সর্বশেষ আপডেট : ১ ঘন্টা আগে
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ খ্রীষ্টাব্দ | ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ |

DAILYSYLHET
Fapperman.com DoEscorts

ভারতে প্রতি ২৫ মিনিটে কেন একজন গৃহবধূ আত্মহত্যা করেন

ভারতের ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরো (এনসিআরবি) প্রকাশিত সর্বশেষ পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, গত বছর দেশটিতে ২২ হাজার ৩৭২ জন গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছেন। গড় হিসেবে প্রতিদিন ৬১ জন কিংবা প্রতি ২৫ মিনিটে এক জন আত্মহত্যা করেছেন।

২০২০ সালে ভারতে আত্মহত্যা করেছিলেন ১ লাখ ৫৩ হাজার ৫২ জন নারী আত্মহত্যা করেছিলেন। এদের ১৪ দশমিক ৬ শতাংশ গৃহবধূ। অবশ্য গৃহবধূদের আত্মহত্যার এই চিত্র ভারতে নতুন কিছু নয়। ১৯৬৭ সাল থেকে এনসিআরবি পেশাভিত্তিক মানুষের আত্মহত্যার তথ্য রেকর্ড করে আসছে। তাতে দেখা গেছে, প্রতি বছর গড়ে ২০ হাজার গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছে দেশটিতে। ২০০৯ সালে গৃহবধূদের আত্মহত্যার সংখ্যা ছিল সর্বোচ্চ-২৫ হাজার ৯২ জন।

প্রতিবেদনগুলোতে অধিকাংশ ক্ষেত্রে আত্মহত্যার জন্য ‘পারিবারিক সমস্যা’ কিংবা ‘বিয়ে সংশ্লিষ্ট ঘটনা’কে দায়ী করা হয়েছে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে প্রতিবছর কেন এই বিপুল সংখ্যক গৃহবধূ আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছেন?

মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, আত্মহত্যার একটি প্রধান কারণ হচ্ছে পারিবারিক সহিংসতা। সরকার পরিচালিত সর্বশেষ জরিপে ৩০ শতাংশ নারী জানিয়েছেন, তারা স্বামীর নির্যাতনের শিকার এবং দৈনন্দিন সাংসারিক কাজকর্ম বিয়েকে নিপীড়নমূলক এবং শ্বশুরবাড়িকে শ্বাসরুদ্ধকর করে তোলে।

উত্তরপ্রদেশের বারনাসীর মানসিক চিকিৎসক ড. উশা বার্মা শ্রীবাস্তব বলেন, ‘নারীরা সত্যিকারার্থে অদম্য, কিন্তু সহনশীলতারও সীমা আছে। বেশিরভাগ মেয়ের ১৮ বছর বয়স হওয়ার সাথে সাথেই বিয়ে হয়ে যায়। তিনি স্ত্রী ও পুত্রবধূ হন এবং তার সারাদিন বাড়িতে রান্নাবান্না, পরিষ্কার করা ও গৃহস্থালির কাজ করতে হয়। তার উপর সব ধরণের বিধিনিষেধ আরোপিত, তার ব্যক্তিগত স্বাধীনতা সামান্য এবং তার খুব কমই নিজের অর্থ রোজগারের সুযোগ রয়েছে। তার শিক্ষা ও স্বপ্নগুলো আর গুরুত্বপূর্ণ নয় এবং তার উচ্চাকাঙ্ক্ষা ধীরে ধীরে নির্বাপিত হতে শুরু করে। এরপর শুরু হয় হতাশা আর হতাশা এবং তার অস্তিত্ব নির্যাতনে পরিণত হয়।’

তিনি জানান, বয়স্ক নারীদের বেলায় আত্মহত্যার কারণ ভিন্ন।

ড. উশা বার্মা বলেন, ‘সন্তানরা বড় হয়ে বাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়ার পরে অনেকেই খালি বাড়ি সিন্ড্রোমের মুখোমুখি হন এবং অনেকে পেরি-মেনোপজাল লক্ষণগুলিতে ভোগেন যা বিষন্নতা এবং কান্নার পরিস্থিতি সৃষ্টি করে।’

গৃহবধূদের আত্মহত্যার কারণের পেছনে প্রায় একই কারণ দেখিয়েছেন মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞ সৌমিত্র পাথারে। তার মতে অনেক ভারতীয় আবেগপ্রবণ হয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নেন।

সৌমিত্র বলেন, ‘পুরুষরা বাড়ি ফিরে স্ত্রীকে পেটায়, আর অভিমানে আত্মহত্যা করে স্ত্রী।’

স্বাধীন গবেষণায় দেখা গেছে, আত্মহত্যার পথে যাওয়া এক তৃতীয়াংশ নারীই সহিংসতার শিকার। কিন্তু এই সহিংসতার বিষয়টি এনসিআরবির পরিসংখ্যানে দেখানো হয়নি।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Comments are closed.

এ বিভাগের অন্যান্য খবর

নোটিশ : ডেইলি সিলেটে প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, আলোকচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও বিনা অনুমতিতে ব্যবহার করা বেআইনি -সম্পাদক

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত

২০১১-২০১৭

সম্পাদকমন্ডলীর সভাপতি: মকিস মনসুর আহমদ
সম্পাদক ও প্রকাশক: খন্দকার আব্দুর রহিম, নির্বাহী সম্পাদক: মারুফ হাসান
অফিস: ৯/আই, ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি, ৯ম তলা, জিন্দাবাজার, সিলেট।
ফোন: ০৮২১-৭২৬৫২৭, মোবাইল: ০১৭১৭৬৮১২১৪
ই-মেইল: dailysylhet@gmail.com

Developed by: