে আমাকে গাছের সঙ্গে বেঁধে মারধর করে এবং বৈদ্যুতিক শক দেয়। আর নারী কর্মীকে নগ্ন করে শারীরিক যৌন নির্যাতন করে। তারা নারীকে পুরো নগ্ন করে মোবাইলে ভিডিও ধারণ করে ২ লাখ টাকা দাবি করে। বিকাশে ২০ হাজার টাকা এনে দেই কিন্তু তারা বাকি টাকা পেলে ভিডিও ডিলিট করবে বলে জানায়।

তিনি বলেন, ২০ হাজার টাকা নেওয়ার পরও তারা নারীর ওপর অত্যাচার শুরু করে। গ্রামবাসী টের পেয়ে ধাওয়া করে এবং আমাদের উদ্ধার করে পুলিশে খবর দেন। পুলিশ আমাদের উদ্ধার করে চান্দিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করায়।

চান্দিনা থানার ওসি নাজমুল হুদা জানান, হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে আমরা তাদের থানায় এনে বিস্তারিত শুনে মামলা নেই। আসামিদের গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Comments are closed.

এ বিভাগের অন্যান্য খবর

নোটিশ : ডেইলি সিলেটে প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, আলোকচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও বিনা অনুমতিতে ব্যবহার করা বেআইনি -সম্পাদক

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত

২০১১-২০১৭

সম্পাদক ও প্রকাশক: খন্দকার আব্দুর রহিম
নির্বাহী সম্পাদক: মারুফ হাসান
অফিস: ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি, ৯ম তলা, জিন্দাবাজার, সিলেট।
মোবাইল: ০১৭১২ ৮৮৬ ৫০৩
ই-মেইল: dailysylhet@gmail.com

Developed by: