cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
রিকশ চালক রবিউল ইস’লাম। জীবিকার টানে ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া থেকে এসে রাজধানীর ভাটারা থা’নার ঢালীবাড়ী এলাকার একটি গ্যারেজে থাকেন পাঁচ বছর ধরে। এত দিন মোটামুটি চলতে পারলেও কঠোর লকডাউনে তাঁর সেই চলায় চিড় ধরেছে। মানুষজন বাইরে বের না হওয়ায় তাঁর রোজগার কমে গেছে। আগে যেখানে ৮০০ টাকার মতো দৈনিক আয় হতো, এখন তা দাঁড়িয়েছে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকায়। আয় কমে যাওয়ায় চরম বিপাকে পড়েছেন তিনি।
গতকাল সোমবার দুপুর আড়াইটার দিকে রাজধানীর নদ্দা বাস স্টপেজ এলাকায় কথা হয় রবিউলের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘এখন যে ভাড়া মা’রি, রিকশা জমা’র ট্যাহা আর নিজেই চলতে পারি না। বাড়িত ট্যাহা পাডানিরও বাও নাই। কারণ যাত্রী নাই, ট্যাহা আইব কই থিকা। গ্যারেজে ৩০-৩৫ জন থাহি, হকলতের একই অবস্থা।’
শুধু রবিউলই নন, কঠোর লকডাউন শুরু হওয়ার পর থেকে শ্রমজীবী নিম্ন আয়ের মানুষ খুবই ক’ষ্টের মধ্য দিয়ে দিন যাপন করছে। চালকরা রিকশা চালাতে পারছেন ঠিকই, কিন্তু তেমন যাত্রী পাচ্ছেন না। ভ্রাম্যমাণ চা-বিস্কুট বিক্রেতা, ফল বিক্রেতা, ভাসমান শ্রমিকসহ নিম্ন আয়ের শ্রমজীবীরা পু’লিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে কাজের সন্ধানে অলিগলিতে বের হলেও খুব একটা জুটছে না ক্রেতা। কারণ লকডাউনে প্রয়োজন ছাড়া লোকজন বাইরে বের হচ্ছে না।
রাজধানীর জগন্নাথপুরের হারেজ সড়কে রিকশাচালক ফরিদ বলেন, ‘সকালে বাইর হইছি, দুপুর হইয়া গেছে, মাত্র ১২০ ট্যাহার কা’ম করছি। কিভাবে ঘরের ছয় মুখের বাজার-সদাই নিয়াম আর কিভাবে পাঁচ হাজার ট্যাহা মাসে ঘর ভাড়া দিয়াম? এই লকডাউন আম’রার গরিব মা’রার লকডাউন। এখন পর্যন্ত কেউই এক পোয়া চালও দেয় নাই।’
বরিশাল সদরের আব্দুল মালেক থাকেন বারিধারা এলাকায়। তিনি ভ্যানে করে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বাচ্চাদের খেলনা বিক্রি করেন। আগে দিনে আড়াই হাজার থেকে তিন হাজার টাকার খেলনা বিক্রি করতেন। লকডাউনে ৬০০ টাকার ওপরে আর বিক্রি করতে পারেন না। গত ৯ এপ্রিল কুড়িল বিশ্বরোডে খেলনা বিক্রির করার সময় পু’লিশ তাঁকে আ’ট’ক করে নিয়ে এক দিন পর ছাড়ে। এর পর থেকে ভ’য়ে আর অলিগলি ছাড়া মূল রাস্তায় ওঠার সাহস পান না তিনি।
ছোলমাইদ এলাকায় কথা হয় ভ্রাম্যমাণ ফল বিক্রেতা ইয়াছিনের সঙ্গে। কেমন আছেন, জিজ্ঞেস করতেই ছোট্ট দুই চাকার ট্রলি ভ্যানের ওপর অল্প কিছু লট’কন ও পেয়ারা দেখিয়ে বলেন, ‘এগুলার অবস্থা দেইখা বুঝেন না কেমন থাকুম। মালই (ফল) আনতে পারি না। বেচ’মু কিবা। আগের তিন হাজারের বিকিকিনি এখন হাজারের নিচে আইয়া ঠেকছে। এভাবে চলতে থাকলে আর টিকতে পারতাম না। তিন বেলা খাবারই জোডাইতে পারতাছি না। পরিবার গ্রামে পাঠাইয়া দিতে হইব।’
নেত্রকোনার কলমাকান্দা থেকে ঢাকায় এসে তিন বছর ধরে ইট ভাঙার কাজ করেন জাহাঙ্গীর, মফিজ ও সুমন। থাকেন পাশের ভাটারা থা’নার টেকেরহাট এলাকার একটি মেসে। আগে যেখানে দিনে ৭০০ টাকা রোজগার করতেন এখন তা ২০০ থেকে ২৫০ টাকায় নেমে এসেছে। তা-ও প্রতিদিন কাজ থাকে না।’
নতুন বাজার এলাকায় রুস্তম আলী নামের এক ভাসমান চা-বিস্কুট বিক্রেতা বলেন, ‘আগের মতো মাইনসে বাইরে আহে না। বেচাকেনাও নাই। বউ ও দুই বাচ্চা নিয়া আগে ছোলমাইদ এলাকায় একটা টিনশেড ঘরে থাকতাম। এপ্রিলে তাদের গ্রামের বাড়ি সিরাজগঞ্জে পাঠাই দিছি। এখন কালাচাঁদপুর এলাকায় একটা মেসে থাহি। আয় কমায় খুবই ক’ষ্টে দিন যাইতেছে, বাড়িত তারা আরো বেশি ক’ষ্ট করতাছে।’
করো’না সংক্রমণ পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় সরকার গত ১ জুলাই থেকে কঠোর লকডাউনের আদলে ২১ দফা কঠোর বিধি-নিষেধ আরোপ করে, যা গতকাল আরো এক সপ্তাহ বাড়িয়ে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত করা হয়েছে। নিম্ন আয়ের যেসব শ্রমিক গতকাল কালের কণ্ঠ’র সঙ্গে কথা বলেছেন, তাঁরা জানিয়েছেন, এবারের লকডাউনে এখন পর্যন্ত সরকারি-বেসরকারি বা ব্যক্তি উদ্যোগে কোনো ধরনের সাহায্য-সহযোগিতা পাননি। ৩৩৩ নম্বরে ফোন দিয়ে যে সরকারিভাবে খাদ্য সহায়তা পাওয়া যায়, সে বিষয়টিও তাঁরা জানেন না। তাঁদের দাবি, শুধু ৩৩৩ নম্বরে ফোন করে নয়, যত দিন লকডাউন চলবে, তত দিন সরাসরি তাঁদের খাদ্য সহায়তার ব্যবস্থা সরকার করুক।