cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
সিলেটে যুবকের চোখ উপড়ে ফেলা লোমহর্ষক ঘটনার অন্যতম হোতা আবদুল কুদ্দুস এহিয়াকে ওসমানী হাসপাতাল থেকে জেল হাজতে নেয়া হয়েছে।
সিলেটের বালাগঞ্জ উপজেলার খুজগিপুর গ্রামে বসতবাড়ি সংলগ্ন পুকুর পারে এহিয়াসহ কয়েকজন সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে আবদুল হামিদ নামের এক যুবকের ডান চোখ উপড়ে নিয়ে যায়। বাম চোখটি চোখের কোটর থেকে বের করলেও নিয়ে যেতে পারেনি। গত ৩০ এপ্রিল দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আহত হামিদসহ ৪ জনকে ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এদিকে কোটর থেকে বের হওয়া একটি চোখসহ হামিদকে ওসমানী হাসপাতালে নেয়া হলে সিলেটে তার চিকিৎসা সম্ভব না হওয়ায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে আইসিইউ এম্বুলেন্সযোগে ঢাকায় প্রেরণ করেন। ঢাকায় চিকিৎসা চলছে যুবকের। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, পৃথিবীর আলো বাতাস দেখার তার সম্ভাবনা খুবই কম। এমনকি তার জীবনও সংকটাপন্ন।
অন্ধত্ববরণের পথে আহত যুবক আব্দুল হামিদ খুজগিপুর গ্রামের মৃত আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে। তার তিনটি অবুঝ সন্তান রয়েছে। অন্যদিকে, থানায় মামলা হলেও হামলাকারীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। অভিযোগ, পুলিশ তাদের গ্রেফতার করছেনা। এমনকি চোখ উপড়ে ফেলার ঘটনাকে হালকা করার লক্ষ্যে আবদুল কুদ্দুস এহিয়া, আশুক মিয়া হাসপাতালে ভর্তি হয়। এর মধ্যে আশুক মিয়া ওসমানী হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যায়।
আহতের পারিবারিক সূত্র জানায়, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে একই গ্রামের যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী মৃত আব্দুল বারিক খাজুরের ছেলে আসুক মিয়ার নেতৃত্বে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা পরিকল্পিত হামলা চালায়। সন্ত্রাসীরা প্রথমে আবদুল হামিদের পায়ে কোপ দিয়ে তাকে মাটিতে ফেলে দেয়। এসময় ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার কপালে আঘাত করলে তিনি মারাত্মক আঘাতপ্রাপ্ত হন। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে তার একটি চোখ উপড়ে নিয়ে যায় এবং আরেকটি চোখ কোটর থেকে বের করে ফেলে।
আবদুল হামিদের আর্তচিৎকারে বাড়ির ভেতর থেকে স্বজনরা এগিয়ে গেলে সন্ত্রাসীরা আবদুল হামিদের সহোদর জাকির আহমদ, ভাতিজা জুনেদ ও নাতি শামসুল মুক্তাদির মিজানকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। আবদুল হামিদকে রক্ষা করতে এগিয়ে আসা তার স্ত্রী ও সন্তানদেরকেও সন্ত্রাসীরা টানা হেচড়া করে মাটিতে ফেলে বেদম মারপিট করে। আশংকাজনক অবস্থায় আব্দুল হামিদ, জাকির, জুনেদ ও মিজানকে সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। জাকিরের মাথায় ১৩টি সেলাই লেগেছে। আব্দুল হামিদের অবস্থার অবনতি হলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরণ করা হয়।
বর্তমানে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি। অস্ত্রের আঘাতে তার দুটি চোখ একেবারে নষ্ট হয়ে গেছে। তিনি প্রাণে বাঁচলেও দৃষ্টিহীন অবস্থায় বেঁচে থাকতে হবে, জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। এ ঘটনায় আবদুল হামিদের সহোদর আব্দুর রকিব বাদী হয়ে ৮ জনকে এজাহারভুক্ত আসামী করে অজ্ঞাত আরও ১১ জনের বিরুদ্ধে বালাগঞ্জ থানায় মামলা (নং-০১(৫)২২)দায়ের করেন।
মামলার এজাহারভুক্ত আসামীরা হলেন- বালাগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম গৌরিপুর ইউনিয়নের খুজগিপুর গ্রামের মৃত আব্দুল বারিক খাজুরের ছেলে আসুক মিয়া, জামাল মিয়া, হায়দর রাজা এমরান, একই গ্রামের মৃত আব্দুল মান্নানের ছেলে আব্দুস সত্তার লেবু, আব্দুল কুদ্দুস এহিয়া, নুনু মিয়ার ছেলে নিরু মিয়া, মৃত রূপা মিয়ার ছেলে সুজন মিয়া, মৃত পঙ্কী মিয়ার ছেলে আব্দুল্লাহ আল মামুন। মামলা দায়েরের পর সন্ত্রাসী আসুক ও তার সহযোগীরা প্রকাশ্যে ঘুরাফেরা করলেও গ্রেফতার করছে না পুলিশ।
এদিকে, আসামিরা গ্রেফতার না হওয়াতে মামলা করে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন স্বজনরা। আব্দুল হামিদের স্ত্রী তিন অবুঝ সন্তন নিয়ে চরম আতঙ্কের মধ্যে বসবাস করছেন। এমনকি তার স্বজনদেরও হুমকি দেওয়া হচ্ছে। অবিলম্বে সন্ত্রাসী আসুক ও তার সহযোগীদের গ্রেফতারে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন আহতদের স্বজনরা।
ওসমানী নগর সার্কেলের এডিশনাল এসপি মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, বালাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রমা প্রসাদ চক্রবর্তী আজ ৭ এপ্রিল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রাহুল রায় ও এসআই জহরলাল দত্ত। এডিশনাল এসপি মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বলেন সন্ত্রাসীদেরকে আটক করার জন্যে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তিনি গ্রামবাসীকে শান্ত থাকার আহবান জানান।