সর্বশেষ আপডেট : ২ ঘন্টা আগে
মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪ খ্রীষ্টাব্দ | ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ |

DAILYSYLHET
Fapperman.com DoEscorts

কোম্পানীগঞ্জে ব্যবসায়ী শাহীন হত্যা মামলার আসামিদের গ্রেফতার দাবি

সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ইছাকলস নিজগাঁও গ্রামের ব্যবসায়ী শাহীন আহমদ হত্যা মামলার আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে এবং স্বজনদের হুমকি দিচ্ছে। এতে শাহীনের পরিবারের সদস্যরা নিরাপত্তাহীনতা বোধ করছেন। এমতাবস্থায় দ্রুত আসামিদের গ্রেপ্তার করে শাস্তি নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন নিহতের বড় ভাই মো. শামীম আহমদ।
মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি জানান। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘গত ১১ এপ্রিল ঈদের দিন সন্ত্রাসীরা ঘোষণা দিয়ে আমার ছোটভাইকে নির্মমভাবে হত্যা করে। হত্যাকাণ্ডের ২০ দিন অতিবাহিত হলেও অজ্ঞাত কারণে মামলার মূল আসামিদের গ্রেফতার করছে না পুলিশ।’

ঘটনার বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, ‘গত ১১ এপ্রিল বৃহস্পতিবার, পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিবাগত রাত পৌণে আটটায় সংঘবদ্ধ একটি সন্ত্রাসীচক্র সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ইছাকলস নিজগাও গ্রামে আমার ছোট ভাই রাজধানী ঢাকার ইলেকট্রিক ব্যবসায়ী শাহীন আহমদকে নির্মমভাবে হত্যা করে। হত্যাকাণ্ডের মাসখানেক আগে থেকে সন্ত্রাসীরা আমাকে ও আমার ভাইকে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছিল। তাদের ক্রমাগত হুমকিতে ভয় পেয়ে আমি নিরাপত্তার জন্য থানায় একাধিক জিডি করেছিলাম। তবুও আমি আমার ভাইকে বাঁচাতে পারলাম না।’
শামীম জানান, ২০ বছর ধরে তিনি ঢাকায় অবস্থান করে ব্যবসাবাণিজ্য করে আসছেন। তার ব্যবসায়িক প্রতিপক্ষ একই গ্রামের রজব আলীর পুত্র আনোয়ার হোসেন ও শাহেদ আহমদও ঢাকায় অবস্থান করে একই ধরনের ব্যবসা করে আসছেন। গত ১১ মার্চ ভাড়াটে খুনী মরম আলী ঢাকায় ডেকে নিয়ে তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। বাধ্য হয়ে আমি ৩১ মার্চ রাজধানী ঢাকার বংশাল থানায় জিডি (নং ১৪৪৭) করেন তিনি। ১০ এপ্রিল অর্থাৎ ঈদের আগের দিন কোম্পানীগঞ্জ থানায় জিডি (নং ৪৫০) করেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘ঈদুল ফিতরের জামাত থেকে খুনী সন্ত্রাসী চক্র ও তাদের লোকজন আমাদের উপর আক্রমণ করার জন্য আমাদের গতিবিধি লক্ষ করে আসছিল। বিষয়টি বুঝতে পেরে আমরা ঘর থেকে বের হচ্ছিলাম না। সন্ধ্যায় আমাদের এলাকার ইউপি সদস্য নেছার মেম্বার ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উভয় পক্ষের মধ্যে সালিশ মীমাংসার উদ্যোগ গ্রহণ করলে আমরা নিজেদেরকে একটু নিরাপদ মনে করি। কিন্তু ঘর বের হয়ে সড়কে যেতেই অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী চক্রের আক্রমণের শিকার হয়ে আমার ভাইকে হারাই।’
হত্যাকাণ্ডের আগে প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসীরা গোপন বৈঠক করে হত্যার পরিকল্পনা করেছিল জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ঈদের দিন বেলা ১ থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত সন্ত্রাসীরা ইছাকলস নিজগাও রাইজুরি টিলায় গোপন বৈঠক করে। ওই বৈঠকে তারা আমরা দুই ভাইকে প্রাণে হত্যার পরিকল্পনা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।’

এ ঘটনায় ১৫ এপ্রিল কোম্পানীগঞ্জ থানায় ১০ জনের নামে মামলা করা হয় বলে জানান তিনি। কিন্তু পুলিশ আসামিদের গ্রেফতারে আন্তরিক নয় জানিয়ে তিনি বলেন, ‘মামলার পর থেকে পুলিশ মূল আসামী আনোয়ার ও শাহেদকে গ্রেফতার করতে গড়িমসি করছে। তাদের সঠিক অবস্থান পুলিশকে জানানোর পরও রহস্যজনক কারণে তাদেরকে গ্রেফতার করতে তৎপরতা লক্ষ্য করা যায়নি। এই সুযোগে আসামীরা ঢাকায় বুক ফুলিয়ে হাঁটছে আর ব্যবসা করছে। যা মামলার বাদী ও নিহতের ভাই হিসেবে আমার নিরাপত্তা ও প্রাণের জন্য হুমকিস্বরূপ।’
শামীম আহমদ পুলিশ প্রশাসনসহ আইনশৃঙখলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সরকারের সংশ্লিষ্ট মহলের কাছে তার ভাই হত্যাকারীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে দ্রুত বিচার নিশ্চিত করার জোর দাবি জানান। – বিজ্ঞপ্তি

সংবাদটি শেয়ার করুন

Comments are closed.

এ বিভাগের অন্যান্য খবর

নোটিশ : ডেইলি সিলেটে প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, আলোকচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও বিনা অনুমতিতে ব্যবহার করা বেআইনি -সম্পাদক

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত

২০১১-২০১৭

সম্পাদকমন্ডলীর সভাপতি: মকিস মনসুর আহমদ
সম্পাদক ও প্রকাশক: খন্দকার আব্দুর রহিম, নির্বাহী সম্পাদক: মারুফ হাসান
অফিস: ৯/আই, ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি, ৯ম তলা, জিন্দাবাজার, সিলেট।
ফোন: ০৮২১-৭২৬৫২৭, মোবাইল: ০১৭১৭৬৮১২১৪
ই-মেইল: dailysylhet@gmail.com

Developed by: