cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
একমাত্র শিক্ষক ছে’লের বিলা’শবহুল পাকা বাড়ির পাশে বাবার দোচালা ছোট্ট টিনের ঘর। ছে’লের ঘরের সামনের দেয়ালে রং দিয়ে লেখা রয়েছে, মা বাবার দোয়া। মা মোমেনার নামটিও লেখা রয়েছে সেই দেয়ালে। দেয়ালের লেখায় পিতৃ ও মাতৃ ভক্তির প্রকাশ থাকলেও বাস্তব চিত্র উল্টো। নিজ নামীয় জমি ছে’লেকে রেজিস্ট্রি করে না দেওয়ায় ক্রমশই কমতে থাকে পিতৃ ও মাতৃভক্তি। এক পর্যায়ে এসে প্রায়শই বাবা মায়ের গায়ে হাত তুলতে থাকেন শিক্ষক ছে’লে। মা’রধোর করতেন মাঝে মধ্যেই। এ শিক্ষক পুত্রের চপোটাঘাতে ইতোপূর্বে শ্রবণ শক্তি ও দাঁত হারালেও লোক লজ্জার ভ’য়ে তা চেপে থাকেন বৃদ্ধ পিতা। কিন্তু অ’ত্যাচারের মাত্রা বাড়ায় বাড়তে থাকে সাংসারিক অশান্তি। এলাকায় অনেক দরবার, শালিশ বৈঠক হয়। ছে’লে মাফ চেয়ে পার পেলেও বদলায় না তার স্বভাব ও সম্পত্তির লো’ভ।
এই বৃদ্ধ পিতা-মাতা হলেন, পাবনার চাটমোহরের মহেলা গ্রামের আতাউর রহমান (৭৫) এবং তার স্ত্রী’ মোমেনা খাতুন। এ দম্পতির ছে’লে, চাটমোহর সরকারি আরসিএন অ্যান্ড বিএসএন উচ্চ বিদ্যালয়ের ট্রেড ইন্সট্রাক্টর মজনুর রহমান। জমি রেজিস্ট্রি করে দিতে অ’পারগতা প্রকাশ করায় গত ১২ অক্টোবর মজনুর রহমান তার বাবাকে লাথি মা’রাসহ লা’ঞ্ছিত করেন। এর একটি ভিডিও চিত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাই’রাল হয়। এ ঘটনায় থা’নায় ভুক্তভোগী বাবা অ’পারগ হয়ে থা’নায় অ’ভিযোগ দিলে ছে’লে মজনুর রহমানকে গ্রে’প্তার করে পু’লিশ আ’দালতে সোপর্দ করে। সেই ছে’লে এখন কারাগারে।
বৃদ্ধ আতাউর রহমান কালের কণ্ঠকে জানান, উপজে’লার মহেলা বাজার পোস্ট অফিসে পোস্ট মাস্টার হিসেবে চাকরি করেন তিনি এবং তার স্ত্রী’ গৃহিনী। তারা তাদের দুই ছে’লে চার মে’য়েকে অনেক ক’ষ্টে বড় করে তোলেন। আশা করেছিলেন ছে’লেরা বড় হয়ে সংসারের হাল ধরবে। মে’য়েদের বিয়ে দিয়ে দিয়েছেন। নিজের বসত বাড়ি দুই ছে’লেকে রেজিস্ট্রি করে দেন কয়েক বছর পূর্বেই। পাশের প্রায় সাড়ে তিন বিঘা জমি দুই ছে’লের নামে উইল করে দিয়েছিলেন। বছর তিনেক পূর্বে বড় ছে’লে আব্দুল মান্নানের মৃ’ত্যু হয়। তার মৃ’ত্যুর পর থেকে ছোট ছে’লে, চাটমোহর সরকারি আরসিএন অ্যান্ড বিএসএন উচ্চ বিদ্যালয়ের ট্রেড ইন্সট্রাক্টর মজনুর রহমান পিতার নিকট থেকে মাঠের অন্যান্য সম্পত্তি রেজিস্ট্রি করে দিতে চাপ প্রয়োগ করতে থাকেন। ইতমধ্যে বেশ কিছু সম্পত্তি বিক্রি করে ছে’লে মজনুর রহমানকে টাকা দিতে বাধ্য হয়েছেন এ পিতা। কিন্তু সব জমি রেজিস্ট্রি করে না দেওয়ায় মাঝে মধ্যেই শিক্ষক ছে’লে মজনুর রহমান পিতা মাতাকে মা’রধোর করতেন। ছে’লের মা’রধোরে শ্রবণ শক্তি ও দাঁত হারিয়েছেন পিতা। ছে’লের এহেন আচরণে ক্ষিপ্ত হয়ে আতাউর রহমান বাড়ির পাশের জমির উইল বাতিল করে চার মে’য়ের নামে রেজিস্ট্রি করে দেন। এতে আরো ক্ষিপ্ত হয় মজনুর রহমান।
কয়েক দিন পূর্বে আতাউর রহমানের অজান্তে ছে’লে মজনুর রহমান তার পিতার নামীয় একটি জমি বিক্রি করে দেওয়ার জন্য ক্রেতার নিকট থেকে অগ্রীম টাকা গ্রহণ করেন। বাবাকে ক্রেতা বরাবর এ জমিটি রেজিস্ট্রি করে দেওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করতে থাকেন। পিতা জমি রেজিস্ট্রি করে দিতে সম্মত না হলে গত মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) সকাল দশটার দিকে উপজে’লার মহেলা বাজার পোস্ট অফিসে গিয়ে কর্তব্যরত পিতাকে গালিগালাজ ও মা’রধোর করতে থাকেন। এ সময় আতাউর রহমান তার জামাইদের ফোন করার চেষ্টা করলে ফোনটি ছিনিয়ে নেন মজনুর রহমান। এ সময় পোস্ট অফিস এলাকায় ফের পিতা পুত্র ধ্বস্তা ধস্তি হয় যার ভিডিও চিত্র ছড়িয়ে পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
ভিডিও চিত্রে দেখা যায় মোবাইল ফোনটি নিয়ে ছে’লে মোটরসাইকেলে উঠতে উদ্যত হলে তাকে বাধা দেন বাবা। মোবাইলটি ফেরত চেয়ে কখনও ছে’লের পা ধরে রাখেন, কখনও তার মোটরসাইকেল টেনে ধরেন। ওই সময় ক্ষুব্ধ ছে’লে মজনুর রহমান তার বাবাকে লাথি মা’রেন। সেইসাথে বাবার সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি ও ধস্তাধস্তি করেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভিডিওটি ভাই’রাল হলে সমালোচনার ঝড় ওঠে।
ভুক্তভোগী বাবা গত শনিবার দুপুরে ক্ষোভের সাথে জানান, ছে’লের কাছ থেকে এমন আচরণ আশা করিনি। বুকের ব্যথায় এখনো ক’ষ্ট পাচ্ছি। ওর মাকে মা’রার জন্য গলায় ছুড়ি পর্যন্ত ধরেছিল। বাড়িতে এসে আমাকে বার বার মা’রে। এমন সন্তান আল্লাহ যেন কারো ঘরে না দেয়। ছে’লে জে’ল হাজতে রয়েছে এতে আমা’র বিন্দু মাত্র আফসোস নেই। আমি আইনের আশ্রয় নিয়েছি। অনেকেই বিষয়টি মীমাংসা করে ফেলতে বলছেন। কিন্তু আমি চাই এ ঘটনার আইনানুগ বিচার হোক।