cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
বৈজ্ঞানিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে করোনাভাইরাস বহনকারী ব্যক্তি ও সুস্থ ব্যক্তি দুজনই মাস্ক পড়লে সংক্রমণের ঝুঁকি ৯৫% থেকে ৫% এ কমে আসে। তাই বর্তমান এ সংকটপূর্ণ সময়ে নিজের ও আপনজনদের সুরক্ষায় কষ্ট হলেও মাস্ক পরুন। ইউনিসেফ
কোভিড-১৯ এবং মাস্ক: পরিবারের জন্য কিছু নির্দেশনা
মাস্ক সম্পর্কে জানার কী আছে এবং আপনার পরিবারে কীভাবে এর ব্যবহার শুরু করবেন। মাস্ক কোভিড-১৯ ভাইরাস ছড়িয়ে পড়া বন্ধে সহায়তা করে। তবে অনেক বাবা-মাই লক্ষ্য করে থাকবেন যে শিশুদের ক্ষেত্রে মাস্কের ব্যবহার শুরু করাটা মোটেও সহজ নয়।
জীবাণুর সংক্রমণ কমাতে মাস্কের ব্যবহার নিয়ে কয়েকটি দেশে দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। তবে অনেক পরিবারের ক্ষেত্রে, প্রথমবারের মতো মাস্ক পরার কারণে ২০২০ সাল তাদের কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
আপনি যদি আগে কখনো মাস্ক ব্যবহার না করে থাকেন, তবে আপনার সম্ভবত এবিষয়ে বেশ কিছু প্রশ্ন থাকবে। আপনাকে আপনার পরিবারের জন্য সর্বোত্তম সিদ্ধান্তটি নিতে সহায়তা করার জন্য, আমরা কোভিড-১৯ এর প্রেক্ষাপটে কীভাবে মাস্ক পরতে এবং সঠিকভাবে এর যত্ন নিতে হয় এবং কীভাবে সফলতার সঙ্গে আপনার পরিবারে এর ব্যবহার শুরু করা যায় সে সম্পর্কিত সর্বশেষ বিশেষজ্ঞ তথ্য সংগ্রহ করেছি:
মুখে মাস্ক কেন পরতে হবে?
কোভিড-১৯ ছড়িয়ে পড়ার অন্যতম প্রধান উপায় হলো শ্বাসনালী থেকে বেরিয়ে আসা ক্ষুদ্র জলকণা (ড্রপলেট), যা মানুষ কথা বলা, গান গাওয়া, কাশি বা হাঁচি দেওয়ার সময় বেরিয়ে আসে। যদিও গবেষণা চলমান রয়েছে, তবে আমরা এখন জানি যে, ভাইরাস এমন মানুষের মাধ্যমেও ছড়াতে পারে যাদের মধ্যে আক্রান্ত হওয়ার কোনো লক্ষণ নেই। এর অর্থ হচ্ছে, কিছু মানুষ সংক্রমিত হতে পারে, এমনকি কোনো ধরনের উপলব্ধি ছাড়াই।
এটি কোভিড-১৯ এর প্রাদুর্ভাব বেশি – এমন স্থানগুলোতে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা এত গুরুত্বপূর্ণ হওয়ার অন্যতম কারণ। তবে জনাকীর্ণ স্থানগুলোতে অন্যদের কাছ থেকে দূরত্ব বজায় রাখা সবসময় সম্ভব নয়, যে কারণে এই ধরনের পরিস্থিতিতে সবাইকে সুরক্ষিত থাকার জন্য কাপড়ের তৈরি মাস্ক ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়।
তবে মনে রাখবেন, কেবল একটি মাস্ক কোভিড-১৯ এর বিস্তারকে আটকাবে না – আমাদের সবাইকেই শারীরিক দূরত্ব মেনে চলা এবং ঘন ঘন হাত ধোয়ার চর্চা অব্যাহত রাখতে হবে। একসঙ্গে এসব পদক্ষেপের মাধ্যমে আমরা কোভিড-১৯ কে পরাহত করতে পারি।
আমার পরিবারের জন্য কী ধরনের মাস্ক নেওয়া উচিত?
নন-মেডিকেল মাস্ক (কাপড়ের মাস্ক): আপনি এবং আপনার পরিবার যদি এমন কোনো জায়গায় বাস করেন যেখানে কোভিড-১৯ এর প্রাদুর্ভাব বেশি এবং যদি কোভিড-১৯ এর কোনো উপসর্গ না থাকে, সেক্ষেত্রে নন-মেডিকেল মাস্ক ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়।
মেডিকেল মাস্ক: মহামারিজনিত কারণে বিশ্বব্যাপী মেডিকেল মাস্কের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। যদি আপনি বা পরিবারের কোনো সদস্য কোভিড-১৯ এর কারণে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ার উচ্চ ঝুঁকিতে থাকেন (৬০ বছরের বেশি বয়সী বা অন্য কোনো স্বাস্থ্যগত সমস্যায় আক্রান্ত) কিংবা আপনি যদি কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত কারো পরিচর্যায় নিয়োজিত থাকেন, তবে সেক্ষেত্র মেডিকেল মাস্ক ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়। আপনার যদি কোভিড-১৯ এর উপসর্গ থাকে তবে অন্যদের সুরক্ষার জন্য মেডিকেল মাস্ক পরা উচিত।
কোন ধরনের কাপড়ের মাস্ক সবচেয়ে ভালো?
কাপড়ের মাস্ক বিভিন্ন ধরনের উপকরণ দিয়ে তৈরি করা হয় এবং এগুলো চাইলে আপনি ঘরে বানাতে পারেন বা দোকান থেকে কিনতে পারেন। যদিও কাপড়ের মাস্কের ব্যবহার নিয়ে গবেষণা চলমান রয়েছে, তবে এগুলোর কার্যকারিতা নির্ভর করে এতে ব্যবহৃত কাপড়ের ধরন এবং কয় স্তরের কাপড় ব্যবহার করা হচ্ছে তার ওপর। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা তিন স্তরের মাস্ক ব্যবহারের পরামর্শ দেয় যেখানে:
ভেতরের স্তরটি তৈরি হবে সুতি কাপড়ের মতো শোষণকারী উপকরণ দিয়ে
মাঝের স্তরে থাকবে পলিপ্রোপাইলিনের মতো বোনা নয় এমন উপকরণ
বাইরের স্তরটি তৈরি হবে পলিয়েস্টার বা পলিয়েস্টার মিশ্রণের মতো শোষণকারী নয় এমন উপকরণ দিয়ে
আপনি মুখ ঢেকে রাখার জন্য যে ধরনের মাস্কই বেছে নেন না কেন, এটা এমন হতে হবে যাতে নাক, মুখ ও চিুবক ঢেকে রাখা যায় এবং রাবারের বন্ধনী বা গিট দিয়ে সুরক্ষিত থাকে।
আমার পরিবারের কখন মাস্ক পরা উচিত?
আপনি যেখানে থাকেন সেখানে আপনার স্থানীয় কর্তৃপক্ষ নির্দিষ্ট কোনো পরিস্থিতিতে মাস্ক পরতে বলছে কিনা এবং বয়স-ভিত্তিক কোনো পরামর্শ দিয়েছে কিনা সে সম্পর্কে জানুন।
আপনার শিশুর মাস্ক পরা উচিত কিনা তা নির্ভর করে তাদের বয়স এবং নিরাপদে ও যথাযথভাবে মাস্ক ব্যবহার করার ক্ষমতাসহ বেশ কয়েকটি বিষয়ের ওপর।
যদি আপনার এলাকায় কোভিড-১৯ এর প্রাদুর্ভাব বেশি হয়, তবে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা কঠিন – এমন জনাকীর্ণ পরিস্থিতিতে সবসময় কাপড়ের মাস্ক পরা উচিত। জনাকীর্ণ স্থান এবং পর্যাপ্ত বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা না থাকা আবদ্ধ জনাকীর্ণ স্থানগুলোতে যাওয়া যতটা সম্ভব পরিহার করতে হবে।
মাস্কের ব্যবহার এবং কোভিড-১৯ সম্পর্কে প্রচুর ভুল তথ্য প্রচার হচ্ছে, সুতরাং আপনার পরিবারের স্বাস্থ্যের সঙ্গে সম্পর্কিত বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের সময় ইউনিসেফ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং আপনার জাতীয় এবং স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের মতো বিশ্বাসযোগ্য উৎস থেকে পাওয়া তথ্যের ব্যবহার নিশ্চিত করুন।
কখন আপনার মাস্ক পরা উচিত নয়?
নবজাতক ও ছোট শিশু বা শ্বাসকষ্ট রয়েছে এমন যেকোনো মানুষসহ যারা অন্যের সহায়তা ছাড়া মাস্ক খুলতে অক্ষম তাদের কারোরই মাস্ক পরা উচিত নয়।
ইউনিসেফ এবং ডব্লিউএইচওর পরামর্শ হচ্ছে, ৫ বছরে বা তার কম বয়সের শিশুদের মাস্ক পরার দরকার নেই। এটি শিশু সুরক্ষার উপর নির্ভর করে এবং এটা স্বীকৃত যে, শিশুরা বিভিন্ন বয়সে বিকাশের বিভিন্ন পর্যায়ে থাকে।
কিছু দেশে শিশুদের মাস্ক ব্যবহার সম্পর্কে ভিন্ন ধরনের পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে, তাই আপনার স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বয়স-ভিত্তিক কোনো নির্দেশনা দিয়েছে কিনা তা জানা গুরুত্বপূর্ণ। যদি তারা ৫ বছর বা তার চেয়ে কম বয়সী শিশুদের মাস্ক পরানোর নির্দেশনা দেয়, তবে মাস্কের নিরাপদ ব্যবহার নিশ্চিত করার জন্য শিশুকে আপনার বা অন্য কোনো সেবাদানকারীর চোখের সামনে রেখে সরাসরি তত্ত্বাবধান করা উচিত।
আপনার বা পরিবারের কোনও সদস্যের যদি কোনো স্বাস্থ্যগত সমস্যা থাকে বা এমন কোনো অক্ষমতা থাকে যার কারণে মাস্ক ব্যবহার করা কঠিন হয়ে ওঠে, সেক্ষেত্রে আপনার জন্য কী করা সবচেয়ে ভালো হবে সে বিষয়ে আপনার চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
শরীরচর্চার সময় এমন স্থান বাছাই করুন যেখানে মাস্ক পরার প্রয়োজন হয় না। এক্ষেত্রে ঘর বা এমন কোনো স্থান (যেমন বাইরে কোথাও) বাছাই করতে পারেন যেখানে আপনি অন্যদের থেকে নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে পারেন। শিশু এবং বয়স্কদের খেলাধুলা বা শারীরিক কার্যকলাপের সময় মাস্ক পরা উচিত নয়, যাতে এটি তাদের শ্বাস-প্রশ্বাসে কোনো ধরনের সমস্যা তৈরি করতে না পারে। ঘাম মাস্ককে ভিজিয়ে ফেলতে পারে, যা নিঃশ্বাস নিতে অসুবিধা তৈরি করবে এবং জীবাণুর বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে।
আমার শিশুদের জন্য মাস্ক বাছাই করার সময় আমার কী দেখা উচিত?
অনেক মাস্ক বড়দের জন্য বানানো এবং এগুলো সঠিকভাবে শিশুদের মুখে লাগে না। আপনি যদি মাস্ক কেনেন তবে এমন মাস্ক কিনুন যা আপনার শিশুর জন্য যথাযথ আকৃতি অনুসারে বানানো হয়েছে। আপনি আপনার শিশুদের জন্য মাস্ক কিনে আনেন বা নিজে বানিয়ে দেন, উভয় ক্ষেত্রেই লক্ষ্য রাখুন যাতে মাস্ক শিশুর মুখ, নাক ও থুতনি ভালোভাবে ঢেকে রাখে এবং গালের পাশে কোনো ফাঁকা জায়গা না থাকে বা তাদের চোখ ঢেকে না যায়। শিশুরা মাস্ক পরে দ্রুততার সঙ্গে হাঁটা বা কথা বলার সময় যাতে স্বাচ্ছন্দ্যে নিঃশ্বাস নিতে পারে তা নিশ্চিত করুন।
কাপড়ের মাস্ক কীভাবে পরিষ্কার করতে হয়
দিনে কমপক্ষে একবার সম্ভব হলে গরম পানি দিয়ে (কমপক্ষে ৬০ ডিগ্রি সেলসিয়াস আঁচে) সাবান বা গুড়া সাবান ব্যবহার করে কাপড়ের মাস্ক ধুয়ে নিন। মেশিনে ধোয়ার ক্ষেত্রে, কাপড়ের ধরন অনুযায়ী উপযুক্ত উষ্ণতার সেটিং ব্যবহার করুন। হাতে ধোয়ার ক্ষেত্রে, গরম সাবান পানি ব্যবহার করুন। ধোয়ার পরে মাস্কটি পুনরায় পরার আগে ভালভাবে শুকানো উচিত। মাস্ক একটি পরিষ্কার ব্যাগে সংরক্ষণ করুন।
সঠিকভাবে মাস্ক পরতে হয় কীভাবে
আপনার স্বাস্থ্য এবং আপনার আশেপাশে থাকা অন্য সবার সুরক্ষার জন্য মাস্ক সঠিকভাবে পরিধান করা, খোলা এবং রক্ষণাবেক্ষণ করা গুরুত্বপূর্ণ। আপনার পরিবারের সঙ্গে এই তালিকাটি অনুসরণ করার চর্চা করুন, যাতে এটি একটি নিয়মিত রুটিনে পরিণত হয়।
মাস্ক পরার সময়
সব সময় সাবান ও পানি দিয়ে হাত ধোয়ার পর মাস্ক পরা শুরু করুন।
মাস্কটি পরিষ্কার আছে কিনা তা নিশ্চিত করুন। এতে ছিদ্র বা গর্ত আছে কিনা তা পরীক্ষা করুন। মাস্কটি ময়লা বা নষ্ট হলে এটি পরবেন না।
মাস্কটি এমনভাবে পরুন যাতে মুখ, নাক এবং চিবুক ভালোভাবে ঢেকে থাকে এবং পাশে কোনো ফাঁক না থাকে।
মাস্ক পরা অবস্থায় স্বাচ্ছন্দ্যে নিঃশ্বাস নেওয়া যাচ্ছে কিনা তা নিশ্চিত হোন।
মাস্ক পরিহিত অবস্থায়
মাস্কটি ময়লা হলে বা ভিজে গেলে তা বদলে ফেলুন। মাস্কটিকে টেনে নাক বা চিবুকের নিচে নামাবেন না বা এটি আপনার মাথায় পরবেন না – কার্যকারিতার জন্য মাস্কটি দিয়ে মুখ ও নাক পুরোপুরি ঢেকে রাখা উচিত। পরিহিত অবস্থায় মাস্কটি স্পর্শ করবেন না।
পরামর্শ: আপনি এবং আপনার পরিবার যদি মাস্ক খুলে রাখার এবং দিনের বেলায় এগুলো পুনরায় ব্যবহার করার পরিকল্পনা করেন, তবে এগুলো সংরক্ষণের জন্য মুখবন্ধ করা যায় এমন পরিষ্কার ব্যাগ ব্যবহার করুন। আপনার পরিবারের প্রতিটি মাস্কের জন্য আলাদা ব্যাগ ব্যবহার করুন। মাস্কটি ব্যাগে রাখার সময় বা ব্যাগ থেকে বের করার সময় সম্ভাব্য দূষণ এড়াতে ইলাস্টিক বন্ধনী বা গিটগুলোতে ধরুন (মাস্কের পৃষ্ঠ স্পর্শ না করে)। এটি পরিধানের আগে আপনার হাত ধোয়ার কথা মনে রাখবেন।
মাস্ক খোলার সময়, মাস্কটি খোলার আগে দুই হাত ধুয়ে নিন। ইলাস্টিক বন্ধনী বা গিটগুলো ধরে মাস্কটি খুলুন। মাস্কের সামনে অংশে স্পর্শ করা এড়িয়ে চলুন। মাস্ক খোলার পর আপনার দুই হাত ধুয়ে নিন। কাপড়ের মাস্ক প্রতিবার ব্যবহারের পরে ধুয়ে ফেলা এবং একটি পরিষ্কার ব্যাগে সংরক্ষণ করা উচিত। মেডিকেল মাস্কগুলো একবার ব্যবহার উপযোগী এবং ব্যবহারের পর এগুলো ঢাকনাযুক্ত ময়লার ঝুড়িতে ফেলে দেয়া উচিত।
৬টি সাধারণ ভুল পরিহার করা
বাম থেকে ডানে: টেনে নাকে নিচে নামাবেন না, থুতনি উন্মুক্ত রাখবেন না, টেনে থুতনির নিচে নামাবেন না, মাস্ক পরার সময় এটি স্পর্শ করবেন না, ঢিলাঢালা মাস্ক পরবেন না, ময়লা, নষ্ট বা ভেজা মাস্ক পরবেন না, আপনার শিশুদের সঙ্গে মাস্কের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে কথা বলুন
কোভিড-১৯ মহামারিটি বিশ্বজুড়ে পারিবারিক জীবনকে হতাশাগ্রস্ত করে তুলেছে, যা মানুষের মধ্যে মানসিক চাপ, উদ্বেগ এবং দুঃখবোধ তৈরি করেছে। বোধগম্যভাবে মাস্ক অনেক শিশুর মাঝেও এই ধরনের অনুভূতির জন্ম দিতে পারে, বিশেষ করে এমন জায়গায়গুলোতে যেখানে তারা মাস্ক পরতে অভ্যস্ত নয়। ছোট শিশুদের জন্য মাস্ক পরা বিভ্রান্তিকর ও ভীতিকর হতে পারে।
আপনার পরিবার যদি এর আগে মাস্ক পরে না থাকে তবে আপনার শিশুদের সঙ্গে এটি নিয়ে কথা বলার সময় খোলামেলা ও সহায়ক উপায় অবলম্বন করা গুরুত্বপূর্ণ। মাস্ক পরার একটি অভ্যাস গড়ে তোলার জন্য বারবার মনে করিয়ে দিন যে এর ধারাবাহিক ব্যবহার গুরুত্বপূর্ণ। আপনার শিশুদের এটাও মনে করিয়ে দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ যে, তাদের নিজেদের এবং অন্য সবাইকে সুরক্ষিত রাখতে মাস্ক পরার পাশাপাশি সবসময় অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সতর্কতামূলক ব্যবস্থাও (যেমন শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা, ঘন ঘন হাত ধোয়া) গ্রহণ করা উচিত।
আপনার পরিবারে মাস্কের ব্যবহার শুরুতে সহায়তা করতে এখানে কয়েকটি পরামর্শ দেওয়া হলো:
সততা বজায় রাখুন
আপনার শিশুদের সঙ্গে বয়স-উপযুক্ত ভাষা ব্যবহার করুন এবং তাদের উদ্বেগের প্রতি সংবেদনশীল হোন। এটা স্বীকার করুন যে, মাস্ক আমাদের কারোর জন্যই খুব সুখকর কোনো বিষয় নয়। তবে কীভাবে মাস্ক পরিধান করে আমরা সমাজের প্রবীণ এবং অনেক বেশি দুর্বল সদস্যসহ আমাদের চারপাশের মানুষদের সুরক্ষিত রাখতে সহায়তা করতে পারি তা ব্যাখ্যা করুন । মাস্ক পরার অর্থ হচ্ছে, আমরা একে অপরের প্রতি যত্নশীল।
তাদের মনে করিয়ে দিন যে, কোভিড-১৯ থামাতে অনেক বিশেষজ্ঞ কঠোর পরিশ্রম করছেন। তবে তাদের প্রচেষ্টাকে সফল করতে প্রয়োজন আমাদের সহায়তা এবং এর অর্থ সব ধরনের সতর্কতা অবলম্বন করা।
আর আমাদের সবার জন্য এটি মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে শুধুমাত্র মাস্ক পরলেই তা আমাদের নিরাপদ করবে না, আমাদের ঘন ঘন হাত ধুতে হবে এবং আমাদের বাড়ির বাইরের লোকদের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।
শুনুন এবং সহানুভূতিশীল হউন
আপনার শিশুরা কী চিন্তা করে তা তাদের কাছে জিজ্ঞাসা করুন এবং তাদের মাঝে উদ্বেগের কোনো লক্ষণ রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখুন। এক্ষেত্রে শারীরিক ভাষায় বা কণ্ঠস্বরে পরিবর্তন আছে কিনা তা পর্যবেক্ষণ করুন। যতটা ভালোভাবে সম্ভব তাদের প্রশ্নের উত্তর দিন। আপনার সব উত্তর জানা থাকবে না এটাই স্বাভাবিক – এটি আমাদের সবার জন্যই একটি নতুন পরিস্থিতি। তাদের মনে করিয়ে দিন যে, তারা যে কোনো সময় যে কোনো প্রশ্ন বা উদ্বেগ নিয়ে যে কোন সময়ে আপনার কাছে আসতে পারে। তারা কেমন বোধ করছে তা নিয়মিত খেয়াল রাখুন। তাদের বয়স অনুসারে কথোপকথন শুরু করার জন্য এবং তারা যে তথ্য পাচ্ছে তা নির্ভরযোগ্য কিনা সে বিষয়ে নিশ্চিত হতে আপনি জিজ্ঞাসা করতে পারেন যে, তারা তাদের বন্ধুদের কাছ থেকে এবিষয়ে কী শুনছে।
ঘরেই শুরু করুন
বাড়িতে কিছুক্ষণ একসঙ্গে সবাই মাস্ক পরার চেষ্টা করুন এবং ধীরে ধীরে আপনার শিশুদের মাস্ক পরাতে অভ্যস্ত হতে সাহায্য করার জন্য সময় বাড়ান। ওপরের চেকলিস্টটি ব্যবহার করে একত্রে মাস্ক পরিধান করা, মাস্ক পরে থাকা এবং খুলে ফেলার বিষয়গুলো নিয়ে চর্চা করুন।
মনে রাখবেন যে, ছোট শিশুরা হাসির মতো দৃশ্যমান যোগাযোগের ইঙ্গিতগুলোর ওপর বেশি নির্ভর করে, তাই তাদের সঙ্গে মাস্ক পরেই কণ্ঠ ব্যবহার করে হাসার চর্চা করুন। মাস্ককে শিশুদের কাছে আরও পরিচিত ও গ্রহণযোগ্য করে তুলতে আপনি তাদের পছন্দের কোনো খেলনা প্রাণীর মুখেও মাস্ক পরিয়ে দিতে পারেন।
আপনার শিশুদের সম্পৃক্ত করুন
বর্তমানে অনেক রঙ এবং নকশার মাস্ক তৈরি হচ্ছে এবং শিশুরা নিজেদের প্রকাশ করার ক্ষেত্রে এগুলোকে সুযোগ হিসেবে দেখবে। মজার কোনো কার্যক্রমের মাধ্যমে শিশুদের মাস্ক বা এর কাপড় বেছে নিতে দিন এবং যত বেশি সম্ভব তাদের সম্পৃক্ত করুন। মনে রাখবেন, আপনার শিশুরা মাস্ক যত বেশি পছন্দ করবে তত বেশি তাদের মাস্ক পরার সম্ভাবনা বাড়বে, এমনকি আপনি আশেপাশে না থাকলেও।
ধারাবাহিকতা নিশ্চিত করুন
সফলভাবে মাস্ক পরা একটি নতুন অভ্যাস গড়ে তোলার মতোই, তাই সঠিক আচরণ প্রদর্শন এবং পুনরাবৃত্তি গুরুত্বপূর্ণ। সঠিকভাবে মাস্ক পরার গুরুত্বের পুনরাবৃত্তির উপায় খুঁজে বের করুন এবং আপনি যদি এমন কিছু দেখেন, যা সঠিক নয়, সেক্ষেত্রে প্রত্যেককে মনে করিয়ে দিতে আপনার পরিবারকে উৎসাহ দিন। শিশুরা যে কোনো বিচ্যুতি দ্রুততম সময়ে শনাক্ত করতে পারে, তাই আপনি যে উদাহরণ তৈরি করেছেন সেগুলো মনে রাখুন এবং একইসঙ্গে মাস্ক পরিধানের বিষয়ে পরামর্শ মেনে চলতে আপনার পরিবারের চারপাশের আত্মীয় ও বন্ধুবান্ধবকে উৎসাহ দিন।