cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
সিলেটে বেড়েই চলেছে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। রোগীর চাপে হিমশিম খেতে হচ্ছে হাসপাতালগুলোকে। এই মুহূর্তে সবচেয়ে বেশি রোগী ভর্তি আছেন ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। তাই হাসপাতালের করোনা ইউনিটে চিকিৎসক সঙ্কট দেখা দিয়েছে। সঙ্কট কাটাতে ৬০ জন চিকিৎসক চেয়ে জুলাইয়ের প্রথম দিকে মন্ত্রণালয়ে চিঠিও পাঠিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
জানা গেছে, বর্তমানে হাসপাতালে ৩২৫টি শয্যায় করোনার রোগীদের চিকিৎসা চলছে। করোনা ইউনিটে ১০০ জন চিকিৎসক এবং ২০০ জন নার্স কর্মরত আছেন। তবে ১৫ দিন দায়িত্ব পালনের পর কোয়ারেন্টিন পালন করতে হয় বলে প্রতিদিন করোনা ইউনিটে ৫০ জন চিকিৎসক এবং ১০০ জন নার্স দায়িত্ব পালন করছেন।
জুলাইয়ে হঠাৎ করে রোগীর চাপ মারাত্মক বেড়ে যাওয়ায় করোনা ইউনিটে চিকিৎসক সঙ্কট দেখা দিয়েছে। ওসমানী মেডিকেল কলেজের ১০ জন প্রভাষক এখন এই ইউনিটে দায়িত্ব পালন করছেন। এ অবস্থায় গতমাসের প্রথম দিকে ৬০ জন চিকিৎসক চেয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু এখন পর্যন্ত এ ব্যাপারে কোনো নির্দেশনা আসেনি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, বুধবার সকাল আটটা পর্যন্ত ৩০৪ জন রোগী ওসমানীর করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এদের মধ্যে করোনা আক্রান্ত হয়ে ভর্তি আছেন ১৪৪ জন, উপসর্গ নিয়ে ভর্তি আছেন ১৫২ জন। এছাড়া হাসপাতালের আটটি আইসিইউ শয্যার সবগুলোই ছিল রোগীতে পরিপূর্ণ।
সিলেটে চলতি বছরের প্রথম দুই মাসে সংক্রমণ ছিল নিয়ন্ত্রণে। মার্চের শেষ সপ্তাহ থেকে আবারও বাড়তে থাকে সংক্রমণ। এপ্রিলে শনাক্তের সঙ্গে সঙ্গে বাড়ে মৃত্যুর সংখ্যাও। মে মাসের প্রথম থেকে আবার শনাক্ত কমতে থাকলেও ঈদুল ফিতরের পর বাড়তে শুরু করে। জুনের শেষ দিকে বাড়ে আশঙ্কাজনক হারে। আর জুলাই মাসে সিলেটে সংক্রমণ অতীতের সব রেকর্ড ভাঙে। এ অবস্থায় সিলেটে করোনা রোগীদের জন্য শয্যা সঙ্কট তৈরি হয়।
ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, হাসপাতালে প্রথমে দুইটি ওয়ার্ডে ১২০টি শয্যা নিয়ে করোনার চিকিৎসা শুরু হয়। জুলাইয়ে রোগী বাড়ায় ২০০ শয্যায় উন্নীত করা হয়। তাতেও রোগীর চাপ কমানো যায়নি। এ অবস্থায় শয্যা বাড়িয়ে ৩২৫ শয্যায় করোনা রোগীদের চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছে হাসপাতালটি।
এ ব্যাপারে সিলেট ওসমানী হাসপাতালের উপপরিচালক মাহবুবুল আলম বলেন, ‘আমাদের হাসপাতালে ৫০০ শয্যার বিপরীতে চিকিৎসা নেন ২ হাজার বেশি রোগী। ফলে চিকিৎসক সঙ্কট আগে থেকেই ছিল। আর করোনা ইউনিটে চিকিৎসেকর প্রয়োজন বেশি। কারণ যারা দায়িত্ব পালন করেন তাদের ১৫ দিন পর কোয়ারেন্টিনে থাকতে হয়। তাই করোনা ইউনিটেও চিকিৎসকের সঙ্কট রয়েছে।’
মাহবুবুল আলম বলেন, ‘করোনা ইউনিটে আগে সঙ্কট ছিল না। তবে জুলাইয়ে রোগীর চাপ এত বেশি বেড়েছে তাতে সঙ্কট তৈরি হয়েছে। এছাড়া আমরা আগে বুঝতে পারিনি জুলাইয়ে এভাবে রোগী বাড়বে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সঙ্কট কাটাতে প্রায় ৬০ জন চিকিৎসক চেয়ে জুলাইয়ের প্রথম দিকে আমরা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠাই। তবে এখন এই বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি। আমরা আজ (বুধবার) আবার যোগাযোগ করেছি। তারা জানিয়েছেন দ্রæতই এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসবে।’ (সূত্র: সিলেটমিরর)