সর্বশেষ আপডেট : ৭ ঘন্টা আগে
শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪ খ্রীষ্টাব্দ | ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ |

DAILYSYLHET
Fapperman.com DoEscorts

জৈন্তাপুরে স্ম’রণকালের ভ’য়াবহ ব’ন্যা, অ’পরিসীম দুর্ভোগ

আকাশ মেঘে ভরপুর। মুষলধারে পড়ছে বৃষ্টি। কয়েকদিনের টানা বৃষ্টির কারণে সিলেটের জৈন্তাপুরে ব’ন্যার পরিস্থিতি ভ’য়াবহ আকার ধারণ করেছে। জৈন্তাপুর উপজে’লা সহ আশপাশের উপজে’লা তলিয়ে গেছে পানির নিচে। পরিস্থিতি বিবেচনা করে বানভাসি মানুষকে উ’দ্ধার করতে বাংলাদেশ সে’নাবাহিনীর পাশাপাশি বিজিবি কাজ করছে। ব’ন্যার্তদের পাশে নেই স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।

এবারের ব’ন্যা অ’তীতের সকল রেকর্ড অ’তিক্রম করেছে। অস্বাভাবিকভাবে সারী, করিচ, কাপনা ও বড় গাং নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় এসকল অঞ্চল তলিয়ে যায়। আজ আষাঢ় মাসের ৪র্থ দিন ব’ন্যার পানি কোন কোন জায়গায় বাড়লেও আবার কোথাও কমতে শুরু করেছে। জৈন্তাপুর উপজে’লার লক্ষাধিক মানুষ গবাদি পশু নিয়ে গৃহহীন হয়ে পড়েছে। সেই সাথে দেখা দিয়েছে নিরাপদ খাবার ও বিশুদ্ধ পনির। বিশুদ্ধ পানির অভাবে পান করছে দূষিত পানি এতে করে বাড়ছে পানিবাহিত নানা রোগ। পানিব’ন্দি বসত ঘরে অবস্থান গড়ে তুলছে বিষধর সা’প ও কী’টপতঙ্গ তাই বাড়ছে চতুর্মুখী আতঙ্ক। পরিস্থিতি এতটাই খা’রাপ যে অনাহারে, অর্ধাহারে ও ভেজা কাপড়ে দিন কা’টাচ্ছে পানিব’ন্দি মানুষ।

শনিবার (১৮ জুন) প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইম’রান আহম’দ (এমপি) সামান্য ত্রাণ সহায়তা বিতরণ করলেও উপজে’লা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোন ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়নি।

পনির নিচে তলিয়ে গেছে জৈন্তাপুর উপজে’লার দরবস্ত ইউনিয়নের কাঞ্জর, গর্দনা, ফরফরা, শুকইনপুর, সেনগ্রাম, চাল্লাইন, তেলিজুরি, শ্রীখেল, মহাইল, মুটগুঞ্জা, সেনগ্রাম, রনিফৌদ, সাতারখাই ফতেপুর ইউনিয়নের হেমু ভাটপাড়া, মাঝপাড়া, দত্তপাড়া, বালিপাড়া, নয়াগ্রাম, নয়াগ্রাম দক্ষিন, ভেলোপাড়া,পাখিটিকি, মাঝরটুল, নমশুদ্র পাড়া,

পনাটুক নিজপাট ইউনিয়নের মেঘলী, বন্দরহাটি, লামাপাড়া, ময়নাহাটি, জাঙ্গালহাটি, মজুম’দার পাড়া, হর্নি, বাই’রাখেল, তিলকৈপাড়া, বড়খেল, ফুলবাড়ী, ডিবিরহাওর, ঘিলাতৈল, হেলিরাই। জৈন্তাপুর ইউনিয়নের মুক্তাপুর, বিরাই’মা’রা, বিরাই’মা’রা হাওর, লামনীগ্রাম, কা’টাখাল, খারুবিল, চাতলারপাড়, ডুলটিরপাড়, ১ নম্বর লক্ষীপুর, ২ নম্বর লক্ষীপুর, আমবাড়ী, ঝিঙ্গাবাড়ী, নলজুরী হাওর। ৩ নম্বর চারিকা’টা ইউনিয়নের বালিদাঁড়া, লালাখাল, রামপ্রসাদ, থুবাং, বাউরভাগ উত্তর, বাউরভাগ দক্ষিণ, পুঞ্জী চিকনাগুল ইউনিয়নের কান্দীসহ উপজে’লার ছয়টি ইউনিয়নের দুই তৃতীয়াংশ এলাকা প্লাবিত।

হেমু মুকা’মপাড়া গ্রামের বাসিন্দা হা. নূর উদ্দিন বলেন, চার দিন থেকে পরিবার নিয়ে গৃহহীন, নেই কোন খাবার। গরু ও হাসমুরগী নিয়ে মহা বিপদে। এলাকার হাজার হাজার মানুষ পানিব’ন্দি হয়ে পড়েছে। এতে রান্না-বান্না সহ নানা সমস্যায় চরম ভোগান্তিতে রয়েছেন তারা। উপজে’লা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোন প্রকার ত্রাণ সামগ্রী পাওয়া যায়নি।

হেমু পাখিটেকি গ্রামের রাজমিস্ত্রী’ ফারুক আহম’দ বলেন, ‘ঘরে অনেক আসবাপত্র ছিল, নিয়ে আসতে পারিনি। ধান, খাট-ফা’লং, লেফ-তুষক ভিজে নষ্ট হয়ে গেছে। কিছু আসবাপত্র ভেসে গেছে আনতে পারিনি। কোন রকম ছে’লে সন্তান নিয়ে ফিরে এসেছি।

গর্দনা গ্রামের রিয়াজুল ইসলাাম বলেন, আমা’র অস্তিত্ব শেষ, দুই দুইবার ব’ন্যায় এখন আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছি। আমা’র ঘর বাড়িতে পানি। এখন সব আল্লাহর হাতে ছেড়ে দিলাম।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Comments are closed.

এ বিভাগের অন্যান্য খবর

নোটিশ : ডেইলি সিলেটে প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, আলোকচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও বিনা অনুমতিতে ব্যবহার করা বেআইনি -সম্পাদক

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত

২০১১-২০১৭

সম্পাদকমন্ডলীর সভাপতি: মকিস মনসুর আহমদ
সম্পাদক ও প্রকাশক: খন্দকার আব্দুর রহিম, নির্বাহী সম্পাদক: মারুফ হাসান
অফিস: ৯/আই, ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি, ৯ম তলা, জিন্দাবাজার, সিলেট।
ফোন: ০৮২১-৭২৬৫২৭, মোবাইল: ০১৭১৭৬৮১২১৪
ই-মেইল: dailysylhet@gmail.com

Developed by: