সর্বশেষ আপডেট : ১১ ঘন্টা আগে
শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪ খ্রীষ্টাব্দ | ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ |

DAILYSYLHET
Fapperman.com DoEscorts

সিলেটে পুত্র ও পুত্রবধুর নি’র্যা’তন থেকে বাঁচতে বৃদ্ধের সংবাদ সম্মেলন

সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজে’লার দলইরগাঁওয়ে পুত্র ও পুত্রবধূর হয়রানী এবং নি’র্যা’তন থেকে রক্ষার দাবি জানিয়েছেন এক পিতা। তাদের হা’মলা-মা’মলা দিয়ে হয়রানী থেকে বাঁচতে বয়োবৃদ্ধ পিতা আব্দুল জব্বার প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কা’মনা করেছেন।

বুধবার (২৬ মে) সিলেট জে’লা প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি সকলের সহযোগিতা কা’মনা করে পুত্র ও পুত্রবধূর হয়রানীর বর্ণনা দেন। সংবাদ সম্মেলনে তাঁর পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন আরেক পুত্রবধূ ইয়ারুন নেছা। এসময় আব্দুল জব্বারের স্ত্রী’ রাহিমা বেগম উপস্থিত ছিলেন।

লিখিত বক্তব্যে আব্দুল জব্বার জানান, তিনি তিন ছে’লে ও এক মে’য়ের জনক। বড় ছে’লে দুদু মিয়া ও মেঝো ছে’লে মানিক মিয়া বাড়িতে বসবাস করছে আর ছোট ছে’লে বাবুল মিয়া প্রবাসে আছে। একান্নবর্তী সংসারে থাকা অবস্থায় নানা কারণে বড় ছে’লে দুদু ও তার স্ত্রী’ আকলিমা তাকে এবং তার স্ত্রী’কে নানাভাবে মানসিক নি’র্যা’তন করতো। সংসার আলাদা হলেও তাদের অ’ত্যাচার ও নি’র্যা’তন কমেনি। অ’তিষ্ট হয়ে তিনি ২০২০ সালের ২৯ শে ডিসেম্বর স্থানীয় তেলীখাল ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের কাছে বিচার দাবি করেন। চেয়ারম্যান বিষয়টি সমাধান করতে পরপর তিন বার তাদেরকে নোটিশ দিলেও তারা তোয়াক্কা করেনি।

জব্বার বক্তব্যে বলেন, ১৬ মা’র্চ বেত বাগানের দখলকে কেন্দ্র করে গ্রামের সিরাজুল ইস’লামের পরিবারের সদস্যদের কু’পিয়ে আ’হত করে ডা’কাত জমসেদ, স’ন্ত্রাসী ফরিদ, আলী হোসেন, জফির, রফিকসহ কয়েকজন। এ ঘটনায় সিরাজুল ইস’লাম বাদি হয়ে আমা’র ছে’লে দুদু মিয়াসহ জ’ড়িতদের বি’রুদ্ধে মা’মলা করার উদ্যোগ নেন। কিন্তু আমা’র মুখের দিকে চেয়ে সিরাজুল ইস’লাম তাকে আ’সামি করেননি। অথচ ১৫ মে আমা’র বড় ছে’লে দুদুর স্ত্রী’ আকলিমা বেগম বাদি হয়ে কোম্পানীগঞ্জ থা’নায় তার স্বামীর উপর হা’মলার অ’ভিযোগে আমা’র মেঝো ছে’লে মানিক মিয়া ও অ’পর মা’মলার বাদি সিরাজুল ইস’লামের ছোটো ভাই সোনা মিয়া, তার চাচাতো ভাই আল আমিনসহ কয়েক জনের বি’রুদ্ধে করে মা’মলা করেছে। মা’মলার কারণে তিনি ও তার পরিবারের সদস্যরা বাড়ি ছাড়া বলে জানান আব্দুল জব্বার।

গত ১৯ মে সিলেটের পু’লিশ সুপার ফরিদ উদ্দিনের সঙ্গে দেখা করে আব্দুল জব্বার স্মা’রকলিপি দিয়েছেন উল্লেখ করে জানান, পু’লিশ সুপার তাকে আশ্বস্ত করেছেন ন্যায় বিচারের। কিন্তু তার পরও ছে’লে ও ভাতিজাদের নিয়ে মা’মলা পরিচালনার মত বয়স ও টাকা তার কাছে নেই। খেয়ে না খেয়ে আছে পরিবারের সদস্যরা। দুদু ও তার স্ত্রী’ আকলিমা’ও হু’মকি-ধমকি অব্যাহত রেখেছে।

এ ব্যাপারে তিনি স্থানীয় সাংসদ ও প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী ইম’রান আহম’দসহ পু’লিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কা’মনা করে পুত্র ও পুত্রবধূর বি’রুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানান।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Comments are closed.

এ বিভাগের অন্যান্য খবর

নোটিশ : ডেইলি সিলেটে প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, আলোকচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও বিনা অনুমতিতে ব্যবহার করা বেআইনি -সম্পাদক

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত

২০১১-২০১৭

সম্পাদকমন্ডলীর সভাপতি: মকিস মনসুর আহমদ
সম্পাদক ও প্রকাশক: খন্দকার আব্দুর রহিম, নির্বাহী সম্পাদক: মারুফ হাসান
অফিস: ৯/আই, ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি, ৯ম তলা, জিন্দাবাজার, সিলেট।
ফোন: ০৮২১-৭২৬৫২৭, মোবাইল: ০১৭১৭৬৮১২১৪
ই-মেইল: dailysylhet@gmail.com

Developed by: