cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
সিলেটে সমাজসেবা পরিচালিত ছোটমণি নিবাসে শি’শু খু’নের ঘটনাটি ‘ধামাচাপা’ দিতে চেয়েছিলেন সংশ্লিষ্টরা। শি’শুকে খু’নের ঘটনা কাউকে না জানাতে কর্ম’রত সবার মুখ বন্ধ করে রাখা হয়েছিল। এমন তথ্য পু’লিশের কাছে ও পরে স্বীকারোক্তিতে জানিয়েছে গ্রে’প্তার হওয়া আয়া সুলতানা ফেরদৌসী সিদ্দিকা
খোদ আয়ার মুখ থেকে এ ধরনের তথ্য বেরিয়ে আসার পর ঘটনাটি নিয়ে সিলেটে তোলপাড় চলছে। সুলতানা পু’লিশকে জানিয়েছে, ঘটনাটি শোনার পর রাতেই ছোটোমনি নিবাসে আসেন উপ-তত্ত্বাবধায়ক রূপন দেব। তিনি এসে সিসিটিভির ফুটেজ দেখে তাকে (সুলতানা) গালমন্দ করেন। শেষে বিষয়টি বাইরের কাউকে না জানানোর জন্য সবাইকে নিষেধ করেন। পু’লিশ জানিয়েছে, ছোটোমনি নিবাস সমাজসেবা পরিচালিত একটি প্রতিষ্ঠান। অ’পমৃ’ত্যুর মা’মলা সূত্র ধরে পু’লিশ ত’দন্তে নেমে ঘটনার সত্যতা পেয়েই আয়া সুলতানাকে গ্রে’প্তার করে।
প্রথমে আয়া খু’নের ঘটনা এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলেও পরে অবশ্য মুখ খুলেছে। সুলতানার বক্তব্যে পরিষ্কার হয়েছে যে ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। এখন পু’লিশ তার জবানব’ন্দি যাচাই-বাছাইয়ের পর পরবর্তী কার্যক্রম চালাবে। কোতোয়ালি থা’নার ওসি (ত’দন্ত) মো. ইয়াসিন জানিয়েছেন, ‘স্বীকারোক্তিতেও সুলতানা উপ-তত্ত্বাবধায়কের নাম বলেছে। বিষয়টি যাচাই-বাছাই ও ত’দন্ত করা হচ্ছে। ত’দন্তে যাদের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যাবে তাদের বি’রুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’ সিলেটের ছোটোমনি নিবাসে দুই মাস ১১ দিন বয়সী শি’শু নাবিল আহম’দকে খাটে আছড়ে মে’রেছিলেন ওইদিন দায়িত্বে থাকা আয়া সুলতানা ফেরদৌসী সিদ্দীকা। এতে সে অ’জ্ঞান হয়ে পড়লে বালিশচাপা দিয়ে হ’ত্যা করা হয়। ঘটনার পর সমাজসেবা কর্তৃপক্ষ ওই আয়াকে সাময়িক বহিষ্কারসহ তার বি’রুদ্ধে ত’দন্ত কমিটি গঠন করে। কিন্তু ঘটনার রাতেই উপ-তত্ত্বাবধায়ক রূপন দেব ঘটনাটিকে আড়াল করার চেষ্টা করেন। এমনকি পরদিন শি’শুটির মৃ’ত্যুর ঘটনায় কোতোয়ালি থা’নায় অ’পমৃ’ত্যুর মা’মলা দায়ের করেন। ত’দন্ত সংশ্লিষ্ট পু’লিশ জানায়, ঘটনার রাতে উপ-তত্ত্বাবধায়ক রূপন দেব ঘটনাটি জানলেও তিনি ব্যবস্থা নেননি। উল্টো তিনি খু’নের ঘটনাটিকে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করেন। যা পরে আয়া সুলতানার বক্তব্যেও এসেছে।
ছোটোমনি নিবাসের উপ-তত্ত্বাবধায় রূপন দেব গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘ঘটনার সিসিটিভির ফুটেজ দেখার পর আয়াকে কাজ থেকে সাময়িক সা’সপেন্ড করা হয়। এরপর কমিটি গঠনের মাধ্যমে ত’দন্ত শুরু হয়েছে। ত’দন্ত কমিটি মতামতের ভিত্তিতে তার বি’রুদ্ধে সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হতো।’ তিনি জানান, ‘পু’লিশকে সিসিটিভির ফুটেজ দিতে সব ধরনের সহযোগিতা তিনি করেছেন। কখনোই তিনি ঘটনাটি আড়াল করার চেষ্টা করেননি বলে গণমাধ্যমে দাবি করেন।’ এমন ঘটনায় হতবাক সিলেটের সমাজসেবা কর্মক’র্তারা। কারণ অসহায় মানুষদের আশ্রয়স্থল হচ্ছে সমাজসেবা। এখানে এ ধরনের ঘটনা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এ ঘটনার পর থেকে তারা আরও সতর্ক হয়েছেন বলে জানিয়েছেন।
সিলেটের সমাজসেবা কার্যালয়ের পরিচালক নিবাস রঞ্জন দে জানিয়েছেন, ঘটনার প্রেক্ষিতে আগেই দুটি ত’দন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। এরই মধ্যে পু’লিশ ত’দন্ত শুরু করে। পু’লিশকে সার্বিক সহযোগিতা করা হয়েছে। তিনি বলেন, সার্বিক বিষয়টি তিনি ঊর্ধ্বতনদের অবগত করেছেন। তারা যে নির্দেশনা দেবেন সেই নির্দেশনা তিনি পালন করবেন। অন্য কারো বি’রুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হলেও তার পক্ষ থেকে সবই নেয়া হবে বলে জানান।
এদিকে অ’ভিভাবকরা জানিয়েছেন, সমাজসেবা কার্যালয় পরিচালিত ছোটোমনি নিবাস কিংবা শেখ রাসেল পুনর্বাসন কেন্দ্রের বি’রুদ্ধে আগে কয়েকবার শি’শুদের নি’র্যা’তনসহ নানা অ’ভিযোগ ছিল। লিখিত একাধিক অ’ভিযোগও দেয়া হয়েছিল সংশ্লিষ্ট দপ্তরে। কিন্তু ঊর্ধ্বতনরা কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ না করে প্রতিটি ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করেন।সৌজন্যে:মানবজমিন