cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
ডেইলি সিলেট ডেস্ক ::
দিনাজপুর হাজী মুহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থী ও স্থানীয় বাঁশেরহাট দোকান মালিক সমিতির মধ্যে পাল্টাপাল্টি অভিযোগের ভিত্তিতে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। ঘণ্টাব্যাপী যান চলাচল বন্ধ থাকার পর পুলিশের হস্তক্ষেপে তা স্বাভাবিক হয়।
শনিবার সকাল সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত দিনাজপুর টু দশ মাইল মহাসড়কের বিশ্ববিদ্যালয় সম্মুখ সড়কটি অবরোধ করে বিক্ষোভ করে শিক্ষার্থীরা। এতে করে মহাসড়কের পাশের শত শত যানবাহন দুর্ভোগের শিকার হয়।
জানা যায়, গত শুক্রবার দিনাজপুর হাজী দানেশ বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থীর বাঁশেরহাটের ভাতের হোটেলে খাবারের দাম নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। এর জের ধরে ঐ খাবার হোটেলের প্লেট ও পাতিল ভাঙচুর করে। এই ঘটনার পর বাঁশের হাটের সমস্ত দোকান মালিক-সমিতি জরুরি ভিত্তিতে মিটিং করে নীরব প্রতিবাদ স্বরূপ শনিবার সকলে দোকান বন্ধ ঘোষণা করেন। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা খাবার হোটেলসহ অন্যান্য দোকানপাট বন্ধ থাকায় খাবার সংকটে পড়েন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বাঁশেরহাট দোকান মালিক সমিতির সদস্যদের সাথে জরুরি সভার আয়োজন করে। সিদ্ধান্ত গ্রহণের শেষের দিকে হাবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে।
হাবিপ্রবি বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনরত ছাত্র বুলবুল আহমেদ বলেন, গত শুক্রবার হাজী দানেশ বিশ্ববিদ্যরালয়ের পাশে বাঁশেরহাটের এক হোটেলের একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটে। যা আসলে দুঃখজনক।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, বাঁশেরহাটের দোকানদাররা মাত্রাতিরিক্ত প্রতিটি পণ্যের দাম বৃদ্ধি করেছে, যা শতকরা ৩৫ থেকে ৪০ শতাংশ বাড়িয়ে দিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে বিষয়টি জানালেও বিশ্ববিদ্যালয় কোন উদ্যোগ গ্রহণ করেনি। দোকান মালিকরা ধর্মঘট পালন করছে।
বাশেঁরহাট দোকান মালিক সমিতির সভাপতি নজরুল ইসলাম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী সামান্য ঘটনাকে কেন্দ্র করে দোকান মালিকের সামনেই ছেলেকে মারধর করে। আবার ছেলের সামনেই বাবাকে মারধর করে। বিষয়টি বারবার আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে অভিযোগ করলেও কোন সুরাহা পাইনি। গতকাল বাঁশেরহাটের এক হোটেল মালিককে তারা অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। ভাতের প্লেট ও পাতিল ভেঙে ফেলে। মাঝেমধ্যেই শিক্ষার্থীরা অমানবিক আচরণ করে। বাঁশের হাট দোকান মালিক সমিতি জরুরিভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আজকে বাঁশেরহাটের সকল দোকানপাট বন্ধ থাকবে। নিরব প্রতিবাদস্বরূপ দোকানপাট বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
বাঁশেরহাট দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ইমরান আলী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বাশেঁরহাটের বিভিন্ন দোকান মালিকদের অপমানিত করে। কয়েকদিন পর পর দোকানদের ওপর হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে।
দিনাজপুর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ মোহাম্মদ জিন্নাহ মামুন বলেন, দোকান মালিক সমিতি ও সাধারণ ছাত্রদের বিষয় নিয়ে আমরা এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ব্যাপক আলোচনার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের এই বিষয়টি আমলে নিয়েছি। যাতে এই ঘটনাটিকে সুষ্ঠুভাবে সমাধান করা যায়। এজন্য আগামী বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও স্থানীয় দোকান মালিক সমিতির প্রতিনিধি ও ছাত্র সংগঠনের প্রতিনিধিদেরকে নিয়ে সমাধানের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। সকল পক্ষ বিষয়টিকে পজিটিভভাবে গ্রহণ করায় দিনাজপুর টু দশ মাইলে অবরোধ তুলে নেয়। এখন যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। তবে ঘণ্টা খানেক যান চলাচল বন্ধ থাকায় সাময়িকভাবে দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে।
হাবিপ্রবি প্রক্টর ড. মামুনুর রশিদ বলেন, রাস্তা অবরোধের ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক। প্রাথমিকভাবে আমরা আন্দোলনরত ছাত্র-ছাত্রীদের বোঝানোর চেষ্টা করে আন্দোলন স্থগিত করার জন্য অনুরোধ করেছিলাম। পরে পুলিশ প্রশাসন আন্দোলনকারী ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে আলোচনা ও বিষয়টি পরবর্তীতে মীমাংসার করার উদ্যোগ গ্রহণের কারণে আন্দোলন স্থগিত করে। ফলে যান চলাচল স্বাভাবিকসহ বাশেঁরহাটের দোকানপাট স্বাভাবিকভাবেই চলছে।
Leave a Reply