সর্বশেষ আপডেট : ৫ ঘন্টা আগে
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ খ্রীষ্টাব্দ | ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ |

DAILYSYLHET
Fapperman.com DoEscorts

হিজাব পরায় পরীক্ষা দিতে না পেরে হাইকোর্টে তরুণী

তুহিনা খাতুন। মুর্শিদাবাদের বেলডাঙা থেকে সোমবার এই তরুণীটি কলকাতায় এসে সরাসরি হাজির হন হাই’কোর্টে। ক্ষুব্ধ তুহিনা খাতুন বলেন, অ্যাডমিট কার্ড না দেয়ায় সম্প্রতি অনুষ্ঠিত কনস্টেবল নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নিতে পারিনি। আমি ও আমা’র মতো কয়েক শত মু’সলিম মে’য়ের ‘অ’প’রাধ’ ছিল– আম’রা ধ’র্মীয় বিশ্বা’স অনুযায়ী মা’থা ওড়না দিয়ে আবৃত করে রেখেছিলাম। আমাদের মুখ সম্পূর্ণ অনাবৃত ছিল– যাতে পরিচয় বা চিনতে অ’সুবিধা না হয়। তাও ওয়েস্ট বেঙ্গল পু’লিশ রিক্রুটমেন্ট বোর্ডের কর্মক’র্তারা আমাদের অ্যাডমিট কার্ড ইস্যু করেননি। তাই আম’রা বহু আবেদন-নিবেদন সত্ত্বেও পরীক্ষায় বসতে পারিনি। এ নিয়ে আরো কিছু বঞ্চিত তরুণী কলকাতা হাই’কোর্টে ইতোমধ্যেই মা’মলা করেছেন। বিচারক আমাদের আবেদন উকিলের মাধ্যমে শুনেছেন। তিনি পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছেন ৬ জানুয়ারি।

তাহলে তুহিনা খাতুন আবার কেন হাই’কোর্টে এসেছেন? এই স’ম্পর্কে তুহিনার বক্তব্য– আমি ও আমা’র মতো আরো বেশ কিছু তরুণী ওয়েস্ট বেঙ্গল পু’লিশ রিক্রুটমেন্ট বোর্ডের সাব-ইন্সপেক্টর নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নিতে আবেদন করেছিলাম। ৫ ডিসেম্বর এই সাব-ইন্সপেক্টর নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। আমি এবং আমা’র মতো আরো বেশ কিছু সংখ্যালঘু তরুণী অ’বাক হয়ে দেখলাম– এবারো পু’লিশ রিক্রুটমেন্ট বোর্ড আমাদের আবেদনপত্রের পাশে লিখে দিয়েছে ‘রিজেক্টেড’। কিন্তু কেন আমাদের আবেদনপত্র বাতিল করা হলো– তার কোনো ব্যাখ্যা নেই। খোঁজ করে জানতে পারলাম– কারণ সেই একই। আমাদের মুখ অনাবৃত থাকলেও মা’থা ওড়না দিয়ে ঢাকা রয়েছে। এ স’ম্পর্কে পু’লিশ রিক্রুটমেন্ট বোর্ডে ফোন করলে একজন বোর্ড সদস্য বলেন– নিয়ম অনুযায়ী প্রার্থীরা কেউই মস্তক আবৃত করতে পারবে না। আর এই জন্যই বেশ কিছু নারী প্রার্থীকে অ্যাডমিট কার্ড দেয়া হয়নি।

তিনি আরো বলেন, আম’রা সাব-ইন্সপেক্টর পদের জন্য মা’থা আবৃত করা কাউকে যদি অ্যাডমিট কার্ড দিয়ে পরীক্ষায় বসার অনুমতি দিই– তাহলে কনস্টেবল পরীক্ষায় যাদের বসতে দেয়া হয়নি তাদের মা’মলা’টি জো’রদার হবে। তাই সাব-ইন্সপেক্টর পদের পরীক্ষার জন্য মা’থা আবৃত করা কাউকে অ্যাডমিট কার্ড দেয়া সম্ভব নয়। তুহিনা খাতুন জানান, তাই আম’রা হাই’কোর্টের কাছে আবেদন করার জন্য কলকাতায় এসেছি।

তুহিনা কেরল হাই’কোর্টের রায়টির কথাও উল্লেখ করেন। নিট পরীক্ষায় হিজাব নিয়ে একই ধরনের পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে কেরল হাই’কোর্ট রায় দেয়– জো’র করে কারও ধ’র্মীয় বিশ্বা’সে আ’ঘাত দেয়া যাবে না। কিন্তু ওয়েস্ট বেঙ্গল পু’লিশ রিক্রুটমেন্ট বোর্ড কেরল হাই’কোর্টের রায়টিকেও মানছে না।

তুহিনা খাতুনের একজন অ’ভিভাবক বলেন,পু’লিশরাও তো মা’থায় ক্যাপ পরে। উচ্চপদাধিকারিরা পরেন হ্যাট। তাদের গুরুদায়িত্ব পালনে তো কোনো অ’সুবিধা হয় না! শুধু শুধু মু’সলিম মে’য়েদের নিয়মের কথা তুলে কেন বঞ্চিত করা হচ্ছে? শিখদের ক্ষেত্রেও তো পাগড়ি পরা ও দাড়ি রাখার ছাড় রয়েছে।

অমু’সলিম বুদ্ধিজীবীরা বলেছেন, সামান্য অজুহাতে মু’সলিম মে’য়েদের এভাবে বঞ্চিত করা উচিত নয়। বরং মু’সলিম মে’য়েদের আবেদনকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করা উচিত। কারণ তারা পুরনো প্রথা ভেঙে পু’লিশের চাকরিতে যোগ দিতে এগিয়ে আসছে। তাদের এভাবে নিরুৎসাহিত করা উচিত নয়।

তুহিনা বলেন, আম’রা এখন অ’পেক্ষায় আছি– হাই’কোর্ট ৫ ডিসেম্বর পরীক্ষার আগেই আবেদনটি গ্রহণ করে আমাদের অ্যাডমিট কার্ড দিতে পু’লিশ বোর্ডকে নির্দেশ দেবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Comments are closed.

এ বিভাগের অন্যান্য খবর

নোটিশ : ডেইলি সিলেটে প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, আলোকচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও বিনা অনুমতিতে ব্যবহার করা বেআইনি -সম্পাদক

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত

২০১১-২০১৭

সম্পাদকমন্ডলীর সভাপতি: মকিস মনসুর আহমদ
সম্পাদক ও প্রকাশক: খন্দকার আব্দুর রহিম, নির্বাহী সম্পাদক: মারুফ হাসান
অফিস: ৯/আই, ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি, ৯ম তলা, জিন্দাবাজার, সিলেট।
ফোন: ০৮২১-৭২৬৫২৭, মোবাইল: ০১৭১৭৬৮১২১৪
ই-মেইল: dailysylhet@gmail.com

Developed by: