cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
আগেও তাঁকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালাতেন শ্বশুরবাড়ির লোকজন বলে স্থানীয়দের দাবি। কিন্তু কন্যা সন্তান জন্ম দেওয়ার পর সেই অত্যাচার বাড়ছিল। এমনকি বাড়ির বউকে গাছে বেঁধে পিটিয়ে মেরে পরে ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল স্বমী, শ্বশুর ও শাশুড়ির বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের (Malda) মহেন্দ্রপুর এলাকায়। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র উত্তেজনা এলাকায়।
জানা গিয়েছে, কন্যা সন্তান জন্ম দেওয়াই ছিল বধূর ‘অপরাধ’। তার জন্য দিনের পর দিন তাঁকে চরম নির্যাতন করা হয়েছে। গাছে বেঁধে নির্মম প্রহারের পর অবশেষে খুন হতে হল তাঁকে। শুধুমাত্র কন্যা সন্তান জন্ম দেওয়ার জন্য গৃহবধূকে পিটিয়ে মেরে ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ স্বামী, শ্বশুর এবং শাশুড়ির বিরুদ্ধে। স্থানীয় সূত্রে খবর, দু’ মাস আগে গাছে বেঁধে ওই গৃহবধূকেই নির্মমভাবে মারধর করে স্বামী সহ শ্বশুর বাড়ির ৫ জন মিলে। সে নিয়ে তীব্র ঝামেলা হয়। পঞ্চায়েত সদস্য, মোড়ল-মাতব্বরদের তরফে বসে সালিশি সভাও। সেখানে জরিমানা করা হয় স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের। পরে এমনটা হলে কড়া শাস্তির হুমকিও দেওয়া হয়। তবুও শেষ রক্ষা হল না। কন্যা সন্তান জন্ম দেওয়ায় খুন-ই হতে হল গৃহবধূকে! এমন মধ্যযুগীয় বর্বরতার মতো ঘটনায় হতবাক মালদহের মহেন্দ্রপুরের মানুষ ।
জানা গিয়েছে, হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার মহেন্দ্রপুর গ্রামপঞ্চায়েতের কাগমারি গ্রামের ২৪ বছরের রুকসেবা খাতুনের সঙ্গে বিয়ে হয় বরুই গ্রাম পঞ্চায়েতের পাঁচলা গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল মান্নানের। তাঁদের ২ বছরের কন্যা সন্তান রয়েছে। আর কন্যা সন্তান প্রসবের পর থেকেই তীব্র অত্যাচার শুরু হয়। দিনের পর দিন রুকসেবা খাতুনের উপর চলে তীব্র নির্যাতন।
বাড়ির প্রথম সন্তান কন্যা হবে এটা নাকি কিছুতেই মেনে নিতে পারেননি স্বামী সহ শ্বশুর বাড়ির লোকজন। তাঁরা তাঁদের উত্তরাধিকার হিসেবে পুত্র সন্তান চেয়েছিলেন। তাই কন্যা সন্তান জন্ম দেওয়ার সব দায় রুকসেবার ওপর চাপিয়ে নির্যাতন শুরু হয়। নির্যাতন এমন পর্যায় যায় যে গত দু’মাস আগে প্রকাশ্যে গাছে বেঁধে রুকসেবাকে নির্মম ভাবে মারধর করা হয়। মারে অচৈতন্য হয়ে পড়েন তিনি। এর পর গ্রামের লোকজন ছুটে এসে বাঁচায় তাঁকে। গ্রামের মোড়ল মাতব্বর থেকে শুরু করে পঞ্চ্যায়েত সদস্যরা গ্রামে সালিশি বসায়। জরিমানা করে বড় শান্তির হুমকিও দেওয়া হয়। কিন্তু তবুও বাঁচানো যায় নি রুকসেবাকে।
এদিন সকালে ফোন করে নিজের মেয়েকে পাননি বাবা রেজাউল আলি। এর পর উদ্বিগ্ন হয়ে ছুটে যান মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে। সেখানে গেলে দেখেন মেয়ের ঝুলন্ত মৃতদেহ। সারা শরীরে মারধরের চিহ্ন। শোকার্ত অবস্থাতেই তিনি থানায় ছুটে যান। তিনি দাবি করেন, মেয়েকে মেরে ফেলেছে শ্বশুরবাড়ির লোকজন। কিন্তু ততক্ষণে পলাতক রুকসেবার স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি, ভাসুর ও জা। এখন পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। শুরু হয়েছে তদন্ত।