cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
ডেইলি সিলেট ডেস্ক ::
সুইজারল্যান্ডভিত্তিক টোটাল এনার্জিস গ্যাস অ্যান্ড পাওয়ার লিমিটেড থেকে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এতে খরচ ধরা হয়েছে ৪৭০ কোটি ৪৮ লাখ ৬০ হাজার ১৬০ টাকা।
মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এই এলএনজি আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে। কমিটির আহ্বায়ক অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সভাপতিত্বে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। নতুন সরকারের অধীনে এটি সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির প্রথম বৈঠক।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জানানো হয়েছে, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে সুইজারল্যান্ডের টোটালএনার্জিস গ্যাস অ্যান্ড পাওয়ার লিমিটেড থেকে থেকে এক কার্গো এলএনজি আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। প্রতি এমএমবিটিইউ ১০ দশমিক ৮৮ মার্কিন ডলার হিসেবে ৩৩ লাখ ৬০ হাজার এমএমবিটিইউ এলএনজি আমদানিতে মোট খরচ হবে ৪৭০ কোটি ৪৮ লাখ ৬০ হাজার ১৬০ টাকা।
এ বিষয়ে জানানো হয়েছে, অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি’র (সিসিইএ) সভার অনুমোদনক্রমে স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি ক্রয়ের জন্য সংক্ষিপ্ত তালিকাভুক্ত ২২টি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে মাস্টার সেল অ্যান্ড পার্সেস এগ্রিমেন্ট (এমএসপিএ) সই চুড়ান্ত করা হয়। পেট্রোবাংলা এক কার্গো এলএনজি সরবরাহের জন্য ২২টি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে দরপ্রস্তাব আহ্বান করা হলে ২টি প্রতিষ্ঠান দরপ্রস্তাব দাখিল করে।
দুটি প্রস্তাবই কারিগরি ও আর্থিকভাবে রেসপনসিভ হয়। দরপত্রের সকল প্রক্রিয়া শেষে প্রস্তাব প্রক্রিয়াকরণ কমিটি’র (পিপিসি) সুপারিশের প্রেক্ষিতে সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান সুইজারল্যান্ডের টোটালএনার্জিস গ্যাস অ্যান্ড পাওয়ার লিমিটেড কাছ থেকে এক কার্গো এলএনজি আমদানির প্রত্যাশাগত অনুমোদনের প্রস্তাব করে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ।
এদিকে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন, ২০১০ (সংশোধনী ২০২১)’-এর আওতায় মাস্টার সেল অ্যান্ড পার্সেস এগ্রিমেন্ট (এমএসপিএ) সই করা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্য থেকে কোটেশন সংগ্রহ প্রক্রিয়ায় স্পর্ট মার্কেট থেকে এই এলএনজি আমদানি করা হবে। এটি ২০২৪ সালের তৃতীয় এলএনজি আমদানির ক্রয় প্রস্তাব।
সূত্রটি জানায়, এলএনজি’র মূল্য অস্বাভাবিক বাড়ায় ২০২২ সালের জুলাই থেকে ২০২৩ এর জানুয়ারি পর্যন্ত স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি আমদানি কার্যক্রম বন্ধ ছিল। এ পরিস্থিতিতে চাহিদার তুলনায় গ্যাসের সরবরাহ কম থাকায় বিদ্যুৎ উৎপাদন, ক্যাপটিভ বিদ্যুৎ ও শিল্প খাতে স্বাভাবিক গ্যাস সরবরাহে বিঘ্ন ঘটে। ফলে ব্যবসায়ী সংগঠনের পক্ষ থেকে গ্যাস সরবরাহ নির্বিঘ্ন করার দাবি ওঠে।
এরপর ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন, ২০১০ (সংশোধনী ২০২১)’-এর আওতায় মাস্টার সেল অ্যান্ড পার্সেস এগ্রিমেন্ট (এমএসপিএ) সই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে আবার স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি আমদানি করা হচ্ছে। দেশে নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহের জন্য স্পট মার্কেট থেকে ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালে জুন পর্যন্ত মোট ১৩ কার্গো এলএনজি কিনতে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে।
উল্লেখ্য, ক্রয় কমিটির অনুমোদনের জন্য (টেবিলে ৩টি প্রস্তাবসহ) ১২টি প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়েছিল। প্রস্তাবনাগুলোর মধ্যে কৃষি মন্ত্রণালয়ের ৪টি, শিল্প মন্ত্রণালয়ের ৪টি, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ৩টি এবং জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের ১টি প্রস্তাবনা ছিল।
ক্রয় কমিটির অনুমোদিত ১২টি প্রস্তাবে মোট অর্থের পরিমাণ ২ হাজার ৩ কোটি ৫৮ লাখ ১০ হাজার ৬৬০ টাকা। মোট অর্থায়নের মধ্যে জিওবি থেকে ব্যয় হবে ৮৬১ কোটি ৬৭ লাখ ৬০ হাজার ১৬০ টাকা এবং দেশীয় ব্যাংক অর্থায়ন করবে ১ হাজার ১৪১ কোটি ৯০ লাখ ৫০ হাজার ৫০০ টাকা।