cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
ডেইলি সিলেট ডেস্ক ::
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি বলেছেন, তেহরান কখনোই যুক্তরাষ্ট্রের চাপের মুখে নতি স্বীকার করে আলোচনায় বসবে না। শনিবার তিনি এ কথা বলেন, একদিন আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছিলেন, তিনি ইরানের শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন পরমাণু চুক্তি নিয়ে আলোচনা করার জন্য।
ফক্স বিজনেসকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, ‘ইরানকে সামাল দেয়ার দুটি উপায় রয়েছে- সামরিক পদক্ষেপ অথবা একটি চুক্তি করা, যাতে তারা পরমাণু অস্ত্র অর্জন করতে না পারে।’
স্থানীয় সময় শনিবার তেহরানে এক ভাষণে খামেনি অভিযোগ করেন, যুক্তরাষ্ট্র শুধু পরমাণু ইস্যুতেই নয়, বরং ইরানের প্রতিরক্ষা সক্ষমতা ও আন্তর্জাতিক সম্পর্কেও শর্ত চাপিয়ে দিতে চায়।
গত শুক্রবার ফক্স বিজনেস নেটওয়ার্কে এক সাক্ষাৎকারে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে আলোচনার আহ্বান জানিয়ে দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে তিনি চিঠি পাঠিয়েছেন।
ট্রাম্প বলেন, ‘আমি বলেছি, আশা করি আপনি আলোচনায় বসবেন, কারণ এটি ইরানের জন্য ভালো হবে।’ একইসঙ্গে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, আলোচনায় বসতে অস্বীকৃতি জানালে বিষয়টিতে সরাসরি হস্তক্ষেপ করতে বাধ্য হবে যুক্তরাষ্ট্র। এ অবস্থায়, তেহরানের কল্যাণে সমঝোতাই যুক্তিসঙ্গত হবে বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।
ওই চিঠিতে তেহরানের দ্রুত অগ্রসরমাণ পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ন্ত্রণে একটি নতুন চুক্তির বিষয়ে আলোচনার আহ্বান জানানো হয়েছে।
তবে শনিবার তেহরান জানিয়েছে, তারা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছ থেকে পারমাণবিক চুক্তির বিষয়ে আলোচনার জন্য কোনো চিঠি পায়নি।
এরপরও এই ইস্যুতে ইরানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের সময় খামেনি অভিযোগ করেন, যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশ্য আলোচনার মাধ্যমে সমাধান নয়, তারা এই অঞ্চলে নিজেদের আধিপত্য বিস্তার করতে চায়।
দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, কিছু দাদাগিরি করা দেশ আলোচনা চায়, কিন্তু আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করা তাদের লক্ষ্য নয়, বরং তাদের উদ্দেশ্য মধ্যপ্রাচ্যে নিজেদের আধিপত্য বিস্তার।
খামেনি আরও বলেন, আলোচনার আহ্বান তাদের নতুন একটি কৌশল, তারা পারমাণবিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে চায় না, এর মাধ্যমে তাদের আকাঙ্খা চাপিয়ে দিতে চায়, যা ইরান কখনোই মেনে নেবে না।
ট্রাম্প তার প্রথম দফা প্রেসিডেন্ট থাকার সময় ইরানের ওপর ‘সর্বোচ্চ চাপ’ প্রয়োগের নীতি গ্রহণ করেছিলেন, যা তেহরানকে বৈশ্বিক অর্থনীতি থেকে বিচ্ছিন্ন করার পাশাপাশি দেশটির তেল রপ্তানি শূন্যে নামিয়ে আনতে চেয়েছিল।
২০১৭-২০২১ মেয়াদে ট্রাম্প ইরান ও বিশ্বশক্তিদের মধ্যে স্বাক্ষরিত ঐতিহাসিক চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে সরিয়ে নেন, যা তেহরানের পরমাণু কার্যক্রমের ওপর কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছিল এবং এর বিনিময়ে নিষেধাজ্ঞা শিথিল করেছিল।
২০১৮ সালে ট্রাম্প চুক্তি থেকে বেরিয়ে এসে নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করলে, ইরান সেই শর্ত লঙ্ঘন করে তার পারমাণবিক কর্মসূচি আরও সম্প্রসারিত করে।
জাতিসংঘের পরমাণু পর্যবেক্ষক সংস্থা আইএইএ’র প্রধান রাফায়েল গ্রোসি সতর্ক করেছেন, ইরানের পরমাণু কর্মসূচির ওপর নতুন বিধিনিষেধ আরোপের জন্য কূটনৈতিক সময় দ্রুত ফুরিয়ে যাচ্ছে। কারণ, তেহরান তার ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের মাত্রা অস্ত্র-উপযোগী পর্যায়ে নিয়ে যাচ্ছে।
তবে ইরান বরাবরই দাবি করে আসছে, তার পরমাণু কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে পরিচালিত হচ্ছে।
সর্বোচ্চ নেতা খামেনি বলেন, ‘বলপ্রয়োগ ও ধমক মোকাবিলার একমাত্র পথ হলো প্রতিরোধ করা।’
সম্প্রতি ইরান তার প্রচলিত অস্ত্রভাণ্ডারে নতুন সংযোজনের ঘোষণা দিয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে প্রথম ড্রোনবাহী যুদ্ধজাহাজ এবং একটি ভূগর্ভস্থ নৌঘাঁটি। এসব তেহরান ও যুক্তরাষ্ট্র-ইসরাইলের মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে এসেছে।