cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
২০০১ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর সিলেটে নির্বাচনি জনসভা’র দিন বো’মা হা’মলা করে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ও তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী শেখ হাসিনাকে হ’ত্যার পরিকল্পনা করেছিল হরকাতুল জিহাদ আল ইস’লামী (হুজি)।
কিন্তু ২৫ সেপ্টেম্বর রাতে জনসভাস্থল আলিয়া মাদ্রাসা মাঠের পার্শ্ববর্তী এলাকা ফাজিলচিশতে বিএনপি নেতা ডা. আরিফ আহম’দ রিফার বাসায় বো’মা তৈরি করতে গিয়ে বি’স্ফোরণে নি’হত হয় দুই জ’ঙ্গি। দেশব্যাপী আ’লোচিত এই ঘটনার ২১ বছর পূর্ণ হলো। কিন্তু পরিক’ল্পিত এই ঘটনার ২১ বছর অ’তিবাহিত হলেও এখনও পর্যন্ত আ’লোচিত এই মা’মলা’টির গতি পাচ্ছে না। বর্তমানে এ মা’মলা’টি সিলেটের জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী অ’প’রাধ দমন বিশেষ ট্রাইবুন্যালে সাক্ষ্য গ্রহণের পর্যায়ে আছে।
আ’দালত সূত্র জানায়, জননিরাপত্তা আ’দালতে মা’মলা’টি ২০১৪ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারিতে স্থা’নান্তরিত হয়। আ’লোচিত এই মা’মলায় মোট ৪৭ জন সাক্ষী রয়েছেন। এ মা’মলার অন্যতম আ’সামি জ’ঙ্গি মুফতি হান্নানকে ২০১৭ সালের ১২ এপ্রিল সাবেক ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর গ্রেনেড হা’মলা মা’মলায় ফাঁ’সি দেওয়া হয়েছে।
আর মা’মলা’টিতে ইতোমধ্যে হোটেল আল আকসার কর্মচারী সেলিম ঘটনার বর্ণনা দিয়ে আ’দালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। সেই সাথে এই মা’মলায় উল্লেখযোগ্য সাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দিয়েছেন মা’মলার প্রথম ত’দন্ত কর্মক’র্তা আব্দুল আউয়াল (কোতোয়ালি থা’নার সাবেক এসআই) ও অ’ভিযোগপত্র দাখিলকারী সিআইডি পু’লিশ পরিদর্শক সিলেট ক্যাম্পের সাবেক পু’লিশ পরিদর্শক প্রণব কুমা’র রায়সহ চার জন। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ও তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী শেখ হাসিনাকে পূর্ব পরিক’ল্পিতভাবে হ’ত্যার চেষ্টা করার অ’ভিযোগে ২০০৭ সালের ৬ সেপ্টেম্বর আ’দালতে তিনি অ’ভিযোগপত্র দাখিল করেন।
এছাড়াও আ’লোচিত এই মা’মলায় আ’দালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন মিজানুর রহমান ও সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতা’লের সাবেক সহকারী রেজিস্ট্রার ডা. কা’মাল পারভেজসহ ৩ জন।
সূত্র জানায়, বো’মা বি’স্ফোরণ ও হ’ত্যার ঘটনায় দুটি মা’মলা দায়ের করেন সিলেট কোতোয়ালি থা’নার তৎকালীন ভা’রপ্রাপ্ত কর্মক’র্তা (ওসি) আবু আল খায়ের মাতুব্বর। বো’মা বি’স্ফোরণের ঘটনার মাস দুয়েক আগে আবু আল খায়ের মাতুব্বর ডা. ডরফার মালিকানাধীন নগরীর বন্দরবাজার এলাকাস্থ মানচু’রিয়া কালার ল্যাবে অ’ভিযান চালান। তখন তিনি ছিলেন সিলেট পু’লিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) ওসি। তার কাছে খবর ছিল, সেখানে বিপুল বি’স্ফো’রক মজুত ও স’ন্দেহ’জনক লোকজন ছিল। বো’মা বি’স্ফোরণের ঘটনার সময় সিলেট কোতোয়ালি থা’নার ভা’রপ্রাপ্ত কর্মক’র্তা ছিলেন (ওসি) আবু আল খায়ের মাতুব্বর। তিনি আবু ওবায়দা ও শাকিলকে ঘটনাস্থল থেকে গ্রে’প্তার করেন। গ্রে’প্তারের পর শাকিল ওই সময়ে স্বীকার করে, কয়েক মাস আগ থেকে তারা (জ’ঙ্গিরা) সিলেটে অবস্থান করছিল। সুরমা ভ্যালি হোটেলে শাকিল একাধিকবার স্বনামে-বেনামে ছিলেন বলে এই কর্মক’র্তা জানান।
জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী অ’প’রাধ দমন বিশেষ ট্রাইবুন্যাল জে’লা ও দায়রা জজ আ’দালতের পাবলিক প্রসিকিউটর মফুর আলী বলেন, ‘সাক্ষীদের কারণে আ’লোচিত এই মা’মলা’টি অনেকটা গতিহীন। তবে মা’মলার কার্যক্রম অনেকটা এগিয়েছে। মা’মলা’টি আরও আগে নিষ্পত্তি হয়ে যেতো, যদি মা’মলার আ’সামিদের আ’দালতের নির্ধারিত তারিখে হাজির করা যেতো।’
যথাসময়ে আ’সামি হাজির না হওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘মা’মলার আ’সামিরা দেশের বিভিন্ন কারাগারে রয়েছে। তাদের বি’রুদ্ধে দেশের অন্যান্য আ’দালতে একাধিক মা’মলা বিচারাধীন হওয়ায় তাদের দায়িত্বশীলরা যথাসময়ে সিলেটের ট্রাইব্যুনালে হাজির করতে পারছেন না। পুরাতন মা’মলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তি হলে আ’দালতের কার্যক্রম আরও গতি পাবে।’
আ’দালত সূত্র আরও জানায়, ‘২০০১ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর সিলেটে নির্বাচনি জনসভা’র দিন হা’মলা করে শেখ হাসিনাকে হ’ত্যার পরিকল্পনা করেছিল হরকাতুল জিহাদ আল ইস’লামী (হুজি)। ওই বছরে আ’দালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানব’ন্দি দেয় ঘটনাস্থল থেকে জনতার হাতে আ’হতবস্থায় আ’ট’ক হওয়া হুজির সদস্য মাসুদ আহমেদ ওরফে শাকিল।
২০০৬ সালের ৫ অক্টোবর গ্রে’প্তারকৃত মা’ওলানা আবু সাঈদ সিলেট ম্যাজিস্ট্রেট আ’দালতে দেওয়া জবানব’ন্দিতে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হ’ত্যার চেষ্টা স্বীকার করে। জবানবিন্দতে সাঈদ জানায়, ২০০১ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর দুপুরের মধ্যে শেখ হাসিনার শাহ’জালাল মাজারে সরাসরি যাওয়ার কথা ছিল। পরে তারা খবর পান, শেখ হাসিনা শাহপরাণ মাজারে যাবেন। দুই মাজারে ওঁৎ পেতে থাকার পর তারা জানতে পারেন শেখ হাসিনা জনাসভাস্থলে সরাসরি চলে যাবেন। এরপর জ’ঙ্গিরা জনসভাস্থলের অদূরে ফাজিশচিশত এলাকায় ভাড়া করা একটি মেসে গিয়ে ওঠেন। ওই মেসে রাত ৮টার দিকে বো’মাগুলো নাড়াচাড়া করার সময় বি’স্ফোরণ হয়।
২০০১ সালের ২ অক্টোবর সিলেটের প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট আ’দালতে দেওয়া ১৬৪ ধারার স্বীকারোক্তিমূলক জবানব’ন্দি এবং একই বছরের ১১ অক্টোবর ঢাকায় জেইসিতে প্রায় একই তথ্য দেন শাকিল।
আ’দালতের জবানব’ন্দিতে শাকিল আরও বলেছিল, ‘ব্যবসার ফাঁকে ফাঁকে তাবলিগ জামাতে যেতাম। ২০০০ সালে এহতেশাম নামের একজনের সঙ্গে পরিচয় হয়। তার মাধ্যমে পরিচয় হয় ডা. আরিফ আহম’দ রিফার সাথে। এহতেশাম আরও জানায়, ডা. আরিফ আহমেদ সিলেটে একটা হাসপাতাল ও সাভা’রে একটা কোল্ড স্টোরেজ করতে চান। এ জন্য লোক দরকার। সেই পরিচয়ের সুবাধে ২০০১ সিলেটে আসি ও সুরমা ভ্যালি রেস্টহাউসে উঠি। রুমটি ডা. রিফার নামে বুক করা ছিল।’
সিলেটে তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হ’ত্যাচেষ্টা মা’মলায় আবু সাঈদ ২০০৬ সালের ১৯ অক্টোবর সিলেটের ম্যাজিস্ট্রেট আ’দালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানব’ন্দি দেয়। এতে সে ২০০১ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ঢাকায় বসে করা হ’ত্যা পরিকল্পনার বর্ণনা দেয়। জবানব’ন্দিতে সে বলে, ‘মুফতি হান্নান আমাকে জানায়, শেখ হাসিনা সিলেটে জনসভা করতে যাবেন। তাকে বো’মা মে’রে হ’ত্যার বিষয়টি আলোচনা হয়। আলোচনায় মুফতি হান্নান, আবু মু’সা, লোকমান, জাফর ও আমি ছিলাম।’
আবু সাঈদ আরও বলে, ‘এ কাজের জন্য ছয় জনকে সিলেট আসার জন্য ঠিক করা হয়। আবু মু’সা, লোকমান, জাফর, আমিসহ আরও দুইজন (নূর ইস’লাম ও ওবায়দা), এই মোট ছয় জন। শাকিলই আমাদের বলে যে. ডা. রিফাকে চেনে, তার বাড়িতে থাকার ব্যবস্থা করবে। পরে মোট সাত জন সিলেটে আসি। আবু মু’সা ও লোকমান বো’মা তৈরির সরঞ্জাম সঙ্গে নিয়ে আসে। রাতে সিলেটে পৌঁছাই। শাকিল আমাদের রিকশায় করে ডা. রিফার বাড়িতে নিয়ে যায়।’
মা’মলার ত’দন্তে ও গ্রে’প্তার হওয়া জ’ঙ্গিদের জবানব’ন্দিতে ঘটনার সঙ্গে নানাভাবে সংশ্লিষ্ট হিসেবে মুফতি হান্নান, মা’ওলানা আবু সাঈদ, শাকিল, আবু ওবায়দা, শাহ’জাহান, ডা. আরিফ আহম’দ রিফা, আকাশ, আবু মু’সা, লোকমান, সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জের জাফর, আবু বকর, ডালিম, রাজু, অমিত, সবুজ, আলমগীর, এহ্তেশাম ও পু’লিশ সদস্য নূর ইস’লামের নাম আসে।