cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
ডেইলি সিলেট ডেস্ক ::
শরীয়তপুরে জাজিরা উপজেলায় কবিরাজের চিকিৎসায় এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আল ইসলাম নামের সেই শিশুর মরদেহ ময়নাতদন্ত ছাড়া দাফন করা হলে আদালতের নির্দেশে এক মাস পর ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সোমবার (১১ মার্চ) শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার কেন্দ্রীয় কবরস্থান থেকে তোলা হয় আল ইসলামের মরদেহ।
নিহত আল ইসলাম (২৯ দিন) জাজিরা ইউনিয়নের খোসাল শিকদার কান্দি গ্রামের রাসেল মাঝির ছেলে।
পুলিশ জানায়, গত ৪ ফেব্রুয়ারি ঠান্ডাজনিত সমস্যায় আক্রান্ত ২৯ দিনের শিশু আল ইসলামকে প্রথমে জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে তার পরিবার। সেখানে তার অবস্থা অবনতি হলে চিকিৎসক তাকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেন। সদর হাসপাতালেও আল ইসলামের উন্নতি না হওয়ায় চিকিৎসক ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যেতে পরামর্শ দেন। শিশুটির মা-বাবা তাকে ঢাকার নেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এমন সময় জাজিরা উপজেলার কবিরাজ মাহমুদ আকন কান্দি যিনি রহিম খান ওরফে রহিম ফকির নামে পরিচিত তিনি শিশুটির বাবাকে ফোন করে বলেন, ‘ঢাকা নেওয়ার দরকার নেই। এটা কবিরাজি চিকিৎসা। তুমি আমার কাছে নিয়ে আসো। আমি তোমার ছেলেকে সুস্থ করে দেব।’
পুলিশ আরও জানায়, তার কথায় বিশ্বাস করে বাবা রাসেল মাঝি শরীয়তপুর সদর হাসপাতাল থেকে গত ৫ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৩টার দিকে শিশুটিকে রহিম ফকিরের কাছে নিয়ে যান। এরপর রহিম ফকির শিশু আল ইসলামকে প্রতিদিন ৩ বার কবিরাজি চিকিৎসা প্রদান করেন। ফকিরের চিকিৎসা চলাকালীন সময়ে গত ৮ ফেব্রুয়ারি আল ইসলাম মারা যায়।
পরে শিশু আল ইসলামের বাবা রাসেল মাঝি ৫ জনকে আসামি করে জাজিরা থানায় মামলা দায়ের করলে আদালত শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেন পুলিশকে। পুলিশ শিশুটি দাফনের ১ মাস ৩ দিন পর জাজিরা উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) আরিফুর রহমানের উপস্থিতিতে মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠান।
শিশুটির বাবা রাসেল মাঝি কান্নজড়িত কণ্ঠে বলেন, কেউ যেন ফকিরের (কবিরাজ) কথা বিশ্বাস না করে। ফকির আমার ছেলেকে শেষ করে দিছে। আমি এর বিচার চাই।
জাজিরা থানার ওসি হাফিজুর রহমান বলেন, আদালতের নির্দেশে শিশু আল ইসলামের মরদেহ উদ্ধার করে শরীয়তপুর হাসপাতালে পাঠিয়েছি। ময়নাতদন্তের পর আল ইসলামের মরেদহ তার স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।