cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
সিলেটের দক্ষিণ সুরমা’র জালালপুরের তিন মাদ্রাসা ছাত্রের খোঁজ মিলছে না বলে জানিয়েছে তাদের পরিবার। এই তিনজনই আল্লামা আব্দুল মুকিত মঞ্জলালী একাডেমির হিফজ শাখার ছাত্র। গত ৩ আগস্ট তারা নি’খোঁজ হয় বলে তাদের পরিবারের সদস্যরা জানান।
সিলেট থেকে আব্দুর রাজ্জাক নামে এক কলেজ ছাত্র তা’লেবানদের হয়ে ল’ড়তে আ’ফগা’নিস্তানে যাওয়ার খবরের মধ্যেই এই তিন মাদ্রাসা ছাত্রের নিখোঁজ হওয়ার তথ্য জানা গেলো।
নি’খোঁজ ৩ ছাত্রের নাম সাজ্জাদ মিয়া (১৬) রোহান আহমেদ (১৭), নাহিম আহমেদ (১৫)। সাজ্জাদ দক্ষিণ সুরমা’র বলদি গ্রামের বাসিন্দা। রোহান দক্ষিণ সুরমা’র জালালপুরের করিমপুর গ্রামের নূরুল হকের ছে’লে ও নাহিম একই এলাকার সমসপুর গ্রামের মৃ’ত নলু মিয়ার ছে’লে।
এইদের মধ্যে সাজ্জাদ ও নাইম ৩ আগস্ট মাদ্রাসায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়। কিন্তু গত ৭ আগস্ট মাদ্রাসায় ফোন দিয়ে পরিবারের সদস্যরা জানতে পারেন, তারা মাদ্রাসায় যায়নি। রোহান নামের আরেক মাদ্রাসা ছাত্রও নিখোঁজ বলে জানা যায়।
পরবর্তীতে নি’খোঁজ কি’শোরদের পরিবারের সদস্যরা তাদের আত্মীয় স্বজনদের সাথে যোগাযোগ করেন। সেখানেও তাদের খুঁজে পাওয়া না গেলে তারা থা’নায় যোগাযোগ করেন।
গত ৮ আগস্ট সাজ্জাদ মিয়ার বোন দক্ষিণ সুরমা থা’নায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। জিডি এন্ট্রি নং-৩৩০, তাং-০৮/০৮/২০২১। অন্য দুই কি’শোরের পরিবার জিডি করতে চাইলে মাদ্রাসা থেকে তাদের জিডি করতে নিষেধ করা হয় বলে জানান তাদের পরিবারের সদস্যরা।
নি’খোঁজ সাজ্জাদের বোন রাশেদা বেগম বলেন, আমা’র ভাইটি সহ’জ সরল। তার কাছে কোনো মোবাইল ফোন নেই। গত ৩ আগস্ট রোহানের সাথে ফোনে যোগাযোগ করে সে মাদ্রাসায় যায়। কিন্তু মাদ্রাসার হুজুর বলছেন, তারা মাদ্রাসায় যায়নি। এরপর থেকে তাকে আম’রা সব আত্মীয় স্বজনের বাসায় খোঁজ নিয়েছি। কিন্তু তার কোনো খোঁজখবর পাইনি।
রোহান আহমেদের বাবা নূরুল হক বলেন, মাদ্রাসা থেকে হুজুর কল দিয়ে বলেছেন রোহান মাদ্রাসায় নেই। সে বাড়িও আসেনি। থা’নায় জিডি করতে গিয়েছিলাম কিন্তু হুজুর বলেছেন, তারা জিডি করেছেন। আমি গ্রামের মানুষ এত কিছু বুঝি না। সম্ভব সব জায়গায় খোঁজ করেছি কিন্তু রোহানকে পাইনি। শুনেছি তার সাথে আরও দুইটি ছে’লেকে পাওয়া যাচ্ছে না।
নি’খোঁজ নাহিমের মামা আনোয়ার হোসেন বলেন, রোহানের সাথে নাহিমও মাদ্রাসায় গিয়েছিল। কিন্তু পরে মাদ্রাসার হুজুর বলেন- তারা যায়নি। এরপর অনেক জায়গায় খোঁজ করেছি কিন্তু পাচ্ছি না। ছে’লেটার বাবা নেই। মা একা কিছু করতে পারছেন না। এই অবস্থায় কী’ করবো কিছু ভেবে পাচ্ছি না।
এ ব্যাপারে দক্ষিণ সুরমা থা’নার ভা’রপ্রাপ্ত কর্মক’র্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইস’লাম বলেন, সাজ্জাদ মিয়া নামে একটি ছে’লে নি’খোঁজের জিডি হয়েছে। তার সাথে আরও দুটি ছে’লে আছে বলে জানা গেছে। তারা একটি মোবাইল ফোন ব্যবহার করলেও বার বার এটা সিম বদলাচ্ছে। তারা তিনজন হয়তো পরিকল্পনা করেই গেছে। শেষ মোবাইল ট্র্যাক করে তাদের লোকেশন ময়মনসিংহের দিকে পাওয়া গেছে। আশা করি তাদের খুঁজে পাওয়া যাবে।
তিনি বলেন, এভাবে তিনজন ছাত্র নি’খোঁজের ব্যাপারটা আসলেই উদ্বেগজনক। কারণ সম্প্রতি তা’লেবান ইস্যুতে বাংলাদেশের কি’শোর-যুবকদের সম্পৃক্ততার খবর পাওয়া গেছে। তবে আম’রা এই ব্যাপারটা সিরিয়াসলি দেখছি।
তিনি বলেন, এর আগেও এই এলাকার এক মাদ্রাসা থেকে ছাত্র নি’খোঁজ হলে আম’রা তাদের গোয়াইঘাট থেকে উ’দ্ধার করি। তাদেরও উ’দ্ধারে সব ধরনের চেষ্টা চলছে।
এ ব্যাপারে ওই মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক হাফিজুর রহমান বলেন, নিখোঁজ তিনজনই আমাদের মাদ্রাসার আবাসিক শিক্ষার্থী। এরমধ্যে দুজন ছুটিতে ছিলো। রোহান মাদ্রাসায় ছিলো। ৩ আগস্ট ক্লাস শেষে সবার অজান্তে রোহান মাদ্রাসা থেকে চলে যায়। এরপর জানতে পারি আরও দুই ছাত্র নিখোঁজ। এ ব্যাপারে আম’রা থা’নায় জিডি করেছি। পু’লিশ তাদের খুঁজছে।
পু’লিশের জ’ঙ্গিবিরোধী বিশেষ শাখা কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রা’ইম বিভাগ (সিটিটিসি) রোববার জানিয়েছে, আব্দুর রাজ্জাক নামে সিলেটের ম’দনমোহন কলেজের এক ছাত্র তা’লেবনাদের হয়ে ল’ড়তে আ’ফগা’নিস্তান চলে গেছেন। ’বন্ধুর বাড়িতে যাওয়ার’ কথা বলে ঘর থেকে বেরিয়ে আ’ফগা’নিস্তান চলে যান রাজ্জাক। রাজ্জাকের আ’ফগা’নিস্তান যাওয়া নিয়ে আলোচনার মধ্যেই সিলেটের আরও তিন ছাত্র নিখোঁজের খবর এলো। সৌজন্যঃ সিলেটটুডে২৪