সর্বশেষ আপডেট : ৩ ঘন্টা আগে
শনিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৪ খ্রীষ্টাব্দ | ২০ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ |

DAILYSYLHET
Fapperman.com DoEscorts

শীতে কাঁপছে উত্তরবঙ্গ, বিপাকে নিম্ন-আয়ের মানুষ

ডেইলি সিলেট ডেস্ক ::

গত এক সপ্তাহ ধরে সূর্যের দেখা নেই দেশের উত্তরবঙ্গের জেলাগুলোতে। কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়েছে সব। তাই দিনের বেলায়ও যানবাহন চলাচল করছে হেডলাইট জ্বালিয়ে। কনকনে শীতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। ঘন কুয়াশা ও হিমেল হাওয়ায় খুব বেশি প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘরের বাইরে বের হচ্ছে না। সন্ধ্যার পর রাস্তাঘাট ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে। সন্ধ্যা থেকে সারারাত বৃষ্টির মতো টিপ টিপ করে ঝরছে কুয়াশা। সাত দিন ধরে ১০ থেকে ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে তাপমাত্রা উঠা-নামা করছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক জানিয়েছেন, রংপুর বিভাগের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় সব থেকে কম তাপমাত্রা ছিল দিনাজপুরে, ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সৈয়দপুরে ১১ দশমিক ৩ ডিগ্রি, তেঁতুলিয়ায় ১১ দশমিক ৯ ডিগ্রি, ডিমলায় ১২ দশমিক ৬ ডিগ্রি, রংপুরে ১৩ ডিগ্রি, কুড়িগ্রামের রাজারহাটে ১৩ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া রাজশাহী, নওগাঁ, নাটোর, চুয়াডাঙ্গা, চাঁপাইনবাবগঞ্জেও তাপমাত্রা শীতের স্বাভাবিকের তাপমাত্রার চেয়ে অনেক নীচে অবস্থান করছে।
তিনি আরও জানিয়েছেন, সামনের আরও কয়েকদিন শীতের তীব্রতা বাড়বে। এ মাসে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। উত্তরবঙ্গের আকাশ মেঘলাসহ ঘন কুয়াশা অব্যাহত থাকবে।

এদিকে কনকনে শীতে সবচেয়ে বিপাকে পড়েছে খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষ। প্রচণ্ড শীতে গরম কাপড়ের অভাবে তারা সকালে কাজে যেতে পারছে না। সেই সঙ্গে রোজগার না থাকায় কষ্টের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে পরিবার নিয়ে। খরকুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

ভ্যানচালক কান্দের আলী বলেন, সকাল ৭টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত মাত্র ৬০ টাকার ভাড়া মেরেছি। এখনও চালের টাকাও আয় হয় নাই। এভাবে সংসার চলবে কীভাবে?

দিনমজুর নুর মোহাম্মদ বলেন, সকাল হতে ঘুরে বেড়াচ্ছি কোনো কাজ পাচ্ছি না। গতকালও কাজ ছিল না।

মুদি দোকানদার সৈকত ইসলাম বলেন, কয়েকদিন ধরে কোনো বিক্রি নাই। মানুষ বাড়ি থেকে কম বের হচ্ছে। তাই বিক্রিও কমে গেছে।

অন্যদিকে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলার শিশু হাসপাতালগুলো, সদর হাসপাতালগুলোতে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। জানা গেছে, দিনাজপুর শিশু হাসপাতালে গত তিন দিনে তিন শতাধিক শীতজনিত রোগী চিকিৎসা দিয়েছেন।

হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক মশিউর রহমান জানিয়েছেন, এমন শীতে শিশুদের গরম কাপড় পরিয়ে রাখতে হবে। কোনোভাবেই ঠান্ডা লাগানো যাবে না। পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন কাপড় থাকলে শিশুদের রোগবালাই কম হয়। শিশু ও বৃদ্ধদের শীতজনিত রোগ হলেই হাসপাতালে নেয়ার পরামর্শ দেন তিনি।

মশিউর রহমান আরও জানান, নিউমোনিয়া, ডায়রিয়া, শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বৃদ্ধরা।

এছাড়া উত্তরবঙ্গের একমাত্র বিমানবন্দর সৈয়দপুরে ঘন কুয়াশার কারণে সকাল ১১টায় দৃষ্টিসীমা ৮০০ মিটার থাকায় সূচি অনুযায়ী তিনটি ফ্লাইট অবতরণ করেনি।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Comments are closed.

নোটিশ : ডেইলি সিলেটে প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, আলোকচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও বিনা অনুমতিতে ব্যবহার করা বেআইনি -সম্পাদক

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত

২০১১-২০১৭

সম্পাদকমন্ডলীর সভাপতি: মকিস মনসুর আহমদ
সম্পাদক ও প্রকাশক: খন্দকার আব্দুর রহিম, নির্বাহী সম্পাদক: মারুফ হাসান
অফিস: ৯/আই, ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি, ৯ম তলা, জিন্দাবাজার, সিলেট।
ফোন: ০৮২১-৭২৬৫২৭, মোবাইল: ০১৭১৭৬৮১২১৪
ই-মেইল: dailysylhet@gmail.com

Developed by: