cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
ডেইলি সিলেট ডেস্ক ::
রাত পোহালেই সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) নির্বাচন। ভোটের মাঠে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও বর্তমান মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মুফতি ফয়জুল করীম না থাকায় এখন ভোটের দিন কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতিই বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এদিকে টানা বৃষ্টিতে সিলেটে সৃষ্টি হওয়া বন্যাও প্রভাব ফেলতে পারে ভোটার উপস্থিতিতে।
নির্বাচনে এখন লড়াই হবে শুধু আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির মেয়র প্রার্থীর মধ্যে। নির্বাচনী প্রচারণার শেষ কয়েকদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত নৌকার প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী ও লাঙ্গলের প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাবুল বিরামহীন মহানগরের এ-প্রান্ত থেকে ও-প্রান্তে প্রচারণা চালিয়েছেন। করছেন গণসংযোগ, পথসভা ও মতিবিনিময়। ভোটারদের সামনে মহানগরের উল্লেখযোগ্য সমস্যাগুলো তুলে ধরে নির্বাচিত হলে সমস্যা সমাধানের দ্রুত প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
গাজীপুর, খুলনা ও বরিশাল সিটিতে গড়ে ৫০ শতাংশও ভোট পড়েনি। এই অবস্থায়ও সিলেট সিটিতে ভোটার উপস্থিতির হার নিয়ে শঙ্কিত নয় আওয়ামী লীগ। তারা বলছে, কাউন্সিলর প্রার্থীরা নিজেদের স্বার্থে ভোটারদের কেন্দ্রে নিয়ে আসবেন। আর পাঁচ সিটির মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রার্থী সিলেটে। এই প্রার্থীদের বেশির ভাগই কাউন্সিলর পদে লড়ছেন। তারা ভোটারদের কেন্দ্রে নিয়ে আসবেন এবং গাজীপুর, খুলনা বা বরিশালের চেয়ে বেশি ভোট গ্রহণ সিলেটে হবে।
বিএনপির নেতকর্মীরা এবার ভোটকেন্দ্রে যাবেন না জানিয়ে সিলেট মহানগর বিএনপির সভাপতি নাসিম হোসাইন বলেন, আমাদের দলের যারা প্রার্থী হয়েছেন, তাদের আজীবনের জন্য দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তাই তারা আর বিএনপির কেউ নন। বিএনপি নেতাকর্মীদের নির্বাচনী কোনো কর্মকাণ্ডে যুক্ত না হতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আমাদের বেশিরভাগ নেতাকর্মী ভোটকেন্দ্রে যাবেন না। এই ভোট নিয়ে কোনো আগ্রহ নেই।
সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় এক নেতা জানান, বিএনপি থেকে না করলেও দলটির অনেকেই ভোটকেন্দ্রে যাবেন। দলটির কউন্সিলর প্রার্থীরাই তাদেরকে কেন্দ্রে নিয়ে যাবেন। জামায়াতের ভোটাররাও ভোটকেন্দ্রে যাবেন।
সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সিলেটের সভাপতি ফারুক মাহমুদ চৌধুরী বলেন, সিলেটে মেয়র ও কাউন্সিলর পদে ৩৬৮ জনের মতো প্রার্থী রয়েছেন। একাধিক কাউন্সিলর প্রার্থী থাকার কারণে নির্বাচনের দিন ভোটাররা কেন্দ্রে যাবেন ভোট দিতে। তাই বলা যেতে পারে, অন্য তিন সিটির চেয়ে সিলেটে ভোট বেশি পড়বে। তবে এবার সিটি নির্বাচনে বিএনপি না থানায় ভোট উৎসব দেখা যাচ্ছে না। মানুষজন ভোট নিয়ে আলোচনা করছে না।
নির্বাচন বিশ্লেষকদের মতে, এবার তুলনামূলকভাবে ভোটার উপস্থিতি কম হওয়ার পেছনে বিএনপির প্রার্থী না থাকা বা মেয়র পদে ভোটারদের অনাগ্রহ, ইভিএম নিয়ে সন্দেহ, বৈরী আবহাওয়া (আগামী ১৫ দিন বৃষ্টি হবে, বন্যার আশঙ্কা) এবং ক্ষমতাসীন দলের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বও কাজ করবে।
এবার নির্বাচনে বড় রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ না করায় আমেজও তেমন একটা নেই। ফলে ভোট কাস্টিং কম হওয়াটাই স্বাভাবিক বলে মনে করছেন নাগরিক মৈত্রী সিলেটের সভাপতি সমর বিজয় সী শেখর।
উল্লেখ্য, সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন, এদের মধ্যে দলীয় মনোনীত চার প্রার্থীর মধ্যে আওয়ামী লীগের মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী (নৌকা), জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাবুল (লাঙ্গল), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত প্রার্থী হাফিজ মাওলানা মাহমুদুল হাসান (হাতপাখা) ও জাকের পার্টির মো. জহিরুল আলম দলীয় প্রতীক (গোলাপফুল) মার্কায় নির্বাচন করবেন। এছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ আবদুল হানিফ কুটু (ঘোড়া), মো. ছালাহ উদ্দিন রিমন (ক্রিকেট ব্যাট), মো. শাহ জাহান মিয়া (বাস গাড়ি) ও মোশতাক আহমেদ রউফ মোস্তফা (হরিণ) প্রতীকে নির্বাচন করছেন।
কাউন্সিলর পদে ৩৫৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। যাদের মধ্যে ২৭২ জন সাধারণ ওয়ার্ডে এবং সংরক্ষিত ওয়ার্ডে (নারী কাউন্সিলর) ৮৭ জন।
২০০২ সালে সিলেট সিটি কর্পোরেশন প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর পঞ্চম বারের মত হচ্ছে সিসিক নির্বাচন। সিলেটের সকল ওয়ার্ডে এবারই প্রথম হচ্ছে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) এর মাধ্যমে ভোট গ্রহণ। ২৭ ওয়ার্ড নিয়ে সিলেট সিটি করপোরেশন থাকলেও বর্ধিত ১৫টি ওয়ার্ড নেয়ে সিসিকে এখন মোট ওয়ার্ড সংখ্যা ৪২টি। ৭৯ দশমিক ৫০ বর্গকিলোমিটার আয়তনের এই মহানগরীতে ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৮৭ হাজার ৭৫৩ জন। এরমধ্যে পুরুষ ২ লাখ ৫৪ হাজার ৩৬৩, নারী ২ লাখ ৩৩ হাজার ৩৮৪ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গ বা হিজড়া ভোটর রয়েছেন ৬ জন। সিসিক নির্বাচনে মোট কেন্দ্র ১৯০টি যেখানে স্থায়ী ভোটকক্ষ থাকবে ১ হাজার ৩৬৭টি এবং অস্থায়ী ভোটকক্ষ থাকবে ৯৫ টি।