সর্বশেষ আপডেট : ১২ ঘন্টা আগে
শনিবার, ৪ মে ২০২৪ খ্রীষ্টাব্দ | ২১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ |

DAILYSYLHET
Fapperman.com DoEscorts

শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধে ড. ইউনূসকে বঙ্গবন্ধু পরিষদের আহ্বান

ডেইলি সিলেট ডেস্ক ::

আদালতে অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইউনূসের মামলাগুলো প্রসঙ্গে দেশে-বিদেশে বিভিন্ন বিশিষ্ট ব্যক্তিদের দেয়া বিবৃতি প্রসঙ্গে বঙ্গবন্ধু পরিষদ শুক্রবার পাল্টা বিবৃতি দিয়েছে।

বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক এবং সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আ ব ম ফারুক বঙ্গবন্ধু পরিষদের পক্ষ থেকে যুক্ত-বিবৃতি দেন।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশের একজন অন্যতম বিশিষ্ট ব্যক্তি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অনুযায়ী তিনি রাষ্ট্রকে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব থেকে বঞ্চিত করেছেন এবং তাঁর প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শ্রমিকদেরকে তাদের পরিশ্রমের ন্যায্য পাওনা শত শত কোটি টাকা পরিশোধ করেননি- এ দুটি অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্টদের দায়েরকৃত মামলা চলমান রয়েছে। তাই মামলাগুলো আদালতে বিচারাধীন থাকা অবস্থায় দেশ ও বিদেশ থেকে বিখ্যাত ব্যক্তিত্বদের কর্তৃক এর প্রতিবাদে বিবৃতি প্রদান করা অনুচিত কাজ হয়েছে। কী কী কারণে ও কারা এই মামলাগুলো দায়ের করেছেন- এই তথ্যগুলো একটু খোঁজ নিয়ে জানলে এই সম্মানিত ব্যক্তিবর্গ একটি জনসংযোগ সংস্থার ব্যবস্থাপনায় এরকম সংকীর্ণ দৃষ্টিভঙ্গীর বিবৃতিতে স্বাক্ষর করতেন বলে আমরা মনে করি না। নোবেল পুরস্কার পেয়ে যারা সম্মানিত হন তাঁদের উচিত বিখ্যাত পুরস্কারের সম্মানটুকু বজায় রাখার জন্য নিজের নৈতিকতা ও সম্মানবোধকে সবসময় সমুন্নত রেখে ব্যক্তিগত লোভের পথে পা বাড়ানো থেকে বিরত থাকা। কিন্তু তা না করে তারা যদি অন্য অপরাধীদের মতো অপকর্ম করতে শুরু করেন তখন রাষ্ট্রকে হস্তক্ষেপ ও আদালতকে বিচার করতেই হয়, কারণ এদেশে আইনের চোখে ধনী-গরিব বা বিখ্যাত-সাধারণ সবাই সমান।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আমরা বিশ্বাস করি যে, সকল সাক্ষ্য-প্রমাণাদি চুলচেরা বিশ্লেষণ করেই এসব মামলার চূড়ান্ত রায় দেয়া হবে। বিচার চলাকালে এই সম্মানিত ব্যক্তিবর্গ চাইলে ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তার প্রমাণাদি ও আইনি প্রক্রিয়ার নিরপেক্ষতা পরীক্ষার জন্য কোনো বিশ্বখ্যাত আইন-পর্যবেক্ষকও নিয়োগ করতে পারেন কিংবা বিচার যেন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয় তারও দাবি করতে পারেন। কিন্তু তাঁরা এই বিচার কাজ বন্ধ করার কোনো দাবি করতে পারেন না। দেশ-বিদেশের এসব বুদ্ধিজীবীরা তাঁদের করা উদ্ভট দাবির মাধ্যমে প্রকারান্তরে আমাদের বিচারালয় ও বিচার ব্যবস্থাকে অসম্মান করছেন, যা কোনো বিবেচনাতেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।

বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীও এই মামলাগুলোর সবকিছু স্বচ্ছতার ভিত্তিতে পরিচালিত হচ্ছে কিনা তা দেখার জন্য তাদেরকে বাংলাদেশে আসার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। কারণ এখানে বিচার-ব্যবস্থা স্বচ্ছতার ভিত্তিতে পরিচালিত হয়। বাংলাদেশের মানুষ শ্রমিকের ঘাম শুকানোর আগেই তার পাওনা পরিশোধের নীতিতে বিশ্বাস করে। আমরা বাংলাদেশের গরিব শ্রমিকদের ন্যায্য পাওনা, দীর্ঘদিন ধরে অপরিশোধিত বিশাল অংকের টাকা দ্রুত পরিশোধ করে দেয়ার জন্য ড. ইউনূসের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। কারণ ঔদ্ধত্য দেখিয়ে কিংবা শত কোটি টাকা খরচ করে বিদেশের অতি নামী পত্রিকায় বিশাল বিজ্ঞাপন প্রকাশ করার চাইতে গরিব শ্রমিকদের পাওনা দ্রুত মিটিয়ে দেয়া অনেক বেশি নৈতিক কাজ।

এদিকে, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিচারপ্রক্রিয়া স্থগিতের দাবির প্রতিবাদে দেশের ১৭১ জন বিশিষ্ট নাগরিক, বুদ্ধিজীবী ও পেশাজীবী উদ্বেগ প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছেন।

বুদ্ধিজীবী ও পেশাজীবীদের পক্ষে শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নিসার হোসেন স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সম্প্রতি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষণ করে বিভিন্ন দেশের কয়েকজন নোবেল পুরস্কার বিজয়ী, রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী ও সুশীল সমাজের সদস্যের লেখা খোলাচিঠি আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। উক্ত খোলাচিঠির বক্তব্য বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব এবং স্বাধীন বিচার বিভাগের ওপর স্পষ্ট হুমকি হিসেবে পরিলক্ষিত হচ্ছে। চিঠিতে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে আদালতে দায়েরকৃত চলমান মামলাসমূহের বিচার প্রক্রিয়া বন্ধের আহ্বান জানানো হয়েছে। দেশের বিবেকবান নাগরিক হিসেবে আমরা বাংলাদেশের বিচার প্রক্রিয়ার ওপর এ-ধরনের অযাচিত হস্তক্ষেপের বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, উল্লিখিত চিঠির বক্তব্য বাংলাদেশের সংবিধান ও আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) স্বীকৃত শ্রমিকদের মৌলিক অধিকারের পরিপন্থি। এই চিঠিতে ‘নিরপেক্ষ’ বিচারকের মাধ্যমে ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ বিচারের যে আহ্বান জানানো হয়েছে, তা বাংলাদেশের বিচারব্যবস্থাকে হেয় প্রতিপন্ন করার সামিল বলে আমরা মনে করি। ড. মুহাম্মদ ইউনসের বিচারকার্য বাংলাদেশের প্রচলিত আইন অনুসারে ও স্বাধীনভাবে সম্পন্ন হচ্ছে। সেই প্রেক্ষাপটে ‘বিচারিক হেনস্তা’র অভিযোগ অমূলক ও অনভিপ্রেত।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Comments are closed.

নোটিশ : ডেইলি সিলেটে প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, আলোকচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও বিনা অনুমতিতে ব্যবহার করা বেআইনি -সম্পাদক

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত

২০১১-২০১৭

সম্পাদকমন্ডলীর সভাপতি: মকিস মনসুর আহমদ
সম্পাদক ও প্রকাশক: খন্দকার আব্দুর রহিম, নির্বাহী সম্পাদক: মারুফ হাসান
অফিস: ৯/আই, ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি, ৯ম তলা, জিন্দাবাজার, সিলেট।
ফোন: ০৮২১-৭২৬৫২৭, মোবাইল: ০১৭১৭৬৮১২১৪
ই-মেইল: dailysylhet@gmail.com

Developed by: