cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
রাজীব ঘোষ ::
নগরীর ড্রেনেজ ব্যবস্থায় ত্রুটি দেখা দিয়েছে। বৃষ্টির পানি সড়ক থেকে ড্রেনে ঢুকার পকেট সরু হওয়ায় তা দ্রুত বেরিয়ে যেতে পারে না। দীর্ঘ সময় পানি সড়কেই থেকে যাচ্ছে। ফলে তৈরী হচ্ছে জলাবদ্ধতা। বিষয়টি নজরে আসলে পকেট বড় করার কাজ শুরু করেছে সিলেট সিটি কর্পোরেশন (সিসিক)। গত দুই বছরে সম্পন্ন করা এসব ড্রেনের পকেট বা পথ আগেই বড় রাখার প্রয়োজন ছিলো বলে মনে করছেন সচেতন মহল।
অতিবৃষ্টির সময় সড়ক থেকে পানি ড্রেনে গড়িয়ে পড়ার পথ ছোট ও অপর্যাপ্ত থাকার কারণে সুফল থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন নগরবাসী। বিষয়টি নজরে আসতেই কাজ শুরু করেছে সিসিক। তবে সুষ্ঠু পরিকল্পনার অভাবে একই জিনিসে বার বার উন্নয়ন বা সংস্কারকাজ করায় সিসিকের সমালোচনাও করছেন অনেকে।
গত সোমবার সরেজমিনে দেখা গেছে পকেটগুলো সংস্কারে ব্যস্ত রয়েছেন সিসিকের নির্মাণ শ্রমিকরা। নগরীর মিরের ময়দান সড়কে দেখা গেছে এসব দৃশ্য। অতীত অবস্থা পর্যালোচনা করে আবার ড্রেনের পকেট বড় করা হচ্ছে উল্লেখ করে সিসিক প্রকৌশলী আলী আকবর গনমাধ্যমকে জানিয়েছেন পর্যাপ্ত গ্রেডিং না থাকায় আবার কাজ করা হচ্ছে। সময়ের প্রয়োজনে মূলত তা করা হচ্ছে। যাতে করে সড়ক থেকে পানি দ্রুতি ড্রেনে গড়িয়ে পড়তে পারে। বার বার ব্যয় প্রসঙ্গে তিনি বলেন, চাহিদা থাকলে ব্যয় করতে হবে। আগে মনে হয়েছিল রাখা পকেটগুলো যতেষ্ট। এখন প্রয়োজনের কারণে বাড়ানো হচ্ছে।
জানা গেছে, ২০২২ সালে দুই দফা বন্যায় নগরবাসী জলাবদ্ধতায় চরম ভোগান্তিতে পড়েন। অথচ আগের বছরই ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়নে ১২৯ কোটি টাকার কাজ করে সিসিক। এক যুগে খাল ও ড্রেনেজ সংস্কারে কম করে হলেও হাজার কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। এ অবস্থায় বিশেষজ্ঞদের মতামতের ভিত্তিতে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নেয় সিসিক। গত মার্চে রিকাবীবাজার-চৌহাট্টা সড়কে কালভার্ট বড় করে ও চৌহাট্রা-আম্বরখানা সড়কের সিভিল সাজন অফিসের সামন থেকে দরগা গেটের মূল ফটকের সামন পর্যন্ত সড়কের নীচে বড় ড্রেন করে পানি নিস্কাসনের ব্যবস্থা করা হয়। একই সময়ে সোবহানীঘাট মোড় এলাকার সড়কও বড় করে ড্রেনের সাথে যুক্ত করা হয়েছে। এতে সাড়ে ৪০০ কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে।
সিসিকের তথ্যমতে, জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রতি বছরই নানা প্রকল্প বাস্তবায়ন করে আসছে নগর ভবন। সর্বশেষ ২০১৯ সালে নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসন, বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ ও অবকাঠামো নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়নে ১ হাজার ২২৮ কোটি টাকা বরাদ্দ আসে। ওই প্রকল্পের আওতায় ২০১৯-২০ অর্থবছরে ২৬৯ কোটি ৫০ লাখ টাকা, ২০২০-২১ অর্থবছরে ২৯৩ কোটি ৫৯ লাখ টাকা, ২০২১-২২ অর্থবছরে ২৯৮ কোটি ৪৬ লাখ ৮৭ হাজার টাকা ব্যয় হয়। চলতি অর্থবছরে ৩৬৬ কোটি ৪৬ লাখ টাকা ব্যয়ে ৩২৭ কিলোমিটার ড্রেন, সড়ক ও ৮ কিলোমিটার রিটেইনিং ওয়াল নির্মাণ কাজ করা হয়। কিন্তু অতিবৃষ্টির সময় নগরীর বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা কমছেনা। রাস্তার পানি দ্রুত গিয়ে ড্রেনে পড়তে পারেনা ছোট পকেটের কারণে। আর সেজন্য পকেট বড় করার মতো সংস্কার কাজ হতে নেয়া হয়েছে। যদিও এতে ব্যয় বেড়েছে সিসিকের।