সর্বশেষ আপডেট : ৩ ঘন্টা আগে
মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪ খ্রীষ্টাব্দ | ১০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ |

DAILYSYLHET
Fapperman.com DoEscorts

বাঙালির অস্তিত্বের শেকড়, বিশ্বনেত্রী শেখ হাসিনা’ আমাদের স্বপ্নজয়ের ঠিকানা

মকিস মনসুর: আওয়ামীলীগ, বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশের স্বাধীনতা, আধুনিক বাংলা আর শেখ হাসিনা এই পাঁচটি শব্দ এক অভিন্ন !
১৯৪৭ সালের ২৮ সেপ্টেম্বরের এই দিনে শতাব্দীর মহানায়ক সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী ,বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রধান নেতা ও বাংলাদেশ সরকারের প্রথম রাষ্ট্রপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুননেসা মুজিবের ঘরে যে শিশুটির জন্ম হয়েছিলো, তিনিই হাটি হাটি পা পা করে নিজের সততা নিষ্ঠা একাগ্রতা, ভিশন ও কাজের মাধমে বাংলাদেশের সফল রাষ্ট্রনায়ক হিসাবে আজ বিশ্বনেত্রী হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছেন।তাঁর সুদৃঢ় নেতৃত্বে এগিয়ে চলেছে বাংলাদেশ দুরন্ত, দুর্বার গতিতে। নিখাদ দেশপ্রেম, দূরদর্শিতা, সুদৃঢ় মানসিকতা ও মানবিক গুণাবলী তাঁকে করেছে অদ্বিতীয়। তিনিই বাঙালির জাতীয় ঐক্যের প্রতীক, ভরসার শেষ আশ্রয়স্থল , তিনি হচ্ছেন বাংলাদেশের সফল রাষ্ট্রনায়ক মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ সভাপতি দেশরত্ন শেখ হাসিনা’। আজকের লেখনীর শুরুতেই জানাচ্ছি মাদার অব ইমিউনিটি বিশ্বনেত্রী শেখ হাসিনাকে প্রবাস থেকে অভিনন্দন প্রধানমন্ত্রীর সুস্বাস্থ্য ও দীঘায়ুর জন্য সবার প্রতি দোয়া কামনা করছি।

এখানে উল্লেখ্য যে , বাবার নেতৃত্বের গুণ ছাত্র জীবন থেকেই শেখ হাসিনার ধমনীতে প্রবাহিত ছিল, তাই ছাত্র জীবনেই তিনি রাজনীতি নাম লিখালেন, ইডেন কলেজে নির্বাচিত ভিপি ছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যায়নকালেও তিনি রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলেন। রোকেয়া হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।

১৯৮১ সালে শেখ হাসিনার অনুপস্থিতিতেই তাকে আওয়ামী লীগের সভাপতি মনোনীত করা হয়। ১৭ মে ১৯৮১ সালে শেখ হাসিনা বাংলাদেশে ফিরলেন। শুরু হলো নতুন সংগ্রাম। পিতা মাতা ও পরিবার পরিজন হারানোর শোককে শক্তিতে পরিনত করে বহুধা বিভক্ত আওয়ামী লীগের ঐক্যের প্রতীক হয়ে, হৃদয়ে রক্তক্ষরণ আর মানবতার মুক্তির লক্ষ্য কে সামনে রেখে পিতা মুজিবের দেখা স্বপ্ন “দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফুটানোর” প্রত্যয়ে শোককে শক্তিতে রূপান্তর করে স্বৈরাচার এরশাদ সরকারের বিরোদ্ধে আন্দোলনে নামলেন। “ স্বৈরাচার নিপাক যাক, গণতন্ত্র মুক্তি পাক”। ৯ বছরের আন্দোলন সংগ্রামের ফলে ১৯৯০ এর গণঅভ্যুত্থানে এরশাদ সরকারের পতন হলো।
১৯৯১ সালের নির্বাচনে সুক্ষ কারচুপির মাধ্যমে বিএনপি ক্ষমতায় আসলে, শেখ হাসিনা গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখার জন্য বিরোধী দলীয় নেত্রীর ভূমিকা পালন করলেন।

১৯৯৬ সালের ৭ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলে সভানেত্রী শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হলেন।প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দল আজ স্বয়ংবর.জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া আওয়ামীলীগ তাঁরই যোগ্যতম কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা আজ প্রজন্ম পরম্পরায় বাংলার আলোর প্রতীক. হিসাবে বাংলাদেশ সারা বিশ্বের উন্নয়নের মডেলে পরিণত করেছেন। ভগ্নপ্রায় রাষ্ট্রব্যবস্থা ও অর্থনীতিকে দাঁড় করিয়ে মজবুত করেছেন দেশের মেরুদণ্ড। বাংলাদেশের গণমানুষের শান্তি-সমৃদ্ধি নিশ্চিত করতে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা বিনির্মাণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।

উল্লেখযোগ্য প্রাপ্তির মধ্যে ছিল গঙ্গা পানি চুক্তি, পার্বত্য শান্তি চুক্তি, যমুনা নদীর উপর বঙ্গবন্ধু সেতু নির্মাণ, বিধবা, দু:স্থ, অসহায় মহিলাদের জন্য আর্থিক অনুদান চালু, গৃহহীনদের জন্য আশ্রয়ণ প্রজেক্ট চালু ইত্যাদি।
২০০১ সালের ৮ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি জামাত জোট সরকার গঠন করলে, শেখ হাসিনা তথা বাংলাদেশের অস্থিত্য হুমখীর সম্মুখীন হয়। চলে দেশব্যাপী গুম-খুন, বোমা হামলা, গ্রেনেড হামলার ঘটনা। তারেক রহমানের পরিকল্পনায় ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান শেখ হাসিনা। কিন্তু হারাতে হয় অনেক কাছের নেতা-কর্মীদের। এরশাদ-খালেদার শাসন আমলে মোট ১৯ বার হত্যা চেষ্টা চলে শেখ হাসিনার উপর। কিন্তু “রাখে আল্লাহ, মারে কে ?”

২০০৬-০৮ তত্ত্বাবধায়কের নাম করে উড়ে এসে জুরে বসে আরেক অরাজনৈতিক সরকার। তাদের কাছে নির্বাচন দাবী করলে অন্যায়ভাবে জেলে যেতে হয় শেখ হাসিনাকে। জেল থেকে আইনি প্রক্রিয়ায় তিনি বের হলেন এবং ৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয় লাভের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ আবার সরকার গঠন করলো। এ সময়ে উল্লেখযোগ্য সাফল্য ছিল- মায়ানমারের সাথে জলসীমা মীমাংসা, জিডিপি ৬% উন্নীত, দারিদ্রতার হার ৩৮% থেকে ২৪% ,জাতিসংঘ এমডিজি লক্ষ মাত্রা অর্জন । তবে চ্যালেঞ্জও ছিল অনেক, পিলখান হত্যাকাণ্ড বিচার সম্পাদন, নারী নীতি বিরোধী আন্দোলন, যুদ্ধাপরাধী বিচার ও ফাঁসি কার্যকর। রানা প্লাজা অগ্নিকাণ্ড পরবর্তী আমেরিকা এবং ইউরোপিয়ান দেশ সমূহের সাথে রেকর্ড সম্পাদন।

২০১৪ সালে ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির আগুন সন্ত্রাসের জবাবে জনগণ আবার আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আনলে শুরু হয় উন্নয়নের মহাকাব্য। এ সময়কার সাফল্যগুলি ছিল- ডিজিটাল বাংলাদেশ, মাথাপিছু আয় ১৬০২ মার্কিন ডলারে উন্নীত, দারিদ্রতার হার ২৪% থেকে ২২%, ফরেন রিজার্ভ ৩২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, নিজ অর্থায়নে পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ শুভ সূচনা, রাম পাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র, মাতারবাড়ি বিদ্যুৎ কেন্দ্র, রুপ পুর বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাজ শুভ উদ্বোধন, সাবমেরিন ও স্যটেলাইট যোগে প্রবেশ ইত্যাদি। এ সময় বড় চ্যালেঞ্জ ছিল- হলি আর্টিজানসহ সারাদেশে জঙ্গি দমন, ১০ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা শরণার্থী আশ্রয় দান। মানবতার জননী শেখ হাসিনা শক্ত হাতে পরিস্থিতি মোকাবেলা করেছেন।

২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আবার ক্ষমতায় আসলে আওয়ামী লীগ এর উন্নয়নের যাত্রা পূর্ণ গতি পেল। কিন্তু হানা দিল করোনাভাইরাস। এখানেও রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা চমক দেখালেন। বিশ্বের বড় বড় রাষ্ট্র যখন হিমশিম খাচ্ছে, বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছে বিশ্ব অর্থনীতি এমন সংকটময় পরিস্থিতিতেও ৭৫ বছর বয়সের এই মহামানবী করোনা মহামারী মোকাবিলায় “ভ্যাকসিন ডিপ্লমেসিতে” সাফল্য দেখিয়ে যাচ্ছেন । বারবার দেশের মানুষকে অ্যাড্রেস করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার মাধ্যমে নিজেকে এবং অন্যকে করোনা থেকে সুরক্ষার নির্দেশনা দিচ্ছেন। নিয়মিত তৃণমূল প্রশাসনকে দিকনির্দেশনা দিয়ে তদারকি করছেন। বিভিন্ন প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়ন করে দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রেখেছেন। এ সময়ে দারিদ্র্যের হার ২০ দশমিক ৫ শতাংশে নেমে এসেছে, মাথাপিছু আয় ২,২২৭ মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে। বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ সর্বকালের সর্বোচ্চ ৪৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অতিক্রম করেছে। শিশু মৃত্যু হার প্রতি হাজারে ২৩ দশমিক ৬৭-এ কমে এসেছে। মানুষের গড় আয়ু বেড়ে হয়েছে ৭৩ বছর। সুদান ও শ্রীলংকাকে অর্থ ঋণ সহায়তা দিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নিজেদের সক্ষমতার জানান দিয়েছে। এরই মধ্যে ২০২১-২২ অর্থ বৎসরে ৩ হাজার ৬ লক্ষ ৬৮১ কোটি টাকার রেকর্ড গড়ার বাজেট দিয়েছে শেখ হাসিনার সরকার। ঢাকা-মাওয়া হাইওয়ে সম্পন্ন হয়েছে। পদ্মা সেতু রেল লিঙ্ক, মেট্রোরেল, দোহাজারী-কক্সবাজার রেল, পায়রা বন্দরসহ বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প চলমান রয়েছে। সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের আওতায় ২৬টি বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন চলমান আছে। এলেঙ্গা-রংপুর মহাসড়ক, ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক চার লেইনে উন্নীত করার কাজ এগিয়ে চলছে। মেট্ররেল ট্রায়াল রান শুরু হয়েছে। দোহাজারী-কক্সবাজার রেল লাইনের কাজ চলছে। ঢাকা অ্যালিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজ চলছে। কর্ণফুলী নদীর তলদেশে টানেল নির্মাণ চলছে। পায়রা বন্দর এবং গভীর সমুদ্র বন্দরের কাজ চলছে। শাহজালাল বিমান বন্দরের ৩য় পর্যায়ের কাজ চলছে। মুজিব বর্ষের উপহার আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর, দেশব্যাপী মডেল মসজিদ এসবই শেখ হাসিনার দক্ষ দিকনির্দেশনায় উন্নয়নের মহাসড়কে বদলে যাওয়া এক বাংলাদেশের চিত্র।

বিগত এক দশক ধরে বাংলাদেশ উচ্চ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন করে আসছে। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে বাংলাদেশ রেকর্ড ৮.১৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করলেও করোনাকালীন বাস্তবতায় ২০২০-২১ অর্থবছরে  ৫.২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে, যা এশিয়ার সর্বোচ্চ।

২০২১-২২ অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ৭.২ শতাংশ। বাংলাদেশের গড় আয়ু ৭৩ বছর, মহিলাদের ক্ষেত্রে ৭৫ বছর এবং পুরুষের ক্ষেত্রে ৭১ বছর। করোনাকালীন কঠিন সময়েও সদ্যসমাপ্ত ২০২০-২১ অর্থবছরে প্রবাসীরা মোট দুই হাজার ৪৭৭ কোটি ৭৭ লাখ ডলার দেশে পাঠিয়েছে। রেমিট্যান্সের পাশাপাশি রপ্তানি আয়ও বেরেছে; করোনা অতিমারির মধ্যেও সদ্য সমাপ্ত ২০২০-২০২১ অর্থবছরে মোট তিন হাজার ৮৭৫ কোটি ৮৩ লাখ ডলারের (৩৮ দশমিক ৭৫ বিলিয়ন) পণ্য রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ।

উন্নয়নের বিস্ময় বাংলাদেশে অনেক বড় বড় প্রকল্প চলমান রয়েছে, বড় বড় ফ্লাইওভার করা হয়েছে, মেট্রোরেল মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে, মহাকাশে বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করা হয়েছে। পদ্মা সেতুতে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়ন স্থগিতের পর নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু নির্মাণ শেখ হাসিনার দৃঢ়চেতা দূরদর্শী নেতৃত্বের বহিঃপ্রকাশ, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির প্রকাশ, বহির্বিশ্বে আমাদের সম্মানযোগ।

বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে অর্থাৎ ডিজিটাল বাংলার আলোর মিছিলকে এগিয়ে নিতে নিষ্ঠা ও নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। বাংলাদেশ স্বাধীনতার ৫০ বছরে আজ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। নিজস্ব অর্থায়নে প্রায় ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা ব্যয়ে পদ্মাসেতু নির্মাণ করে ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন।

১৯৭০ সালে মাথাপিছু গড় আয় ছিল ১৪০ ডলার। সে জন্যই হয়তো স্বাধীনতার পরাজিত শক্তিরা বলেছিল—আগামী ১০০ বছরের মধ্যেও বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় এক হাজার ডলার ছাড়াবে না। কিন্তু বিস্ময়ের বিষয় এই যে, মাত্র ৫০ বছরের মধ্যেই বাংলাদেশের মানুষের মাথাপিছু আয় দুই হাজার ২২৭ ডলার ছাড়িয়ে গেছে। বর্তমানে বাংলাদেশের রিজার্ভ ৪৬ বিলিয়ন ডলার। এই রিজার্ভ দিয়ে প্রতি মাসে চার বিলিয়ন ডলার হিসেবে প্রায় সাড়ে ১১ মাস সময়ের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব।

কভিড-১৯ করোনাভাইরাস মোকাবেলায় সমগ্র বিশ্ব জগত যেখানে চিলো দিশাহারা, সেখানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ দেখিয়েছে এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত, তিনি দেশবাসির জন্য ভ্যাকসিন সংগ্রহ করে কূটনৈতিক চমক দেখিয়েছেন। বস্তুচ্যত রোহিঙ্গা মুসলিম জন গুষ্টিকে আশ্রয় দিয়ে হয়েছেন মাদার অফ হিউমিনিটি। নারীর ক্ষমতায়ণে রেখেছেন উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত , বৈশ্বিক উষ্ণায়ন ও জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় ভূমিকা রেখেছেন। রেখেছেন বলিষ্ঠ কন্ঠ। তিনি বিশ্বের অন্যতম সৎ ও পরিশ্রমী প্রধানমন্ত্রী, গণতন্ত্রের মানসকন্যা। তাঁর সঠিক নেতৃত্তে বাংলাদেশকে বিশ্বে এখন “ডেভিল্পমেন্ট মডেল” হিসেবে গণ্য করছে।

মহিলা ও ল্যাকটেটিং মাদার এবং কৃষিকাজে নিয়োজিত প্রান্তিক নারী কর্মীদের জন্য ভাতা প্রদান। ৫০ হাজার ভূমিহীন, গৃহহীন ও ছিন্নমূল পরিবারকে পূনর্বাসন এবং সিডর ও আইলায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার উন্নয়নের লক্ষ্যে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্প গ্রহণ। ঢাকায় একটি অটিজম রিসোর্স সেন্টার ও একটি অবৈতনিক অটিস্টিক স্কুল চালু। বিসিএস ক্যাডারসহ অন্যান্য সরকারি চাকুরীতে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীর পদে প্রতিবন্ধীদের জন্য ১ শতাংশ এবং তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর পদে এতিম ও প্রতিবন্ধীদের জনব্য ১০ শতাংশ কোটা সংরক্ষণ।
একটি বাড়ী একটি খামার প্রকল্পের আওতায় ১ হাজার ৯২৩টি ইউনিয়নের ১০ লক্ষ ৩৮ হাজার পরিবারকে ১৭ হাজার ৩০০ গ্রাম সংগঠনের মাধ্যমে খামারীতে উন্নীতকরণ। বিশ্বায়নের সকল সুবিধা গ্রহণের লক্ষ্যে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ব্যাপক অগ্রগতি অর্জিত।

২০২১ সালের অনেক আগেই “ডিজিটাল বাংলাদেশ” প্রতিষ্ঠার সম্ভাবনা সৃষ্টি। দেশের প্রতিটি ইউনিয়নের তথ্য ও সেবাকেন্দ্র চালু। এসব তথ্য কেন্দ্র থেকে গ্রামীণ জনগোষ্ঠী বিভিন্ন সরকারি ফরম, নোটিশ, পাসপোর্ট ও ভিসা সংক্রান্ত তথ্য, কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও বিভিন্ন সেবা বিষয়ক তথ্য, চাকুরীর খবর, নাগরিকত্ব সনদপত্র, পাবলিক পরীক্ষার ফলাফল, বিদেশে চাকুরী প্রাপ্তির লক্ষ্যে রেরিস্ট্রেশনসহ ২২০টি সেবা গ্রহণের সুযোগ সৃষ্টি। মোবাইল ব্যাংকিং, জীবন বীমা, মাটি পরীক্ষা ও সারের সুপারিশ, বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ এবং জমির পর্চাসহ অন্যান্য সেবা পাওয়ার সুযোগ সৃষ্টি। প্রায় ৪ হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কম্পিউটার ল্যাব স্থাপন।
উপজেলা ও জেলা হাসপাতালগুলোতে মোবাইল স্বাস্থ্যসেবা চালু। টেলিমেডিসিন সিস্টেম চালু। মোবাইল টেলিফোন সিমের সংখ্যা ১০ কোটিতে উন্নীত। থ্রি-জি প্রযুক্তি চালু। মোবাইল ফোনেই ভিডিও কল করা যাবে। টিভি দেখা যাবে। ইন্টারনেটের গতি বাড়বে। টেলি কনফারেন্স করা যাবে।

ইন্টারনেট গ্রাহকের সংখ্যা সাড়ে তিন কোটিতে উন্নীত। ৫৮টি জেলার ১৭৮টি উপজেলা ও ৪২টি গ্রোথ সেন্টারে ডিজিটাল টেলিফোন প্রদান। ৩টি পার্বত্য জেলার ২০টি উপজেলায় ডিজিটাল এক্সচেঞ্জ স্থাপন।
বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তির বিভিন্ন ক্ষেত্রে গবেষণা পরিচালনার জন্য বঙ্গবন্ধু ফেলোশিপ, আইসিটি ফেলোশিপ ও অনুদান প্রদান। রূপকল্প ২০২১, প্রেক্ষিত পরিকল্পনা (২০১০-২১) ও ষষ্ঠ পঞ্চবার্ষিক (২০১১-২০১৫) পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রতি অর্থবছর লক্ষভেদী বাজে প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন নিশ্চিতকরণ।

বিশ্ব অর্থনীতিতে মন্দা, ইউরোপে মারাত্মক অর্থ সংকট, উন্ন বিশ্বেও বাজারগুলোতে চাহিদা হ্রাসসহ নানামুখী নেতিবাচক পরিস্থিতি মোকাবেলা করে বাংলাদেশ গড়ে ৬ দশমিক ৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন। বার্ষিক উন্নয়ন ব্যয় ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি। ২০০৭-০৮ অর্থবছরে ২২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা থেকে ২০১৩-১৪ অর্থবছওে ৬৫ হাজার ৮৭০ কোটি টাকায় উন্নীত। এডিপি বাস্তাবায়ন হার ৯৭ শতাংশে উন্নীত। রাজস্ব আদায় প্রায় দ্বিগুণ বৃদ্ধি।
মাথাপিছু আয় ২০৮ সালে ৬৩০ ডলার থেকে ১০৪৪ ডলারে উন্নীত। ৫ কোটির বেশী মানুষ নিম্নবিত্ত থেকে মধ্যবিত্তে উন্নীত। ১০ কেজি দামে চাল বিতরন করা. ১৫ ই আাগষট বঙ্গবন্ধু হতাকান্ডের বিচার ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সম্পন্ন সহ নানা উন্নয়নে সরকার ভৃমিকা রেখে চলছে।

আজ সিডিপির তিনটি সূচকের ভিত্তিতে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের তিনটি সূচকেই বাংলাদেশ শর্ত পূরণ করে অনেক এগিয়ে গেছে। মাথাপিছু আয়ের টার্গেট ছিলো ১২৩০ মার্কিন ডলার আর বাংলাদেশের অবস্থান ১৮২৭ মার্কিন ডলার। মানবসম্পদ সূচক টার্গেট ছিলো ৬৬ পয়েন্ট আর বাংলাদেশের অবস্থান ৭৫.৩ পয়েন্ট এবং অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতা সূচক ধরা হয়েছিলো ৩২ পয়েন্ট এর নীচে আর এ সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ২৫.২ পয়েন্ট
স্বাধীনতার ৫০ বছরে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের পথে আমাদের প্রাণের ডিজিটাল বাংলাদেশ। একটি প্রত্যয়, একটি স্বপ্ন,সিডিপির তিনটি সূচকেই বাংলাদেশ শর্ত পূরণ করে অনেক এগিয়ে গেছে। সফল রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ডিজিটাল বাংলার আলোর মিছিল তথা আমাদের এই উন্নয়নের গতিধারা অব্যাহত থাকলে বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশ অচিরেই একটি উন্নত-সমৃদ্ধ মর্যাদাশীল দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে। এই সংবাদ আমাদের জন্য আনন্দের এবং গৌরবের।২০৪১ সালের মধ্যে জ্ঞানভিত্তিক উন্নত ও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধ দেশের স্বপ্ন নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। অভূতপূর্ব উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকুক,

আসুন জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা বিনির্মাণের লক্ষ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ম্যাদার অব ইউমিনিটি দেশরত্ন শেখ হাসিনা উন্নয়ন-অগ্রগতি ও ডিজিটালাইজড নতুন প্রজন্মের উপযুক্ত বাংলাদেশ তথা ডিজিটাল বাংলার আলোর মিছিলকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করতে হবে এই হোক আমাদের দীপ্ত শপথ.
জননেত্রী ইতিমধ্যে এসডিজির শর্তপূরণে সক্ষমতা অর্জন করায় জাতিসংঘের ক্রাউন জুয়েল পুরস্কার সহ দেশীয় ও আন্তর্জাতিক প্রায় ৩৯ টি পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।

শেখ হাসিনা বিশ্বব্যাপী সমাদৃত রাষ্ট্রনায়ক। তিনি একাধিক সম্মাননায় ভূষিত। মাদার তেরেসা অ্যাওয়ার্ড, ইন্দিরা গান্ধী পিস অ্যাওয়ার্ড, ইউনেস্ক পিস ট্রি অ্যাওয়ার্ড, চ্যাম্পিয়ন আব আর্থ, ইস্টার অব ইস্ট ইত্যাদি।আমাদের বাতিঘর, গর্ব, সাহস, শ্রদ্ধা, আস্থা, বিশ্বাস, ভালোবাসা, ভরসা, স্বপ্নদেখা আর স্বপ্নজয়ের ঠিকানা হচ্ছেন দেশরত্ন শেখ হাসিনা, তুমি সমগ্র বাঙলির আস্রয়ের শেষ ঠিকানা.জাতির জনক বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা.তুমি হিমাদ্রী শিখর সফলতার মূর্ত-স্মারক,
মাদার অফ হিউম্যানিটি তুমি আমাদের বাতিঘর
উন্নয়নের কাণ্ডারি তুমারই ঐকান্তিক প্রচেষ্টায়
আজ হয়েছে বাংলাদেশ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল
ডিজিটাল আলোর মিছিলে দেশ হচ্ছে আলোকিত.
বিশ্ব দিচ্ছে স্বীকৃতি এনেছো দেশের ব্যাপক সাফল্য ,
তুমার কাজের প্রশংসা আজ বিশ্বময় করছে অনবরত ,
কামনা করছি জন্মদিনে শতায়ু হোন বাংলার দেশরত্ন.


বৃটেনের কচুয়া হাউস থেকে;
মোহাম্মদ মকিস মনসুর.
লেখক ও সাংবাদিক,

সংবাদটি শেয়ার করুন

Comments are closed.

এ বিভাগের অন্যান্য খবর

নোটিশ : ডেইলি সিলেটে প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, আলোকচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও বিনা অনুমতিতে ব্যবহার করা বেআইনি -সম্পাদক

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত

২০১১-২০১৭

সম্পাদকমন্ডলীর সভাপতি: মকিস মনসুর আহমদ
সম্পাদক ও প্রকাশক: খন্দকার আব্দুর রহিম, নির্বাহী সম্পাদক: মারুফ হাসান
অফিস: ৯/আই, ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি, ৯ম তলা, জিন্দাবাজার, সিলেট।
ফোন: ০৮২১-৭২৬৫২৭, মোবাইল: ০১৭১৭৬৮১২১৪
ই-মেইল: dailysylhet@gmail.com

Developed by: