cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
ডেইলি সিলেট ডেস্ক ::
ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্যে দিয়ে শেষ হয়েছে বিএনপির তারুণ্যের রোডমার্চের প্রথম দিন। সরকার পতনের এক দফা দাবিতে রংপুর শহর থেকে দিনাজপুর পর্যন্ত তারুণ্যের রোডমার্চ করেছে বিএনপির তিন সংগঠন যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদল। ৮০ কিলোমিটার দীর্ঘ পথে সাতটি পথসভাসহ ৯টি স্থানে বক্তব্য দেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শনিবার বেলা সোয়া ১১টায় রংপুরে দলীয় কার্যালয়ের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে শুরু হয় রোর্ডমার্চ। দিনাজপুর ট্রাক স্ট্যান্ড মাঠে সমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হয়।
রোডমার্চে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদল ও স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গদলের হাজার হাজার নেতাকর্মী বাস, ট্রাক, মাইক্রোবাস, মোটরসাইকেলের বহর নিয়ে অংশ নেন। পথে পথে রংপুর, সৈয়দপুর, নিলফামারী, দিনাজপুরসহ আশপাশের ৮টি জেলা থেকে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী গাড়ি নিয়ে রোডমার্চে যোগ দেন। একপর্যায়ে রোডমার্চের গাড়িবহর কয়েক কিলোমিটার দীর্ঘ হয়ে যায়। অনেকে ক্যাপ, দলীয় টি-শার্ট, ব্যানার, ফেস্টুন ও জাতীয় পতাকা হাতে রোডমার্চে অংশ নেন। অনেকে মাথায় রংবেরঙের ফিতা বাঁধেন। ট্রাকে সাউন্ড বক্স বাজিয়ে, নেচে গেয়ে আনন্দ উল্লাস করে রোডমার্চের বহর মাতিয়ে রাখেন। রংপুর শহর থেকে বের হওয়ার সময় উৎসুক জনতা দুই পাশে দাঁড়িয়ে হাত নেড়ে রোডমার্চের বহরকে অভিবাদন জানান।
পথে পথে বিভিন্ন স্থানে নারী, শিশুরা ঘর থেকে বের হয়ে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে রোডমার্চকে স্বাগত জানায়। রোডমার্চের শুরুতে রংপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সাইফুল ইসালম তদারকি করেন। সহযোগিতায় ছিলেন জেলা বিএনপির বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা।
প্রায় প্রতিটি পথসভার বক্তব্যে উপস্থিত জনগণের কাছে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জিজ্ঞাসা ছিল, এই সরকার আবার একটা যেনতেন নির্বাচন করতে চায়। আপনারা কি সেই একতরফা নির্বাচন হতে দেবেন? তখন উপস্থিত জনতা সমস্বরে জবাব দেন- ‘না’।
এসময় মির্জা ফখরুল জনতার উদ্দেশে বলেন, আপনাদের ঘর থেকে বের হয়ে রাস্তায় নামতে হবে। আমরা এই সরকারকে একতরফা নির্বাচন করতে দেব না। এই সরকারের পতন অবশ্যম্ভাবী।
সরকারের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল বলেন, মানে মানে কথা শুনুন, দয়া করে ক্ষমতা ছেড়ে দিন। অতীতে যেভাবে স্বৈরাচার সরকারের পতন ঘটানো হয়েছে আপনাদের পতন সেভাবে ঘটানো হবে। সারাদেশের মানুষ জেগে উঠেছে। জাগরণের মাধ্যমে তরুণদের নেতৃত্বে বাংলাদেশকে মুক্ত করা হবে।
সরকারের উদ্দেশে বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, এখনই এই সংসদ ভেঙে দিন। দলীয় নির্বাচন কমিশন বিলুপ্ত করুন। নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করুন। নিরপেক্ষ নির্বাচন দিন।
শুরুর আগে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ হয়। শুরুতে সভাপতিত্ব করেন যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, সমাপ্তির সভাপতিত্ব করেন স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম জিলানী। সঞ্চালনা করেন, যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম মিল্টন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল।
আগামীকাল ১৭ সেপ্টেম্বর সকাল ৯টায় বগুড়া চার রাস্তার মোড় থেকে শুরু করে রাজশাহীতে শেষ হবে দ্বিতীয় দিনের রোডমার্চ।
এর আগে দেশের ছয় বিভাগে তারুণ্যের সমাবেশ করেছিল যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল। এরপর ২২ জুলাই ঢাকায় অনুষ্ঠিত তারুণ্যের সমাবেশ থেকে মহাসমাবেশের ডাক দিয়েছিল বিএনপি।