cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
ডেইলি সিলেট ডেস্ক ::
গ্রীষ্মের শুরুতেই খরতাপে দগ্ধ হচ্ছে বাংলাদেশ। দেশের বিভিন্ন স্থানে একের পর এক হচ্ছে সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড। তীব্র গরম থেকে নিস্তার পাচ্ছেন না কেউ। প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের হচ্ছেন না কেউ। স্কুল কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া অনেকেই বাসায় থেকে অফিসের কাজ সামলাচ্ছেন। এমন পরিস্থিতিতে আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলছে, সহসাই কমছে না গরম। আর বৃষ্টির সম্ভাবনাও ক্ষীণ।
এদিকে তাপপ্রবাহের পরিপ্রেক্ষিতে আবহাওয়া অধিদপ্তরের জারি করেছে ‘হিট অ্যালার্ট’। সোমবার (২২ এপ্রিল) আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশীদ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে, তীব্র তাপপ্রবাহের সময় আরও ৭২ ঘণ্টা বাড়িয়ে সতর্কবার্তা দিয়েছে অধিদপ্তর। মানে আগামী তিন দিন ‘হিট অ্যালার্ট’ জারি থাকবে।
এর আগে রোববার (২১ এপ্রিল) আবহাওয়াবিদ মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বোচ্চ ৪২.২ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে, পাবনায় ৪২ ডিগ্রি, কুষ্টিয়ায় ৪০ ডিগ্রি এবং যশোরে ৪০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। আর দুপুর তিনটায় ঢাকায় সর্বোচ্চ ৩৮.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের এক বুলেটিনে বলা হয়েছে, পাবনা, যশোর ও চুয়াডাঙ্গা জেলাসমুহের ওপর দিয়ে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। আর রাজশাহী জেলাসহ খুলনা বিভাগের অবশিষ্টাংশ এবং ঢাকা বিভাগের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। ময়মনসিংহ, মৌলভীবাজার, ফেনী, কক্সবাজার, চাঁদপুর ও রাঙ্গামাটি জেলাসহ বরিশাল বিভাগ এবং রাজশাহী বিভাগের অবশিষ্টাংশের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।
শহিদুল ইসলাম আরও জানান, দেশের দুটি জেলা বাদে অন্যান্য অংশে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বৃষ্টির কোনো পূর্বাভাস নেই।
এদিকে গতকাল রাজধানী ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪০.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বিপুল সংখ্যক যানবাহন আর সবুজের অভাব থাকা ইটপাথরের এই নগরে এমন উচ্চ তাপমাত্রায় শ্বাসরুদ্ধ অবস্থা দেখা দেয়। এটি এ মৌসুমে রাজধানীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।
আবহাওয়া অফিস জানায়, কোনো অঞ্চলে তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়ালে সেটিকে অতি-তীব্র তাপদাহ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়, ৪০ থেকে ৪১.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তীব্র এবং ৩৮ থেকে ৩৯.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসকে মাঝারি তাপপ্রবাহ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। আর ৩৬ থেকে ৩৭.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রাকে মৃদু তাপপ্রবাহ বলা হয়।
এই অবস্থায় অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে বাংলাদেশে জনজীবন। প্রচণ্ড গরমে খেটে খাওয়া মানুষসহ আপামর জনতার নাভিশ্বাস উঠছে। প্রচণ্ড তাপদাহে হিটস্ট্রোকে সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় মোট ৮ জন মারা গেছেন। এদের মধ্যে দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে দুইজন, মেহেরপুর, পাবনা, নরসিংদী, শরীয়তপুর, ঝালকাঠি ও সিলেটে একজন করে রয়েছেন।
অন্যদিকে শুধু বাংলাদেশই নয়, দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশেও জনজীবনকে দুর্বিষহ করে তুলেছে তীব্র তাপদাহ। ভারতীয় উপমহাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ওপর বিরাজ করছে বড় সংখ্যক তাপপ্রবাহ।
উপমহাদেশের বিভিন্ন কিছু সর্বোচ্চ এলাকায় সর্বোচ্চ ৪৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মতো তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। তবে বেশিরভাগ অঞ্চলেই দিনের বেলায় তাপমাত্রা ৩২ থেকে সর্বোচ্চ ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে থাকছে।
ভারতের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে বাংলাদেশের পার্শ্ববর্তী উড়িষ্যা ও পশ্চিমবঙ্গে। এরমধ্যে উড়িষ্যায় ৪৫.২ ডিগ্রি এবং পশ্চিমবঙ্গে এর সামান্য কম ৪৪.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার রেকর্ড হয়েছে।
অপর প্রতিবেশী মিয়ানমারের চৌক নামের এক শহরে গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড হয়েছে ৪৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাজধানী নেপিডো থেকে উত্তরপশ্চিম দিকে ইরাবতী নদীতীরে অবস্থিত এই শহর