cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
নগরের নারী উদ্যোক্তা এলি আতিয়া চৌধুরী নিজের জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত। তার স্বামী নগরের শাহী ঈদগাহ এলাকার শামসুর রহমান হীরা ও ভাসুর এমদাদুর রহমান ফরাদ রাজনৈতিক প্রভাব খাঁটিয়ে তাকে প্রতিনিয়ত অত্যাচারে করে যাচ্ছেন। এ অবস্থায় প্রশাসনের সহযোগিতায় কামনা করেছেন এই নারী।
গতকাল সোমবার সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব অভিযোগ করেন। এলি আতিয়া চৌধুরী সিলেট নগরের শিবগঞ্জের সাদিপুর আবাসিক এলাকার আব্দুল বাছিত চৌধুরীর মেয়ে। তিনি নারী উদ্যেক্তা ও বাংলাদেশ ওমেন চেম্বারের একজন সদস্য।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘আমার স্বামী সিলেট নগরের শাহী ঈদগাহ এলাকার মৃত মো. আলাউর রহমানের ছেলে শামসুর রহমান। তিনি একজন জুয়াড়ি, মদখোর ও নেশাগ্রস্ত মানুষ। এমন পরিস্থিতিতেও আমি দুটি বাচ্চা নিয়ে ১৪ বছর সংসার করেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রথমদিকে আমার স্বামীর পারিবারিক আয় থেকে সংসার চললেও গত পাঁচ বছর থেকে পারিবারিক সম্পত্তি ভাগাভাগি হয়ে যাওয়ায় এবং আমার স্বামী বেকার হয়ে পড়েন। এ জন্য আমি নিজেই সংসারের হাল ধরি। বাবার বাড়ি থেকে টাকা ধার দেনা করে ব্যবসা পরিচালনা শুরু করি। নিজের ব্যবসার আয় ও বাবার বাড়ির টাকায় বাচ্চাদের পড়াশুনা ও সংসারের খরচ চালাতে থাকি।’
এলি আতিয়া অভিযোগ করেন, ‘নেশাগ্রস্ত হয়ে আমার স্বামী আমাকে প্রায়ই মারধর করতেন এবং ঘর থেকে বের করে দিতেন। বাবার বাড়ি চলে গেলে স্বামীর পরিবারের লোকজন আবার আমাকে বুঝিয়ে নিয়ে আসতেন। এমন ঘটনা বহুবার ঘটেছে।’
তিনি বলেন, ‘নেশাগ্রস্থ স্বামীকে সুন্দরের পথে ফেরানোর প্রাণান্ত চেষ্টা করেছি। প্রায়ই ব্যবসা করবেন এবং বাড়ি বানাবেন বলে আমার বাবার কাছ থেকে বিভিন্ন সময় টাকা এনে দিয়েছি। টাকা না দিলে তিনি নির্যাতন করতেন।’
নারী উদ্যোক্তা আরও বলেন, ‘গত এক বছরে মদপান, জুয়া খেলাসহ বিভিন্নখাতে প্রায় ১৩ লাখ টাকা ঋণ হয়ে পড়েন হীরা। ঋণ পরিশোধ করতে টাকার জন্য আমাকে চাপ দিতে শুরু করেন। আমার বাবা এভাবে টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। তখন থেকেই শুরু হয় নির্যাতন। এমনকি স্বামীর ছুরিকাঘাতে আহত হয়ে গত বছরের ১২ সেপ্টেম্বর হাসপাতালে ভর্তি ছিলাম।’
ধারাবাহিক নির্যাতনের বর্ণনা দিয়ে এলি বলেন, ‘গত বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর আমাকে প্রাণে মেরে ফেলতে টি টেবিলের বড় কাচ দিয়ে আমাকে আঘাত করেন স্বামী হীরা। এ সময় আমাকে রক্ষা করতে দেবর এগিয়ে এলে সেও আহত হয়। ওই দিনই আমাকে ও আমার সন্তানদের ঘর থেকে বের করে দেওয়া হয়। এমন অমানবিক যন্ত্রনা সহ্য করতে না পেরে আমি বাচ্চাদের নিয়ে আমার বাবার বাসায় চলে আসি।’
নির্যাতনে অতিষ্ট হয়ে স্বামীর সঙ্গে ডিভোর্সের আবেদন করেন এলি। কিন্তু হীরা তাকে ছাড়তে চান। এলি বলেন, ‘তিনি আমাকে ডিভোর্সও দিচ্ছে না। এখন বলছেন যদি যৌতুকের ১৫ লাখ টাকা না দেই তবে আমাকে ডিভোর্স দেবেন না।’
এসব ঘটনার প্রেক্ষিতে এলি আতিয়া চৌধুরী গত ৩০ সেপ্টেম্বর একটি যৌতুক মামলা ও ডিভোর্সের আবেদন করেন। এই মামলায় এক সপ্তাহ জেল খাটার পর হীররা জামিনে মুক্ত হয়ে আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেন।
নির্যাতিত এই নারী আরও বলেন, ‘নানাভাবে আমাকে ও আমার পরিবারের সদস্যদের প্রাণনাশের হুমকি দিতে থাকেন। বাধ্য হয়ে বাবার বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছি। কিন্তু স্বামী শামসুর রহমান ও তার বড় ভাই যুক্তরাজ্য প্রবাসী এমদাদুর রহমান ফরাদ আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকার সুবাদে ক্ষমতার প্রভাব দেখিয়ে ও তাদের গুণ্ডাবাহিনী দিয়ে আমার বাসা খোঁজে প্রাণনাশের চেষ্টা চালায়। এখন আমি প্রাণ ভয়ে এক বাসা থেকে অন্য বাসায় পালিয়ে বেড়াচ্ছি।’
এলি আতিয়া বলেন, ‘এখন মামলা চালাতে কোর্টেও যেতে পারছি না। পথে তারা আমাকে নানাভাবে বাধা দেওয়া হচ্ছে। এখন আমার স্বামী তার বড় ভাইয়ের গুণ্ডাবাহিনী দিয়ে আমার পরিবারের সদস্যদেরও নানাভাবে হুমকি দিচ্ছে এবং ঘরবন্দি করে ফেলেছে।’
শুধু তাই নয়, এলি আতিয়াকে কেউ সহযোগিতা করতে গেলে তাদের নামে কুৎসা, অপবাদ ও মিথ্যে মামলা দিয়ে হয়রানি করেন হীরা ও তার ভাই। তিনি বলেন, ‘আমার কোনো ভাই নেই। আমার পক্ষে কাজ করার মতো শুধুমাত্র আমার বাবা ছিলেন। আজ তিনিও বিছানায় শয্যাশায়ী। সবকিছু আমাকে একাই সামলাতে হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে আমি কারও সহযোগিতা নিতে গেলে তাকেই হুমকি-ধমকি ও মিথ্যে মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। কেউ এগিয়ে এলে তার সাথে আমাকে জড়িয়ে মিথ্যা অপবাদ ও বদনাম ছড়ানো হচ্ছে।’
পাষণ্ড স্বামীর হাত থেকে রক্ষা পেতে তিনি প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন এবং স্থানীয় প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা কামনা করেন। বিজ্ঞপ্তি