সর্বশেষ আপডেট : ১০ ঘন্টা আগে
বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫ খ্রীষ্টাব্দ | ৪ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ |

DAILYSYLHET
Fapperman.com DoEscorts

আমেরিকায় স্বীকৃতি পেল সিলেটের আঞ্চলিক ভাষা

মা’র্কিন অ’ভিবাসন আ’দালতে আঞ্চলিক ভাষা হিসেবে সিলেটি বাংলা ভাষা স্বীকৃতি পেয়েছে। মা’মলায় ভাষা সংক্রান্ত জটিলতা এড়াতে সিলেটি অ’ভিবাসীবহুল মিশিগানের অ’ভিবাসন আ’দালতের বিচারক সিলেটি ভাষার দোভাষী (ইন্টারপ্রেটার) অনুমোদন করেছেন।

মিশিগান অঙ্গরাজ্যের আ’দালতে অ’ভিবাসনের বিভিন্ন মা’মলায় হাজিরা দিতে গিয়ে বিপাকে পড়েন অ’ভিবাসীরা। দোভাষী হিসেবে বাংলাভাষী লোকজনের উপস্থিত থাকলেও অ’ভিবাসন মা’মলায় জড়িয়ে পড়া সিলেট অঞ্চলের লোকজনকে নিয়ে সমস্যা দেখা দেয়। পাসপোর্টের সূত্র অনুযায়ী, আ’দালতে বাংলা ভাষায় দোভাষী রাখা হলেও সিলেট অঞ্চল থেকে আসা অ’ভিবাসীরা প্রমিত বাংলা ভাষায় তাঁদের মা’মলার আবেদন ব্যাখ্যা করতে পারেন না।

মিশিগানের ট্রয় নগরের বাসিন্দা জাকারিয়া আহম’দ প্রথম আলো উত্তর আ’মেরিকাকে বলেন, ২০০৭ সাল থেকে তিনি দোভাষী হিসেবে কাজ করছেন। ২০১৫ সাল থেকে তিনি সিলেট অঞ্চল থেকে নানাভাবে আসা লোকজনের অ্যাসাইলামের জন্য বেশি আবেদন করছেন।

জাকারিয়া আহম’দ বলেন, বাংলাদেশের সিলেট অঞ্চল থেকে আসা লোকজনের অ্যাসাইলাম আবেদন বেশি প্রত্যাখ্যান হয়। সিলেটের গ্রামাঞ্চল থেকে আসা এসব অ’ভিবাসীদের ভাষাগত সমস্যা টের পেয়ে তিনি সহকর্মী সাঈদ এলাহিকে নিয়ে এ ব্যাপারে খোঁজ খবর নিতে শুরু করেন। তাঁরা দেখেন, দোভাষীরা অনেক ক্ষেত্রেই সিলেটি ভাষার আবেদনকারীর মূল বক্তব্য তুলে ধরতে পারেন না বা ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে ফেলেন।

২০১৭ সালে সিলেটর একজন বাসিন্দা তিনবার অ’ভিবাসন বিচারকের সামনে উপস্থিত হয়েও নিজের সমস্যা ব্যাখ্যা করতে পারেননি ভাষাগত সমস্যার কারণে। নয় মাস কারাগারে থাকার পর এ অ’ভিবাসী কিছুটা ইংরেজি ভাষা আয়ত্ত করেন। পরে তিনি অ’ভিবাসন বিভাগকে জানান যে, তাঁর বাড়ি বাংলাদেশের সিলেট জে’লায়। তিনি সিলেটের আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলেন। তখন অ’ভিবাসন বিভাগ থেকে জাকারিয়া আহম’দকে ডা’কা হয়।

জাকারিয়া বলেন, বিচারক ১৫ মিনিট সময় দিয়ে অ’ভিবাসন আবেদনকারীর সমস্যা ব্যাখ্যা করার নির্দেশ দিলেন। অ’ভিবাসন আবেদনকারী জানান, বাংলা ভাষায় ব্যাখ্যা করার জন্য আগে কলকাতার বাংলাভাষী কোনো একজনকে ডা’কা হয়েছিল। এ কারণে আবেদনকারী যা বলেতে চেয়েছেন দোভাষী নিজেই তা বোঝেননি।

পরে বিষয়টি বিচারককে জানালে বিচারক সিলেট স’ম্পর্কে জানতে চান। অ’ভিবাসন বিচারক ইন্টারনেটে সার্চ করে দেখেন, আসামের একটি অংশ ছিল সিলেট। এ অঞ্চলের ভিন্ন ভাষা স’ম্পর্কেও বিচারক তথ্য সংগ্রহ করে সিলেটি ভাষাকে অ’ভিবাসন আ’দালতে ব্যাখ্যার জন্য অনুমোদন দেন।

জাকারিয়া আহম’দ আরও বলেন, যু’ক্তরাষ্ট্রের হাসপাতালসহ বিভিন্ন স্থানে ভাষাগত সমস্যার কারণে বিপাকে পড়েন সিলেট থেকে আসা অ’ভিবাসীরা।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Comments are closed.

এ বিভাগের অন্যান্য খবর

নোটিশ : ডেইলি সিলেটে প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, আলোকচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও বিনা অনুমতিতে ব্যবহার করা বেআইনি -সম্পাদক

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত

২০১১-২০১৭

সম্পাদক ও প্রকাশক: খন্দকার আব্দুর রহিম
নির্বাহী সম্পাদক: মারুফ হাসান
অফিস: ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি, ৯ম তলা, জিন্দাবাজার, সিলেট।
মোবাইল: ০১৭১২ ৮৮৬ ৫০৩
ই-মেইল: dailysylhet@gmail.com

Developed by: