cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
সিলেটের জকিগঞ্জে আবার সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর পানি বাড়ছে। সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত উপজে’লার বেশ কয়েকটি এলাকায় নদীর পানি প্রায় দেড়ফুট বেড়েছে। কোথাও কোথাও আগের ভাঙন দিয়ে পানিও লোকালয়ে ঢুকার খবর পাওয়া গেছে। গত মাসের ব’ন্যার পানি এখনও পুরোপুরি নামেনি। নিম্নাঞ্চলের অনেক গ্রাম এখনো প্লাবিত। এর মধ্যে রোববার রাত থেকে নদীর পানি ফের পানি বাড়তে থাকায় উপজে’লার প্রতিটি এলাকায় আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
জকিগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, সোমবার সন্ধ্যা ৬টায় জকিগঞ্জ আমলশীদ কুশিয়ারা নদীর পয়েন্টে পানি বিপৎসীমা’র ৮৪ সেন্টিমিটার ও কানাইঘাটে সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমা’র ৩৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এদিকে, কুশিয়ারা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে জকিগঞ্জ সদর ইউপির রারাই গ্রামের ভাঙন দিয়ে দিয়ে লোকালয়ে পানি ঢুকে রারাই, পাঠানচক, এলংজুরী, সকড়া, ইলাবাজসহ অনেক এলাকা আবারও প্লাবিত হয়ে পড়ছে। এতে ফের দূর্ভোগ পোহাতে হবে এসব এলাকার বাসিন্দাদের। পানি আতঙ্কে কৃষিক্ষেত নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষকরা। গত মাসের ব’ন্যার পানি নামা’র পর কৃষি জমিতে আমন ধানের বীজ বোপন করা হয়েছিলো। কিন্তু নতুন করে ব’ন্যার পানি আসায় তা তলিয়ে যাবার আশ’ঙ্কা রয়েছে।
রারাই গ্রামের বাসিন্দা আবুল খায়ের বলেন, টানা কয়েকদিন পানি থাকার পর মাত্র দুই তিনদিন আগে ঘর থেকে পানি নেমেছে। এখন আবার ঘরে পানি উঠে যাবে। ডাইকের ভাঙন দিয়ে পানি ঢুকছে। এলাকার মানুষের দুর্ভোগের কোনো সীমা নেই।
হাইল ইস’লামপুর গ্রামের শরীফ আহম’দ জানান, ভাঙা ডাইক দিয়ে পানি ঢুকে বার বার ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন। গত ব’ন্যার পানি এখনো রয়েছে। পানির কারণে অনেক পরিবার ঘর ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছিলেন। এই সপ্তাহে অনেকজন বাড়িতে ফিরে এসেছেন। এরমধ্যে আবার পানি আসছে। লোকজন এখন কী’ করবে, কোথায় যাবে কিছুই বুঝতে পারছেন না। ব’ন্যার কারণে নিম্নাঞ্চলের মানুষের যে কী’ ক্ষতি হচ্ছে তা বলে বোঝানো যাবে না।
জকিগঞ্জ সদর ইউপির চেয়ারম্যান মা’ওলানা আফতাব আহম’দ জানিয়েছেন, নদীর পানি বাড়ছে। ইতিমধ্যে প্রায় দেড় ফুটের মতো পানি বেড়ে গেছে। ভাঙা ডাইক দিয়ে পানি ঢুকা বন্ধ করতে চেষ্ঠা চালিয়ে যাচ্ছেন। বাঁশ ও মাটি দিয়ে কাজ চলমান রয়েছে। বৃষ্টি না নামলে ডাইক মেরামত করে ফেলবেন বলে জানান।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের সিলেটের উপসহকারী প্রকৌশলী এ কে এম নিলয় পাশা বলেন, সিলেটের পাশাপাশি ভা’রতের উজানেও প্রচুর বৃষ্টিপাত হচ্ছে। বরাক নদী দিয়েই ভা’রতের উজানের পানি নেমে আসে। এ কারণে সুরমা-কুশিয়ারা নদীর পানি বাড়ছে। অন্যদিকে ভাটির সব জলাধার পানিতে টইটুম্বুর থাকায় পানি টানতে পারছে না। ফলে বৃষ্টি হলেও পানি নামা’র জায়গা নেই। তিনি বলেন, ভাঙা ডাইকগুলো মেরামত করতে ইতিমধ্যে ঢাকায় প্রস্তাবনা পাঠিয়েছেন। প্রস্তাবনা অনুমোদন হলেই ডাইকে সংস্কার কাজ শুরু হবে।