cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
ডেইলি সিলেট ডেস্ক ::
প্রতিদিন সিলেট নগরীতে প্রায় ৩০০ মেট্রিক টন বর্জ্য পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা দক্ষিণ সুরমার লালমাটিয়ায় ডাম্পিং গ্রাউন্ডে ফেলেন। আগে এসব বর্জ্যের একটা বড় অংশ খোলা ট্রাকে অপসারণ করতো সিটি করপোরেশন। তখন বর্জ্য ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়তো রাস্তায়। সেই চিত্র অনেকটাই বদলে বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় আধুনিক যন্ত্রপাতিও যোগ হয়েছে। খোলা ট্রাকে বর্জ্য পরিবহন করা হচ্ছে ত্রিপল দিয়ে ঢেকে। কম্প্যাক্টর, কনটেইনার ক্যারিয়ার ও ডাম্প ট্রাকের সংখ্যাও বেড়েছে। ফলে রাস্তাঘাটে গৃহস্থালির ময়লা পড়ার প্রবণতা কমছে।
সিসিক সূত্র জানায়, নগরে প্রতিদিনের প্রায় ৩০০ মেট্রিক টন বর্জ্য জমা হয়। এসব বর্জ্য পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা ২১টি প্রাইমারি এবং ৪৫টি সেকেন্ডারি ডাম্পিং স্টেশনে এনে জড়ো করেন। পরে সেগুলো ট্রাকে করে পারাইরচকস্থ ‘ডাম্পিং গ্রাউন্ডে’ নিয়ে ফেলা হয়। উৎপাদিত বর্জ্যরে মধ্যে ৬৭ ভাগ জৈব ও ১৭ ভাগ প্লাস্টিক। ই-বর্জ্য, মেডিকেল ও অন্যান্য বর্জ্য মিলে বাকি ১৬ ভাগ।
এদিকে সিলেট সিটি করপোরেশনের ডাম্পিং গ্রাউন্ডের প্লাস্টিকের বর্জ্যে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে এমন অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরে করে আসছেন পরিবেশবাদীরা। তবে এবার সমস্যার উপায় খুঁজে পেলো সিসিক। অপচনশীল এসব সলিড বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় জিওসাইকেল নামক কোম্পানির সঙ্গে সমঝোতা চুক্তি সম্পাদন করেছে সিসিক। ১৪ সেপ্টেম্বর দ্বিপক্ষীয় এই চুক্তি সম্পাদিত হয়। সিসিকের পক্ষে মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী ও জিওসাইকেলের পক্ষে লাফার্জ হোলসিম বাংলাদেশের চিফ করপোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার ও মানবসম্পদ পরিচালক আসিফ ভূইয়া চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
চুক্তি অনুযায়ী সিসিক নিজ দায়িত্বে দক্ষিণ সুরমার পারাইরচকস্থ ডাম্পিং গ্রাউন্ড থেকে সলিড বর্জ্য বাছাই করে ট্রাকে তুলে দেবে। জিওসাইকেল তা নিজ খরচে ছাতকের লাফার্জ হোলসিমের প্লান্টে নিয়ে এ সলিড বর্জ্য ধ্বংস করবে। পরীক্ষামূলক এই বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সফল হলে উভয়পক্ষ দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি করবে।
এ ব্যাপারে লাফার্জ হোলসিমের কর্মকর্তা আসিফ ভূইয়া বলেন, পরিবেশ অধিদফতর অনুমোদিত এটাই বাংলাদেশের একমাত্র টেকসই বর্জ্য ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি। বর্জ্যকে উদ্ভাবনী উপায়ে ব্যবস্থাপনা করাই জিওসাইকেলের উদ্দেশ্য। বিশ্বের ৫০টি দেশে জিওসাইকেলের অপারেশন্স রয়েছে; যা বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় বিশ্বে আমাদের নেতৃস্থান দখলে সাহায্য করেছে।
সিসিকের প্রধান নির্বাহী বিধায়ক রায় বলেন, নগরের সব বর্জ্য প্রথমে দক্ষিণ সুরমার পারাইরচক এলাকায় নিয়ে ফেলা হবে। পরে সেখান থেকে অপচনশীল বর্জ্যগুলো ছাতকে লাফার্জ হোলসিমের প্লান্টে নিয়ে ধ্বংস করা হবে। সিলেট থেকে ছাতকে নিয়ে বর্জ্য ধ্বংস করার পরিবহন খরচও জিওসাইকেল বহন করবে। তিনি আরো বলেন, জিওসাইকেল সলিড বর্জ্য অপসারণের পাশাপাশি আমাদের পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের উন্নত প্রশিক্ষণ দেবে। এতে বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় আরো গতি আসবে।