সর্বশেষ আপডেট : ১৯ ঘন্টা আগে
বুধবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২৩ খ্রীষ্টাব্দ | ২২ অগ্রহায়ণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ |

DAILYSYLHET
Fapperman.com DoEscorts

করমুক্ত থাকছে ফ্রিল্যান্সারদের আয়

ডেইলি সিলেট ডেস্ক ::

ফ্রিল্যান্সারদের আয়ের ওপর ১০ শতাংশ কর দিতে হবে না বলে জানিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। তিনি জানান, বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সারদের কোনো উৎসে কর দিতে হবে না। তারা ট্যাক্সের আওতার বাইরে।

শনিবার রাজধানীর একটি হোটেলে ফেলিসিটি ইন্টারনেট ডাটা সেন্টারের উদ্যোগে আয়োজিত ‘বিএফএসআই ক্লাউড এবং সাইবার সিকিউরিটি’ শীর্ষক নলেজ শেয়ারিং অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানান।

ফ্রিল্যান্সারদের আয়কর প্রসঙ্গে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিগত ১৪ বছরে প্রযুক্তিবান্ধব আওয়ামী লীগ সরকার ফ্রিল্যান্সিং খাতের উন্নয়ন ও বিকাশে ফ্রিল্যান্সারদের জন্য প্রশিক্ষণ, উদ্যোক্তা হিসেবে তৈরি করতে অনুদান প্রদান, তাদের আইডিসহ নানামুখী কার্যক্রম বাস্তবায়ন করেছে। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে সরকারের উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করতে এবং ফ্রিল্যান্সারদের বিভ্রান্ত করতে একটি মহল অপপ্রচার চালাচ্ছে। এমনকি তারা বাংলাদেশ ব্যাংক, এনবিআর ও আমাকে নিয়ে অপপ্রচারে লিপ্ত রয়েছে।

এর আগে গত বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) ফ্রিল্যান্সারদের সেবার বিনিময়ে প্রাপ্ত রেমিট্যান্সের ১০ শতাংশ কর দেয়ার নির্দেশনা দেয় বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগ। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর অঞ্চল-১১ এর মঙ্গলবারের (১২ সেপ্টেম্বর) চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে এ নির্দেশ জারি করা হয়েছিল।

প্রসঙ্গত, ফ্রিল্যান্সিং খাতে বিশ্বে দ্বিতীয় স্থানে বাংলাদেশ। সারা বিশ্বের এ শ্রমবাজারে বাংলাদেশের অংশ প্রায় ১৬ শতাংশ। তবে এ খাতের কর্মী হিসেবে বিশ্বের দ্বিতীয় স্থানে থাকলেও আয়ের দিক থেকে ৮ম। বিশ্বে ফ্রিল্যান্সিংয়ের বাজার দেড় ট্রিলিয়ন ডলার।

এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, নতুন আয়কর আইনেও ফ্রিল্যান্সারদের আয় করমুক্ত রাখা হয়েছে। ফলে ফ্রিল্যান্সারদের টাকা দেশে রেমিট্যান্স আকারে আসলেও কোনো কর দিতে হবে না। তবে বিদেশ থেকে আসা কোনো সেবা, রেভিনিউ শেয়ারিং ইত্যাদি বিদেশ হতে আয় হিসেবে আসা রেমিট্যান্স থেকে উৎসে কর কর্তন করা হবে।

জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক ও এনবিআরের সাথে কথা বলে আমি এ বিষয়ে নিশ্চিত হয়েছি ফ্রিল্যান্সারদের আয়ের উপর কোনো ধরনের উৎসে কর দিতে হবে না। তারা এর আওতার বাইরে থাকবে।

তিনি আরও বলেন, ফ্রিল্যান্সাররা দেশে রেমিটেন্স আনলে তাদেরকে ৪ শতাংশ ইনসেনটিভ দেয়া হয়। যা দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখছে।

আই‌সি‌টি প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিশ্বের নানা প্লাটফর্ম থে‌কে যে পরিমাণ ডেটা বর্তমানে বাংলাদেশে আসছে, সেগুলো যদি পুরোটা সংরক্ষণ করতে পারি, তাহলে বিলিয়ন ডলার বিজনেস অপোরচুনিটি তৈরি হবে

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন-বিটিআরসির চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর শিকদার, বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জি এস এম জাফর উল্লাহ, ফাইবার অ্যাট হোম লিমিটেডের চেয়ারম্যান মইনুল হক সিদ্দিকী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মোহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম বক্তব্য দেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

নোটিশ : ডেইলি সিলেটে প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, আলোকচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও বিনা অনুমতিতে ব্যবহার করা বেআইনি -সম্পাদক

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত

২০১১-২০১৭

সম্পাদকমন্ডলীর সভাপতি: মকিস মনসুর আহমদ
সম্পাদক ও প্রকাশক: খন্দকার আব্দুর রহিম, নির্বাহী সম্পাদক: মারুফ হাসান
অফিস: ৯/আই, ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি, ৯ম তলা, জিন্দাবাজার, সিলেট।
ফোন: ০৮২১-৭২৬৫২৭, মোবাইল: ০১৭১৭৬৮১২১৪
ই-মেইল: dailysylhet@gmail.com

Developed by: