সর্বশেষ আপডেট : ৯ ঘন্টা আগে
বুধবার, ২৬ মার্চ ২০২৫ খ্রীষ্টাব্দ | ১২ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ |

DAILYSYLHET
Fapperman.com DoEscorts

যা বললেন সেই ট্রেনে থাকা ঝিনাইদহের আক্তারুজ্জামান

ডেইলি সিলেট ডেস্ক ::

ভারতে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার সময় ওই ট্রেনেই ছিলেন ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার সামন্তা এলাকার মো. আক্তারুজ্জামান। স্ত্রীর চিকিৎসা করাতে ভেলরে যাওয়ার পথে এ দুর্ঘটনার কবলে বড়েন তারা। পরে মুঠোফোনে স্বজনদের জানিয়ে দেন অক্ষত আছেন তারা।

দুর্ঘটনা সম্পর্কে মো. আক্তারুজ্জামান বলেন, তারা শুধু বুঝতে পেরেছিলেন বিকট শব্দ হলো। সেইসঙ্গে ট্রেনটি সজোরে ঝাকুনি দিলো। সামনে কিছু একটা হয়েছে বোঝার চেষ্টা করলেন, কিন্তু ব্যর্থ হলেন। এক সময় তাদের সরিয়ে দেওয়া হলো। শুধু যাওয়ার সময় চোখের সামনে দেখতে পেলেন হতাহতদের নিয়ে টানাটানি। আহতরা চিৎকার করছে, তাদের উদ্ধারে কাজ করে যাচ্ছেন রেলওয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারিদের পাশাপাশি স্থানীয়রা।

মহেশপুর উপজেলার সামন্তা এলাকার পাখরাইল গ্রামের বাসিন্দা মো. আক্তারুজ্জামান। স্ত্রী নূর জাহানের চিকিৎসার জন্য করমন্ডল এক্সপ্রেস ট্রেনে ভেলর যাচ্ছিলেন। আক্তারুজ্জামান মহেশপুর সরকারি পদ্মপুকুর শেখ হাসিনা ডিগ্রি কলেজের শিক্ষক। শনিবার (৩ জুন) সকাল ৭টায় তাদের আরেকটি ট্রেনে তুলে দেওয়া হয়েছে, তারা এখন ভেলরের পথে রয়েছেন।

মো. আক্তারুজ্জামানের সঙ্গে মুটোফোনে কথা হয় জাগো নিউজের। তিনি জানান, স্ত্রী নুর জাহানের চোখের সমস্যা। বেশ কয়েক দফা ভারতে চিকিৎসা করিয়েছেন। এবার সিদ্ধান্ত নেন ভেলর গিয়ে চিকিৎসা করাবেন। সেই ইচ্ছায় গত ১ জুন ভারতে যান। এরপর ট্রেনের টিকিট নিয়ে শুক্রবার দুপুরে শালিমার স্টেশনে হাজির হন। ৩টা ২০ মিনিটে তাদের বহনকারী করমন্ডল ট্রেনটি স্টেশন থেকে ছেড়ে যায়। সন্ধ্যা ৭টার দিকে তারা যখন উড়িষ্যার বালাসোর জেলার বাহাঙ্গাবাজার এলাকায় পৌঁছান তখন ট্রেনটি দুর্ঘটনার বলে পড়ে। তারা বিকট শব্দ ও ঝাকুনি অনুভব করেন। ট্রেনের মধ্যে থাকা হাজার হাজার মানুষ কান্নাকাটি শুরু করেন। তারাও বুঝে নেন ট্রেনটি দুর্ঘটনায় পড়েছে।

আক্তারুজ্জামান জানান, তারা ছিলেন ২-এ এসি বগিতে। তাদের সামনে ছিল আরও কয়েকটি বগি। তারা দ্রুত ট্রেন থেকে নেমে সামনে কী ঘটেছে দেখার চেষ্টা করেন, কিন্তু মুহূর্তের মধ্যে সেখানে উপস্থিত স্থানীয় মানুষজন তাদের বাধা দেন। তারা উদ্ধার কাজ শুরু করে দেন, আর যারা অক্ষত আছেন তাদের সরিয়ে দেওয়া হয়।

তিনি জানান, ট্রেন থেকে তাদের সরিয়ে দেওয়ার পর তারা বাসযোগে কিছুটা দূরে এক এলাকায় গিয়ে অবস্থান নেন। সেখান থেকে পরদিন সকালে ভুবনেশ্বর স্টেশন থেকে আরেকটি ট্রেনে তুলে দেওয়া হয়েছে। তারা এখন ভেলরের পথে। ঘটনাস্থল থেকে বাসে ওঠা পর্যন্ত সময়টুকু তাদের আতঙ্কে কেটেছে। কী হচ্ছে সামনে, তা তারা কিছুই বুঝতে পারছিলেন না। অনেক বাংলাদেশি ছিল এই ট্রেনে তারা কেমন আছেন সেটাও বোঝা যাচ্ছিল না। শুধু তারা ভালো আছেন এই খবরটা স্বজনদের কাছে মুটোফোনে জানিয়ে দিচ্ছিলেন।

এভাবে কিছু সময় যাওয়ার পর ট্রেনের কর্মকর্তারা এসে তাদের সরিয়ে দেন। গোটা রাত তারা থেকেছেন পাশের একটি শহরে। শনিবার সকালে মাইকে তাদের ভুবনেশ্বর স্টেশনে যাওয়ার অনুরোধ করা হয়। তারা সেখানে গেলে পন্ডিশ্রী নামের আরেকটি ট্রেনে তুলে দেওয়া হয়েছে।

আক্তারুজ্জামান জানান, ঘটনার পর কিছুই বুঝতে পারছিলেন না। তবে যখন তাদের সরিয়ে নেওয়া হচ্ছিল তখন দেখতে পান হতাহতদের নিয়ে ছুটাছুটি। যা দেখে খুবই খারাপ লেগেছে। আহত মানুষের চিৎকার কষ্ট দিয়েছে। শুধু ভেবেছেন এত বড় এক দুর্ঘটনায় পড়েও তারা ভালো আছেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Comments are closed.

নোটিশ : ডেইলি সিলেটে প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, আলোকচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও বিনা অনুমতিতে ব্যবহার করা বেআইনি -সম্পাদক

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত

২০১১-২০১৭

সম্পাদক ও প্রকাশক: খন্দকার আব্দুর রহিম
নির্বাহী সম্পাদক: মারুফ হাসান
অফিস: ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি, ৯ম তলা, জিন্দাবাজার, সিলেট।
মোবাইল: ০১৭১২ ৮৮৬ ৫০৩
ই-মেইল: dailysylhet@gmail.com

Developed by: