cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
ডেইলি সিলেট ডেস্ক ::
নির্বাচিত হয়ে স্মার্ট নগরী উপহার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী।
এই কর্মপরিকল্পনার অংশ হিসেবে নগরের পরিচ্ছন্নতা ও ফুটপাত থেকে হকার উচ্ছেদ করে চমক দেখিয়েছেন। এবার ঈদের আগেই নগরের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি জিরো টলারেন্সে আনার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন।
এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুরে সিলেট মেট্টোপলিটন পুলিশের উদ্যোগে কোতোয়ালি মডেল থানায় ১১০টি সিসি ক্যমেরার উদ্বোধন করেন সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এসএমপি কমিশনার জাকির হোসেন খান।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্যে বলেন, অন্যান্য স্থানের তুলনায় সিলেট নগরের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অনেক ভাল। এরপরও আমরা জিরো টলারেন্সে আনতে চাই। এ জন্য ১১০টি পয়েন্টে সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। আরো ৭০ টি পয়েন্টে সিসি ক্যামেরা বসবে। পর্যায়ক্রমে বাজেট প্রাপ্তি সাপেক্ষে ৪২টি ওয়ার্ডকে সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা হবে।
তিনি বলেন- বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে সিলেট নগরীকে সিসি ক্যামেরার আওতায় নিয়ে আসেন।সেটিকে আরো আধুনিকায়ন করে স্মার্ট সিলেট নগরী গড়তে কাজ করে যাাচ্ছি।
তিনি বলেন ‘বাংলাদেশ পুলিশ আগের থেকে অনেক আধুনিক। সরকারের একান্ত প্রচেষ্টায় পুলিশ বাহিনীকে একটি শক্তিশালী বাহিনীতে রূপান্তর করা হয়েছে’।
তিনি আরও বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তথ্য-প্রযুক্তির দিকে খুবই স্মার্ট হয়েছে। প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে অনেক স্পর্শকাতর ঘটনাও এখন সমাধান করা যায় যা কয়েক বছর আগেও সম্ভব ছিলো না। এই নজরদারী সিস্টেম প্রকল্প সিলেট নগরীকে আরো স্মার্ট নগরীতে পরিণত করবে এবং স্মার্ট সেবা প্রদানে সবার সহজ হবে।
পুলিশ কমিশনার জাকির হোসেন খান বলেন, অপরাধী সনাক্তকরণে ১০ ফেস ক্যামেরা এবং অপরাধে ব্যবহৃত যানবাহন সনাক্তকরণ ১০টিসহ ১১০টি ক্যামেরার মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হবে।
সিসিক ও এসএমপি সূত্র জানায়, ডিজিটাল সিটি গঠনের অংশ হিসেবে ২০১৯ সালে নগরীর ব্যস্ততম ও গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় ১১০টি সিসি ক্যামেরা বসানো হয়। এর মধ্যে ছিলো ১০টি ‘ফেস রিকগনিশন’ ক্যামেরা। ক্যামেরাগুলো বসানোর পর অপরাধ দমনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তবে ধীরে ধীরে অধিকাংশ ক্যামেরা বিকল হয়ে পড়ে। মহানগর পুলিশের পক্ষ থেকে ক্যামেরাগুলো সচল করার উদ্যোগ নিতে কয়েকবার অনুরোধ জানালেও তৎকালীন সময়ে সিটি করপোরেশন তাতে সায় দেয়নি। ফলে ডিজিটাল নগরীর ক্যামেরাগুলো অকার্যকর হয়ে পড়ে। বর্তমান মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী দায়িত্ব নেওয়ার পর এসএমপির পক্ষ থেকে ফের একই অনুরোধ জানানো হয়। বিষয়টি জানার পর নগরবাসীর জানমালের নিরাপত্তার স্বার্থে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী মেরামতের মাধ্যমে ক্যামেরাগুলো সচল করার উদ্যোগ নেয়ার নির্দেশ দেন।
এবিষয়ে এসএমপি কমিশনার গণমাধ্যমকে আরো বলেন, ক্যামেরাগুলো সচল হওয়ার পর এখন থেকে নগরীতে অপরাধ কমে আসবে। ক্যামেরার আওতাভুক্ত এলাকায় কোনো অঘটন ঘটলে ফুটেজ দেখে জড়িতদের সহজেই শনাক্ত করা যাবে। অপরাধ কর্মকান্ডের পর অপরাধীর অবস্থানও শনাক্ত সম্ভব হবে।
এ ছাড়া নগরের যানজটের অবস্থাও সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে দেখা যাবে। কোথাও যানজট বেশি হলে মনিটরিং রুম থেকে তাৎক্ষণিক পুলিশের ট্রাফিক বিভাগকে অবগত করা হবে।
সিলেট সিটি করপোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী রুহুল আমিন জানান, সিসি ক্যামেরাগুলো সচল করতে এসএমপির পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হয়েছিল। পুলিশের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে দরপত্র আহ্বান করে ঠিকাদার নিয়োগের মাধ্যমে ক্যামেরাগুলো সংস্কার করে সচল করা হয়েছে। এখন থেকে পুলিশ ক্যামেরাগুলো ব্যবহার করবে।
অনুষ্ঠানে এসএমপি পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।