cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
চিকিৎসা বা অন্যান্য প্রয়োজনে ভারতে গিয়ে আটকে পড়া বাংলাদেশিদের দেশে ফিরতে ঈদের ছুটি শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ দূতাবাস। খবর বিবিসি বাংলার।
দিল্লিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাই কমিশনার মোহাম্মদ ইমরান জানিয়েছেন, আগামী ১৬ই মে থেকে আবার তাদের মিশনগুলো নাগরিকদের ‘এনওসি’ (নো অবজেকশন সার্টিফিকেট বা অনাপত্তিপত্র) দিতে শুরু করবে।
তিনি বলেন, তবে বেনাপোল ও আগরতলা সীমান্তে চাপ খুব বেড়ে যাওয়ায় আমরা বুধবার নতুন তিনটে ল্যান্ড রুট খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছি, যেগুলো হল গেদে-দর্শনা, দিনাজপুরের হিলি আর মালদার কাছে সোনামসজিদ। যেহেতু বেনাপোল দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করার পর যাত্রীদের ভিড়ে যশোরের কোয়ারেন্টাইন ফেসিলিটিগুলো এখন সব ভর্তি, তাই আমরা চাইব এই নতুন তিনটি ল্যান্ড রুটই এখন বেশি ব্যবহার করা হোক।
হাই কমিশনার বলেন, ফলে যারা এখন দেশে ফিরতে চাইছেন তাদের আমরা রানাঘাটের কাছে গেদে-দর্শনা, হিলি কিংবা সোনামসজিদ রুট ব্যবহার করার জন্যই পরামর্শ দেব।
গত মাসে ভারতে করোনা মহামারির প্রকোপ ভীষণভাবে বাড়ার পর ২৫ এপ্রিল বাংলাদেশ সরকার দু’সপ্তাহের জন্য ভারতের সঙ্গে স্থল সীমান্ত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়। পরে সেই সময়সীমা দু’দফায় আরও বাড়ানো হয়েছে।
তখন বলা হয়েছিল, আপদকালীন পরিস্থিতিতে যে বাংলাদেশি নাগরিকরা এরপরও ভারত থেকে নিজের দেশে ফিরতে চাইবেন, তাদের নিকটবর্তী মিশনে আবেদন করে ‘এনওসি’ বা অনাপত্তিপত্র নিতে হবে। যে নির্ধারিত ফর্মে এনওসি-র জন্য আবেদন করতে হবে, তা পোস্ট করা হয়েছিল হাই কমিশনের ফেসবুক পেজেও।
কিন্তু সরকার যা অনুমান করেছিল, দেখা যায় কার্যক্ষেত্রে তার চেয়ে অনেক বেশি নাগরিক দেশে ফেরার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছেন।
এ বিষয়ে রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান বলেন, ‘যখন আমরা সীমান্ত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিই, তার আগের এক মাসে বাংলাদেশ থেকে ভিসা নিয়ে হাজার দশেক নাগরিক ভারতে প্রবেশ করেছিলেন। যেহেতু তারা মূলত চিকিৎসার প্রয়োজনেই এসেছিলেন এবং এই সব কাজ মিটতে বেশ সময়ও লাগে, তাই আমাদের ধারণা ছিল বড়জোর হয়তো হাজারখানেক নাগরিক এখন দেশে ফিরতে চাইবেন।
তিনি বলেন, ‘কিন্তু বাস্তবে দেখা গেল এর মধ্যেই আমরা এনওসি-র জন্য তিন হাজারেরও বেশি আবেদন পেয়েছি, এবং এখনও আবেদন জমা পড়েই চলেছে।’
রাষ্ট্রদূত জানান, কিন্তু পেট্রাপোল সীমান্তের ওপারে যশোরের যে হোটেলগুলোতে ভারতফেরত যাত্রীদের কোয়ারেন্টাইনে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছিল, সেগুলো সব ভর্তি হয়ে যাওয়ায় কলকাতার বাংলাদেশ মিশন সাময়িকভাবে এনওসি জারি করা বন্ধ করে দেয়। তার পরেও শত শত বাংলাদেশি নাগরিক দেশে ফেরার মরিয়া চেষ্টায় গত কয়েকদিনে কলকাতায় উপদূতাবাসের সামনে ভিড় করেছেন – অনেকে হোটেল বা গেস্ট হাউস থেকে চেক-আউট করে বাক্স-প্যাঁটরা পর্যন্ত নিয়ে চলে এসেছিলেন। তবে আপাতত ঈদের ছুটি মেটার আগে নতুন করে আর কাউকে এনআরসি দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।