সর্বশেষ আপডেট : ১ ঘন্টা আগে
সোমবার, ১৩ মে ২০২৪ খ্রীষ্টাব্দ | ৩০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ |

DAILYSYLHET
Fapperman.com DoEscorts

টানেলে কোন গাড়ির টোল কত

ডেইলি সিলেট ডেস্ক ::

কর্ণফুলী নদীর দুই তীর পতেঙ্গা আর আনোয়ারায় পতপত করে উড়ছে লাল-সবুজের পতাকা। রক্তঋণে পাওয়া এই পতাকা জানান দিচ্ছে, আর মাত্র কিছুসময়— এর পরই বাংলাদেশ সৃষ্টি করতে যাচ্ছে আরেকটি গৌরবদীপ্ত ইতিহাস। খরস্রোতা কর্ণফুলীর বুক চিড়ে বাংলাদেশ নির্মাণ করেছে সুড়ঙ্গপথ। দক্ষিণ এশিয়ায় নদীর তলদেশে সুড়ঙ্গপথ বা টানেল নির্মাণের ইতিহাস আর কোনো দেশের নেই।

শনিবার উদ্বোধন হতে যাচ্ছে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত বঙ্গবন্ধু টানেল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিকভাবে এর উদ্বোধন করবেন। এরপর রোববার ভোর থেকে নদীর তলদেশ দিয়ে রোমাঞ্চকর যাত্রার স্বাদ নিতে পারবেন জনসাধারণ।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, টানেলে কোন কোন যানবাহন চলবে, তা নির্ধারণ করা হয়েছে। এটি দিয়ে থ্রি হুইলার ও মোটরসাইকেল চলাচল করতে পারবে না।

টানেলের ভেতর চলতে হলে কোন গাড়িকে কত টোল দিতে হবে, তার একটি তালিকা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ। এই তালিকা অনুযায়ী, টানেলের মধ্য দিয়ে যেতে হলে প্রাইভেটকার, জিপ ও পিকআপকে দিতে হবে ২০০ টাকা করে। শাহ আমানত সেতুতে ব্যক্তিগত গাড়ির জন্য ৭৫ টাকা এবং জিপের জন্য ১০০ টাকা দিতে হয়। টানেলের ভেতর চলতে হলে মাইক্রোবাসের জন্য দিতে হবে ২৫০ টাকা। শাহ আমানত সেতুতে এই হার ১০০ টাকা। ৩১ বা এর চেয়ে কম আসনের বাসের জন্য ৩০০ এবং ৩২ বা তার চেয়ে বেশি আসনের জন্য ৪০০ টাকা টোল দিতে হবে। যদিও শাহ আমানত সেতুতে নেয়া হয় যথাক্রমে ৫০ ও ১৫৫ টাকা। টানেল দিয়ে যেতে হলে ৫ টনের ট্রাকে ৪০০ টাকা, ৫ থেকে ৮ টনের ট্রাকে ৫০০ টাকা, ৮ থেকে ১১ টনের ট্রাকে ৬০০ টাকা টোল দিতে হবে।

তবে শাহ আমানত সেতুতে টোল নেয়া হয় যথাক্রমে ১৩০, ২০০ ও ৩০০ টাকা। ট্রেইলরের (চার এক্সেল) টোল নির্ধারণ করা হয়েছে ১০০০ টাকা। শাহ আমানত সেতুতে এই হার ৭৫০ টাকা। চার এক্সেলের বেশি হলে প্রতি এক্সেলের জন্য দিতে হয় ২০০ টাকা করে।

চীনের সাংহাই শহরের আদলে ‘ওয়ান সিটি টু টাউন’ গড়ার লক্ষ্যে ২০১৬ সালের ১৪ অক্টোবর কর্ণফুলী নদীর তলদেশে স্বপ্নের টানেল নির্মাণকাজের যৌথভাবে ভিত্তিপ্রস্তুর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও চীনা রাষ্ট্রপতি শিং জিনপিং। ২০১৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রথম টানেল টিউবের বোরিং কাজের উদ্বোধন করেন। এরপর ২০২০ সালের ১২ ডিসেম্বর সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের দ্বিতীয় টিউবের উদ্বোধন করেন। এ টানেলটির নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে চীনা প্রতিষ্ঠান চায়না কমিউনিকেশন অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন কোম্পানি। কর্ণফুলীর দুই তীরকে যুক্ত করা এই টানেল নির্মাণে মোট ব্যয় হয়েছে ১০ হাজার ৬৮৯ কোটি ৭১ লাখ টাকা। এর মধ্যে বাংলাদেশ সরকার ৪ হাজার ৬১৯ কোটি ৭১ লাখ টাকার যোগান দিয়েছে। চীন সরকারের অর্থ সহায়তা ৬ হাজার ৭০ কোটি টাকা। মূল টানেল নির্মাণ কাজের শতভাগ খরচ বহন করছে চীন সরকার। মূল টানেল ৩ দশমিক ৩২ কিলোমিটার দীর্ঘ। যার মধ্যে টিউবের দৈর্ঘ্য ২ দশমিক ৪৫ কিলোমিটার। টানেলের পূর্ব ও পশ্চিম প্রান্তে মোট ৫ দশমিক ৩৫ কিলোমিটার এপ্রোচ রোড আছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Comments are closed.

নোটিশ : ডেইলি সিলেটে প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, আলোকচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও বিনা অনুমতিতে ব্যবহার করা বেআইনি -সম্পাদক

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত

২০১১-২০১৭

সম্পাদকমন্ডলীর সভাপতি: মকিস মনসুর আহমদ
সম্পাদক ও প্রকাশক: খন্দকার আব্দুর রহিম, নির্বাহী সম্পাদক: মারুফ হাসান
অফিস: ৯/আই, ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি, ৯ম তলা, জিন্দাবাজার, সিলেট।
ফোন: ০৮২১-৭২৬৫২৭, মোবাইল: ০১৭১৭৬৮১২১৪
ই-মেইল: dailysylhet@gmail.com

Developed by: