সর্বশেষ আপডেট : ২ ঘন্টা আগে
বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ খ্রীষ্টাব্দ | ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ |

DAILYSYLHET
Fapperman.com DoEscorts

সিলেটে মানুষ টানছে ট্রাক

ট্রাকযোগে বাড়ি যাচ্ছে মানুষ। লকডাউনের কারণে চলছে না কোনো যাত্রীবাহী যানবাহন। জরুরি কাজে গন্তব্যে যেতে অনেকেই বের হন। তারা পড়েন পরিবহন সংকটে। যে যেভাবে পারছেন গন্তব্যের দিকে ছুটছেন। তবে- গতকাল সিলেটে বাড়ি যাওয়ার অন্যতম মাধ্যম ছিল ট্রাক। পাশাপাশি পিকআপ করে মানুষ বাড়ির দিকে ছুটেছে। একই সঙ্গে পিকআপ, প্রাইভেট’কার ও মাইক্রোবাসযোগে মানুষ বাড়ি যাচ্ছে।

দলে দলে মানুষের বাড়ি ফেরার দৃশ্যকে আরও ভ’য়ঙ্কর বলছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা জানিয়েছেন- গাদাগাদি করে বাড়ি যাওয়ার কারণে গ্রামেও চলে যাচ্ছে করো’না। এতে করে গ্রামের করো’না পরিস্থিতিও আরও খা’রাপ হতে পারে। জুন ক্লোজিংয়ের নামে একটু শিথিল লকডাউনে গতকাল সিলেটের পরিবেশ ছিল প্রায় স্বাভাবিক। নগরীতে প্রাইভেট ও হালকা যানবাহন চলাচল করেছে। তবে- মা’র্কেট ও দোকানপাট বন্ধ ছিল।

লকডাউনের কারণে সিলেটের হাইওয়েতে যানবাহনের চাপ ছিল কম। বিশেষ করে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে জরুরি প্রয়োজনীয় যানবাহন চলাচল করেছে। সকাল থেকেই যানবাহনের চাপ কম থাকার কারণে জরুরি প্রয়োজনে বের হওয়া যাত্রীরা পড়েন বেকায়দায়। সকাল থেকে নগরীর চন্ডিপুল, হু’মায়ূন রশীদ চত্বর, কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকায় শত শত যাত্রীকে গাড়ির জন্য অ’পেক্ষা করতে দেখা যায়। এ সময় দক্ষিণ সুরমা’র চন্ডিপুল ও হু’মায়ুন রশিদ চত্বরসহ নগরীর বিভিন্ন স্থানে সিএনজি অটোরিকশার পাশাপাশি ট্রাক, পিকআপ, প্রাইভেট’কার ও মাইক্রোবাস গাড়ি ভাড়ায় দূরপাল্লার যাত্রী পরিবহন করছে।

এসব স্থানে পু’লিশ ও পু’লিশের ট্রাফিক বিভাগের সদস্যরা উপস্থিত থাকলেও বিষয়টি তারা দেখেও না দেখার ভান করছেন। এর ফলে যেমন উপেক্ষিত হচ্ছে সরকারি নির্দেশনা, তেমনি রয়েছে করো’নার সংক্রমণ আরও বৃদ্ধির আশ’ঙ্কা রয়েছে। ঢাকা-সিলেট রুটে বিশেষ করে হবিগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, মৌলভীবাজার পর্যন্ত যাত্রীদের ট্রাকে করে টানা হয়।

এদিকে- সিলেট মেট্রোপলিটন পু’লিশের এডিসি (মিডিয়া) শাখা থেকে জানানো হয়েছে- লকডাউনকালীন নীতিমালা বাস্তবায়নে গতকাল ভোর থেকে সিলেট মহানগরীর ৬ থা’নাধীন এলাকাগুলোতে অন্তত ২০টি টিম অবিরাম কাজ করছে। যেখানে আইন লঙ্ঘন হয়েছে সেখানেই পু’লিশ কঠোর হয়েছে। লকডাউনের প্রথম দিনে সিলেটের দক্ষিণ সুরমা’র আতির বাড়ি এলাকার মহাসড়কে পু’লিশের চেকপোস্ট বসানো হয়েছে।

লকডাউনের মধ্যে কেউ যাতে বাইরে যেতে না পারে এবং বাইরের এলাকা থেকে কেউ প্রবেশ করতে না পারে এজন্য চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। চেকপোস্ট থেকে গণপরিবহনসহ সাধারণ মানুষকে ফিরিয়ে দেয়া হচ্ছে। এ ছাড়া রাস্তায় চলাচলরত মানুষকেও করো’নাভাই’রাস রোধে সচেতন করছেন এই চেকপোস্টের পু’লিশ সদস্যরা।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন দক্ষিণ সুরমা’র ওসি মনিরুল ইস’লাম জানিয়েছেন- করো’নাভাই’রাস সংক্রমণ রোধের জন্য সরকারের নির্দেশনা অনুসারে কাজ করে যাচ্ছে পু’লিশ। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত এ অ’ভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি। এদিকে- সিলেট সুনামগঞ্জ রুটের কুমা’রগাঁও এলাকায় পু’লিশের একটি টিম সার্বক্ষণিক কাজ করেছে। সিলেট নগরকে অন্য এলাকা থেকে বিচ্ছিন্ন রাখতে যানবাহন চলাচল সীমিত রাখা হয়। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন- সিলেটে লকডাউনের কারণে মানুষের চলাচল কিছুটা কমেছে। কিন্তু ট্রাকে করে যেভাবে মানুষ বাড়ি যাচ্ছে তাকে শ’ঙ্কা তৈরি হচ্ছে। কারণ- সিলেট শহরের করো’না পরিস্থিতি ভালো নয়। সিলেট শহরে মানুষের মধ্যে করো’না সংক্রমণের মাত্রা বেশি। করো’না প্রবণ এলাকা থেকে মানুষ এভাবে গাদাগাদি করে বাড়ি ফিরলে তাদের মাধ্যমে গ্রামের মানুষও সংক্রমিত হতে পারে। গ্রামের মানুষের জন্য করো’না ছড়িয়ে পড়লে চিকিৎসা ব্যবস্থা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হবে। এ কারণে সিলেটে করো’না সংক্রমণ ঠেকাতে হলে লকডাউনকে শতভাগ কার্যকর করতে হবে। লকডাউনের মাধ্যমে মানুষ থেকে মানুষকে, এলাকা থেকে এলাকাকে বিচ্ছিন্ন করতে হবে বলে জানান তারা। সৌজন্যঃমানবজমিন

সংবাদটি শেয়ার করুন

Comments are closed.

এ বিভাগের অন্যান্য খবর

নোটিশ : ডেইলি সিলেটে প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, আলোকচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও বিনা অনুমতিতে ব্যবহার করা বেআইনি -সম্পাদক

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত

২০১১-২০১৭

সম্পাদক ও প্রকাশক: খন্দকার আব্দুর রহিম
নির্বাহী সম্পাদক: মারুফ হাসান
অফিস: ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি, ৯ম তলা, জিন্দাবাজার, সিলেট।
মোবাইল: ০১৭১২ ৮৮৬ ৫০৩
ই-মেইল: dailysylhet@gmail.com

Developed by: