cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
এখনো বন্যায় নিমজ্জিত সিলেটের অর্ধেক এলাকা। টিকে থাকার লড়াইয়ে ব্যস্ত পানিবন্দি মানুষ। এ কারণে এখনো উত্তাপ নেই কোরবানির পশুর হাটে। বিকিকিনিও জমেনি। ক্রেতার পাশাপাশি বিক্রেতার উপস্থিতিও কম। ফলে সিলেটের কোরবানির পশুর হাট নিয়ে এবার শঙ্কা কাটছে না। গতকাল সিলেটের প্রধান পশুর হাট কাজিরবাজারে গিয়ে দেখা গেছে অন্যরকম চিত্র। প্রতি বছর এই সময়ে বাজার ভর্তি থাকতো কোরবানির পশু। কিন্তু এবার ওই হাটে পশুও তেমন ওঠেনি। হাট কর্তৃপক্ষ বলছে- এবার সিলেটের বাইরের পশু বিক্রেতারা সিলেটমুখী হননি।
এ ছাড়া স্থানীয় খামারিরাও বাজারে এখনো পশু তোলেননি। স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় জেলার শতকরা ৮০ ভাগ এলাকা পানিতে তলিয়ে যায়। পানি নামছেও ধীরগতিতে। এতে করে মানুষের পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে গবাদিপশুও। বিশেষ করে গ্রাম এলাকার গবাদিপশু অনাহারে অর্ধাহারে ছিল। পরিচর্যাও করা যায়নি ঠিকমতো। সিলেট সদরের কামাউড়াকান্দি এলাকার কয়েকজন খামারি এবার কোরবানির পশুর নিয়ে হতাশ।
তারা জানিয়েছেন- কামাউড়া এলাকায় প্রচুর গবাদি পশু রয়েছে। এসব গবাদি পশু নিয়ে বন্যায় রীতিমতো তাদের যুদ্ধ করতে হয়েছে। মন্তাজ আলী নামের এক কৃষক জানিয়েছেন- ১৬ই জুন রাত থেকে ঢল আঘাত হানে। মানুষ জীবন নিয়ে দৌড়াচ্ছে। এই অবস্থায় এলাকার কৃষক ও খামারিরা পশু নিয়ে বেকায়দায় পড়েন। কেউ কেউ গবাদি নিয়ে যান আশ্রয়কেন্দ্রে। আবার কেউ কেউ ব্রিজের উপর বেঁধে রাখেন পশু। পার্শ্ববর্তী বাইশটিলার উপর নিয়ে রাখেন কেউ। প্রায় দুই সপ্তাহ গবাদি পশুর খোঁজ কেউ নিতে পারেননি। খাবার সংকটে অনেকে জন্য অনেক পশুই প্রস্তুত করা সম্ভব হয়নি। কোম্পানীগঞ্জ ও গোয়াইনঘাটের কৃষক ও খামারিরা জানিয়েছেন- অনেক কৃষকই বন্যার কারণে কম মূল্যে পশু বিক্রি করে দিয়েছেন। কিছু করার ছিল না তখন। এখনো রাস্তাঘাট পানির নিচে তলিয়ে থাকার কারণে গো-খাদ্যের সংকট চরমে। মানুষই যেখানে খাদ্য সংকটে পড়েছে; সেখানে পশুর খাবার জোগাড় করা কষ্টকর হয়ে যায়। এতে করে এবারের হাটে দেশি পশু কম উঠবে বলে জানিয়েছেন খামারিরা।
এদিকে- খামারিদের এই বক্তব্যের সত্যতা মিললো গতকাল কাজিরবাজার পশুর হাটে। বিকালে হাটে গিয়ে দেখা গেল ফাঁকা হাট। দেশি কিংবা সিলেটের বাইরের পশুর উপস্থিতি কম। ক্রেতাও কম। বাজার নিয়ে অনিশ্চয়তায় রয়েছে খোদ সিলেটের এই প্রধান হাটের কর্তৃপক্ষ। ম্যানেজার শাহাদাত হোসেন লোলনের কণ্ঠেও হতাশার সুর। তিনি জানালেন- হাট কর্তৃপক্ষ হিসেবে আমরা প্রস্তুত রয়েছি। গেল বছর এমন দিনে বাজারে পশুর উপস্থিতি বেশি হতো। ক্রেতা-বিক্রেতার উপস্থিতি ছিল প্রচুর। কিন্তু এবার তেমন সাড়া নেই। তিনি জানান- সিলেটের বাইরের পশু ব্যবসায়ীরা এখনো সিলেটমুখী হননি। এর কারণ হচ্ছে দুটি। একটি হচ্ছে; বন্যা ও অপরটি পথে পথে অবৈধ হাটে জোরপূর্বক পশু নামিয়ে নেয়া। এ কারণে সিলেটের হাটে বাইরের ব্যবসায়ীরা আসতে অনীহা দেখাচ্ছেন। তিনি বলেন- আমরা চেষ্টা করছি বাইরের ব্যবসায়ীদের নিয়ে আসতে। ওরা না এলে সিলেটের কোরবানি দাতাদের চাহিদা পূরণের মতো পশু মিলবে না। হাতে আর মাত্র তিন দিন। এই সময়ের মধ্যে তাদের হাটে নিয়ে আসার জন্য আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা রয়েছে। তবে- সিলেটের কাজিরবাজারে মূলত শেষ দিকে এসে বাজার জমে। কারণ- শহরের মানুষ শেষের দু’দিনই পশু কিনে।
এজন্য শেষদিকে বাজার জমবে বলে আশা করছেন হাট কর্তৃপক্ষ। এবার সিলেটে ৫১টি পশুর হাট বসানো হয়েছে। এরমধ্যে সিলেট শহরে ৬টি এবং উপজেলাগুলোতে ৪৫টি পশুর হাট। উপজেলার পশুর হাটের চিত্র কাজিরবাজারের মতোই। এখনো জমেনি বিকিকিনি। পশুও নেই তেমন। এখন যারা বিক্রির জন্য পশু নিয়ে উঠেছেন তারা দাম হাঁকছেন বেশি। ক্রেতারা জানিয়েছেন- এবার পশুর দাম দ্বিগুণ চাওয়া হচ্ছে। এ কারণে এখনো পশু কেনার মতো পরিস্থিতি নেই। বাইরের কারবারিদের অপেক্ষায় রয়েছেন ক্রেতারা। বাজারে পশু বিকিকিনি কম হলেও নগর কিংবা বাইরের খামারগুলোতে কেউ কেউ গিয়ে পশু কিনছেন। সিলেট ডেইরি ফার্মস এসোসিয়েশনের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক শাকিল জামান গতকাল বিকালে কিছু কিছু ক্রেতা খামারে যাচ্ছেন। বন্যার কারণে খামারিরাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। গো-খাদ্যের সংকটও বেশি। এ কারণে স্থানীয় খামারিদের কাছে পশুর দাম একটু বেশি। তবে- ক্রেতারা পশু কিনে খামারে রেখে আসতে চাইলে তাদের সে সুবিধা দেয়া হচ্ছে।
কেউ কেউ আবার অনলাইনেও পশু বুকিং দিয়ে রাখছেন। বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মস এসোসিয়েশন সিলেট জেলার সভাপতি ও সিটি কাউন্সিলর মখলিছুর রহমান কামরান জানিয়েছেন- এবার তার খামারেও ছিল হাঁটুপানি। খামারে থাকা পশুদের নিয়ে তারাও ছিলেন শঙ্কায়। এখন বন্যার পানি নামার পর পশুর যত্ন নেয়া হচ্ছে। খাদ্যেরও সংকট ছিল। তবে- এবার সিলেটের কোরবানির পশুর হাট নিয়ে তার মধ্যে শঙ্কা কাজ করছে। বাজারে এখনো চাহিদা অনুপাতে অনেক কম পশু রয়েছে। ফলে সিলেটের বাজারের পরিস্থিতি কী দাঁড়ায়- সেটি এখনো অস্পষ্ট বলে জানান কামরান। এদিকে- সিলেটে কোরবানির হাটে পশু সংকট হবে না বলে মনে করছেন সিলেট জেলা পশু সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. রুস্তুম আলী। তিনি জানিয়েছেন- সিলেটে চাহিদা রয়েছে প্রায় ১ লাথ ৬০ হাজার পশুর। বন্যায় খামারে থাকা পশুর তেমন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। ফলে স্থানীয়ভাবে যেসব পশু আছে সেগুলোও বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া বাইরের ব্যবসায়ীরা এলে সংকট হবে না। শেষদিকে বাজার জমে উঠবে বলে জানান তিনি।